রাজধানীর বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামরুল আহসান সাধন হত্যাকাণ্ডে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সহযোগী পেশাদার সন্ত্রাসীরা জড়িত থাকতে পারে। স্থানীয় ডিশ ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাঁকে হত্যা করা হতে পারে। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পেয়ে যাচাই করছে পুলিশ।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সকালে নিহতের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় আসামিরা অজ্ঞাত।
এর আগে গত রবিবার রাতে মধ্য বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত হন সাধন। ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা বলছেন, তাঁর বুকের ডানে-বাঁয়ে, পিঠে ও ঘাড়ে গুলি লেগেছে।
ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গুদারাঘাট ৪ নম্বর রোডে সাবেক কমিশনার কাইয়ুমের কার্যালয়ের বিপরীতে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামরুল আহসান সাধন। এ সময় সেখানে বিএনপি নেতা কামরুলের ভাগিনা কামালসহ আরো কয়েকজন পাশেই ছিলেন। আশপাশের লোকজন নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত ছিলেন। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন অনেকে।
এর মধ্যে মাস্ক পরা দুই যুবক এসে হঠাৎ কামরুলকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে। গুলির আঘাতে কামরুল ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন। এরপর ফাঁকা গুলি করতে করতে সটকে পড়ে সন্ত্রাসীরা।
বাড্ডা থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নেতা কামরুল হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে তাঁদের একাধিক টিম কাজ করছে। কয়েকটি কারণ সামনে রেখে এ ঘটনার তদন্ত চলছে।
সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের পর কামরুলের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশের একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, গুদারাঘাট ৪ নম্বর রোডে দুজন ব্যক্তি বিএনপি নেতা কামরুলকে এলোপাতাড়ি গুলি করে হেঁটে চলে যাচ্ছে। তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। এখন তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নিহতের স্বজন ইসমাইল হোসেন বলেন, গুলিতে কামরুল আহসান ঘটনাস্থলেই পড়ে যান। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হয় তা জানা নেই তাঁর। সন্ত্রাসীরা মুখোশ পরে এসে তাঁকে হত্যা করে।