ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭
কোরবানির পশুর চামড়া

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে অপপ্রচার চামড়ার দাম নির্ধারণ নিয়ে বিভ্রান্তি

  • দাম না পেয়ে চট্টগ্রামে এবার ১৫ হাজার চামড়া ভাগাড়ে
  • যশোরে ৮০০-৯০০ টাকায় কিনলেও বাজারে ৭৫০-৮০০
এম সায়েম টিপু
এম সায়েম টিপু
শেয়ার
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে অপপ্রচার চামড়ার দাম নির্ধারণ নিয়ে বিভ্রান্তি

কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দাম নির্ধারণ ও ঘোষণায় বিভ্রান্ত হয়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। ফলে এবার কোরবানির পশুর চামড়ায় ধস নেমেছে। এতে দেশের কোথাও কোথাও কয়েক হাজার পশুর চামড়া ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে এটি অপপ্রচার।

তৃণমূল পর্যায়ে মাদরাসাগুলোতে লবণ সরবরাহ করায় অন্য বছরের তুলনায় দামও বেশি পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, লবণসহ এবং লবণ ছাড়া চামড়ার দাম ভিন্ন হয়। সরকার শুধু লবণযুক্ত চামড়ার দামের কথা বললেও লবণ ছাড়া চামড়ার দাম নিয়ে কোনো ঘোষণা না দেওয়ায় মৌসুমি ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ফলে অনেক চামড়া ব্যবসায়ী কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি।

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাম নির্ধারণ করা এমনিতেই ঠিক নয়। বাজারকে নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হয়। সরকার চামড়ার দাম নির্ধারণ করায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। ফলে লাভ-লোকসান বিবেচনায় না নিয়ে সরকারি দামে চামড়া কিনতে গিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

পরে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন লবণ ছাড়া চামড়ার দাম ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা নির্ধারণ করলেও তা গুরুত্ব পায়নি।

বিটিএর তথ্যানুসারে, গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ট্যানারিগুলো পাঁচ লাখ চামড়া সংগ্রহ করেছে। আরো দুই লাখের মতো সাভারের ট্যানারি পল্লীসংলগ্ন বাজারে আছে। রাজধানীর বাইরের চামড়া কয়েক দিনের মধ্যে আসা শুরু করবে। এবার কোরবানির মৌসুমে ৮০ থেকে ৮৫ লাখ চামড়া সংগ্রহ হবে বলে মন করছেন সংগঠনের নেতারা।

এদিকে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, লবণ ছাড়া চামড়ার দাম নির্ধারণ হয় না। এবারও লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এক কোটি চামড়ার মধ্যে চট্টগ্রামে ৬২০ পিস চামড়া নষ্ট হয়েছে। সেই গল্প বড় করে দেখানো হচ্ছে। কারণ ট্যানারি মালিকরা চান না তাঁরা বেশি দামে চামড়া কিনুন।

তিনি বলেন, কোরবানির চামড়া সংরক্ষণে এবার এতিমখানা ও মাদরাসায় সরকারের পক্ষ থেকে লবণ সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে রাজধানীর বাইরে বিপুল চামড়া সংরক্ষিত হয়েছে। কমপক্ষে আগামী তিন মাস দর-কষাকষির সুয়োগ তৈরি হয়েছে। এর ফলে নায্য দাম নিশ্চত হবে। ব্যবসায়ীরাও ভালো দাম পাবেন।

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রামে উপযুক্ত দাম না পেয়ে ১৫ হাজার চামড়া ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এবারও চট্টগ্রামে চামড়ার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৭০০-৮০০ টাকায় প্রতি পিস চামড়া কিনে শহরে এনে ৫০০ টাকার বেশি বিক্রি করতে পারেননি। ক্ষেত্রবিশেষে ২০০ কিংবা ৩০০ টাকা বিক্রি করতে হয়েছে। আবার অনেক আড়তদার তাঁদের কাছ থেকে চামড়া কেনেননি। এ জন্য মৌসুমি ব্যবসায়ীদের চামড়া সংরক্ষণের কৌশল না জানাকে দায়ী করছেন চামড়ার আড়তদাররা। আবার গরমের কারণে পচন ধরেছিল কিছু চামড়ায়। ফলে এবারও প্রায় ১৫ হাজার পশুর চামড়ার ঠিকানা হয়েছে সিটি করপোরেশনের ময়লার ভাগাড়। উপজেলা পর্যায়ে ফটিকছড়িতে হালদা নদীর শাখা খালে প্রায় ৭০০ চামড়া ফেলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আড়তদারদের কাছে জিম্মি হয়ে কম দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে আড়তদাররা বলেছেন, সরকারিভাবে লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হলেও কাঁচা চামড়ার নির্ধারিত দাম না থাকায় মৌসুমি ব্যবসায়ীরা না জেনে বেশি দামে মানহীন চামড়া কিনে কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি।

ট্যানারি মালিকরা বলছেন, বাংলাদেশে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিক্রির জন্য সুসংগঠিত বাজার নেই। কোরবানির সময় হঠাৎ প্রচুর চামড়া বাজারে আসে, কিন্তু তা যথাযথভাবে সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করার মতো অবকাঠামো না থাকায় চাহিদা কমছে। এ ছাড়া সাভারের ট্যানারিপল্লী পরিপূর্ণভাবে কার্যকর না হওয়ায় প্রক্রিয়াকরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক ট্যানারি এখনো পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে রূপান্তর করতে পারেনি। ফলে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা আগ্রহ হারাচ্ছে। ভারত, চীন, ভিয়েতনামএসব দেশ কম খরচে চামড়া সরবরাহ করায় প্রতিযোগিতা বাড়ছে।

যশোর প্রতিনিধি জানান, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় চামড়ার মোকাম যশোরের রাজারহাটে ঈদ-পরবর্তী প্রথম হাট বসে গত মঙ্গলবার। তবে হাটে কাঙ্ক্ষিত চামড়ার সরবরাহ যেমন ছিল না, তেমনি ছিল না আশানুরূপ ক্রেতা বা দাম। ফলে হতাশ হয়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

তাঁদের অভিযোগ, সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে, সে অনুযায়ী তাঁরা মাঠ পর্যায়ে তুলনামূলক বেশি দামে চামড়া কিনেছেন। কিন্তু হাটে এসে আড়তদারদের কাছ থেকে তাঁরা সেই মূল্যের আশপাশেও দাম পাচ্ছেন না। প্রতি পিস চামড়া ৮০০-৯০০ টাকায় কিনলেও বাজারে ৭৫০-৮০০ টাকা বলছে। ফলে অনেকেই চামড়া হাটে না তুলে গুদামে মজুদ করে রেখেছেন। তাঁরা অপেক্ষা করছেন শনিবারের মূল হাটের জন্য।

নাটোরে চামড়ায় সরকার নির্ধারিত দাম না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বলে জানিয়েছেন কালের কণ্ঠের নাটোর প্রতিনিধি। তিনি জানান, নাটোরে চামড়ার আড়তগুলোতে এখন চলছে নীরবতা। তারা অপেক্ষা করছে দেশের দক্ষিণ ও উত্তারঞ্চলের জেলাগুলো থেকে চামড়া আসার। মূলত এসব জেলা থেকে চামড়া ব্যবসায়ীরা নাটোরের আড়তগুলোতে লবণ ও চুন প্রক্রিয়াজাত চামড়া নিয়ে আসেন। ট্যানারি মালিক বা তাঁদের প্রতিনিধিরা এখান থেকে চামড়া কিনে নিয়ে যান।

নাটোর চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে তাঁরা চামড়া আসার জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে ঈদের দিন এবং ঈদের পরের দিন স্থানীয়ভাবে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক কম দামে চামড়া কেনার অভিযোগ উঠেছে। চামড়া নিয়ে আড়তে এসে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীসহ মাদরাসা শিক্ষক ও বিক্রি করতে আসা সাধারণ ব্যবসায়ীরা। অনেক চামড়া লবণ না দেওয়ার কারণে পচন ধরে নষ্ট হয়েছে। তবে আড়তদারদের দাবি, মান অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত দামেই চামড়া কিনছেন তাঁরা।

[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন চট্টগ্রাম, সাভার, যশোর, ও নাটোর প্রতিনিধি]

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ