চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত ২.৯৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি নতুন খাল খনন প্রকল্পের কাজ গত ১১ বছরে অগ্রগতি মাত্র ৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে প্রকল্পটিতে খাল খননের কাজ হয়েছে দুই কিলোমিটার। চলতি বছরের জুন মাসে প্রকল্পের আরেক দফা মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরপর জুলাই থেকে নতুন করে আরো এক বছর সময় বাড়ানো হয়েছে।
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগাপ্রকল্প
৩ কিমি খাল খনন ১১ বছরেও শেষ হয়নি
নূপুর দেব, চট্টগ্রাম

নগরের একাংশে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে নেওয়া পুরোপুরি সরকারি অর্থায়নে খাল খননের এই প্রকল্পের কাজ শেষ হতে আরো কত সময় লাগতে পারে, তা প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। ১০ বছর ১০ মাস আগে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এ প্রকল্পটি গ্রহণ করে। ২০১৪ সালের জুন মাসে নেওয়া এই প্রকল্পে ৩২৬ কোটি ৮৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
চসিকের প্রধান নির্বাহী শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম গতকাল শুক্রবার বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রকল্পের অগ্রগতি এখন পর্যন্ত ৮৩ শতাংশ। আগামী জুন মাস পর্যন্ত সময় ছিল। এরই মধ্যে আরো এক বছর সময় বেড়ে এখন ২০২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত হয়েছে। আশা করছি এখন ভূমি অধিগ্রহণের কোনো সমস্যা নেই। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব।
এর আগে ওই প্রকল্পের পরিচালক ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ফরহাদুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রকল্পে অন্য কার্যক্রমের পাশাপাশি খাল খনন ২.৯ কিলোমিটারের মধ্যে দুই কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পে অর্থসংকট আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দে কোনো সংকট নেই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত বর্ষায় কিছু সুফল পাওয়া গেছে। আসন্ন বর্ষায়ও সুফল মিলবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পুরোপুরি সুফল মিলবে।
জানা যায়, খাল খননের এই প্রকল্পে খালের দুই পাশে প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। খালের উভয় দিকে ২০ ফুট করে সড়ক এবং ছয় ফুট করে ওয়াকওয়ে নির্মিত হচ্ছে। বহু প্রতীক্ষিত এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নগরের মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, পূর্ব ষোলশহর, পূর্ব বাকলিয়া, পশ্চিম বাকলিয়া, কাপাসগোলা, বাদুরতলাসহ আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা থাকবে না। বৃষ্টি হলেই এসব এলাকায় প্রধান সড়কসহ আশপাশের এলাকায় মারাত্মক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা


কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত
- চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।
রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।
এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।
ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।
বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।
স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।
উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি ‘রাডার থেকে হারিয়ে যায়’, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।
১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।
সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স