ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

উপসচিব পদোন্নতিতে জটিলতা

উবায়দুল্লাহ বাদল
উবায়দুল্লাহ বাদল
শেয়ার
উপসচিব পদোন্নতিতে জটিলতা

প্রশাসনে উপসচিব পদে পদোন্নতি নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী এই পদোন্নতির যোগ্য বিসিএস ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তারা। ক্ষমতাচ্যুত সাবেক সরকারের আমলে পদোন্নতির বিষয়ে তাদের তথ্যাদি একবার যাচাই-বাছাই হলেও তা কার্যকর হয়নি। বর্তমানে এসব কর্মকর্তার প্রয়োজনীয় তথ্যাদি আবার যাচাইয়ে মাঠ পর্যায়ে নেমেছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

এই দীর্ঘসূত্রতা ও জটিলতার কারণে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ।

পদোন্নতির বিধিমালা অনুযায়ী, সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পাঁচ বছর চাকরিসহ অন্তত ১০ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলেই উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা। সে অনুযায়ী বিসিএস ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তারা সেই যোগ্যতা অর্জন করেছেন ২০২২ সালের ৩ জুন। এর পর প্রায় তিন বছর হতে চলছে, কিন্তু তাদের আজও পদোন্নতি হয়নি।

কবে পদোন্নতি হতে পারে, এটিও স্পস্ট করে বলতে পারছেন না দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, ২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি উপসচিব পদে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পদোন্নতিযোগ্য ২৯১ জনের মধ্যে নেতিবাচক তথ্য পাওয়া গেছে মাত্র ৫৬ জন কর্মকর্তার। বাকি ২৩৫ জনের বিষয়ে ইতিবাচক তথ্যে এসেছে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।

এমন তথ্যে প্রশ্ন তুলেছেন সরকারের কর্তাব্যক্তিরা। তাঁদের দাবি, ফ্যাসিস্ট আমলে নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মকর্তার তথ্য যাচাই করেছেন ওই আমলেই নিয়োগ পাওয়া গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। এ কারণেই হয়তো তথ্যের এই হাল! তাই পদোন্নতিযোগ্য এসব কর্মকর্তার নতুন করে তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন কর্তাব্যক্তিরা। নতুন তথ্য পাওয়ার পর পদোন্নতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে সুপারিশকারী সংস্থা  সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এপিডি (পদায়ন, পদোন্নতি, প্রেষণ) উইংয়ের কর্মকর্তারা জানান, নতুন করে তথ্য পাওয়ার পর পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হবে।

জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ২০১২ সালের ৩ জুন সরকারি চাকরিতে যোগ দেন বিসিএস ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তারা। সে হিসেবে তাঁদের উপসচিব পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জিত হয় ২০২২ সালের ৩ জুন। নানা কারণে এর দুই বছর পর ২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি উপসচিব পদে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়ে পাঠায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গঠিত হয়     ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে মন্ত্রিপরিষদসচিব, মুখ্য সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবসহ এসএসবিতে বড় পরিবর্তন আসে। চাপ বাড়ে আওয়ামী আমলে বঞ্চিত বিএনপি-জামায়াত সমর্থক কর্মকর্তাদের পদোন্নতির। পর্যায়ক্রমে আগের বঞ্চিত বিভিন্ন স্তরের প্রায় ৭০০ কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া হয়। পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে তাদের সুপারিশে আওয়ামী আমলে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো এবং বছরের পর বছর ওএসডি থাকা ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া হয়।

এর মধ্যে উপসচিব পদে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের তথ্য আসে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। এতে দেখা যায়, নিয়মিত হিসেবে ৩০তম ব্যাচের ২৯১ জন কর্মকর্তার মধ্যে ৫৬ জনের বিষয়ে নেতিবাচক তথ্য পাওয়া গেছে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে। যা অনেকটা নজিরবিহীন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিষয়টি নিয়ে যখন আলোচনা চলছিল, তখন প্রশাসনে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয় ১৯৬ কর্মকর্তাকেও। পদোন্নতি পান সালমান এফ রহমানের পিএস আবু সালেহ মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক ও এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদের পিএস কামরুল হাসান ও আওয়ামী লীগ নেতা খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর পিএস আমিনুর রহমান, দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে থাকা এ কে এম মনিরুজ্জামান, সাবেক ডিসি সাহেলা আক্তার, শ্রাবস্তী রায় ও অলিউর রহমানও। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় প্রশাসনে। এমন পরিস্থিতিতে উপসচিব পদে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের নতুন করে তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত দেয় এসএসবি।

সূত্রমতে, প্রশাসনে ৪৩০টি সুপারনিউমারারি পদসহ উপসচিবের অনুমোদিত পদ এক হাজার ৪২৮টি। কর্মরত আছেন এক হাজার ৪০২ জন। এই পদে বিসিএস ৩০তম ব্যাচের ২৭৭ জন কর্মকর্তার মধ্যে ২৭১ জনই পদোন্নতিযোগ্য। এ ছাড়া বিলুপ্ত ইকোনমিক ক্যাডারের ২০ জন অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন এই ব্যাচে। এতে পদোন্নতিযোগ্য মোট কর্মকর্তার সংখ্যা ২৯১ জন। এর পরই অন্যান্য ক্যাডারের ডিএস পুলে যোগ দিতে আবেদন করেছেন ২২৩ কর্মকর্তা। এসব কর্মকর্তার প্রয়োজনীয় নম্বর, চাকরিজীবনের শৃঙ্খলা-দুর্নীতির বিষয়সহ ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে চাকরিজীবনের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত এবং পরিবারের সদস্যসহ নিকটাত্মীয়দের সম্পর্কেও খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে। এতে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে পদোন্নতি প্রত্যাশীদের মধ্যে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ৩০তম ব্যাচের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, তাঁরা প্রশাসনে নবীন কর্মকর্তা। কখন নিয়োগ হলো, কার আমলে নিয়োগ হলোসেটা তো তাদের দোষ নয়। তারা যথারীতি ছাত্রত্ব শেষে পিএসসির মাধ্যমে সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, তাদের সেই সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হয়। তারা তো এর বেশি কিছু করেনি। পদোন্নতির ক্ষেত্রে তারা যেন কোনো ধরনের অন্যায় ও অবিচারের শিকার না হন, সে ব্যাপারে সরকারের শীর্ষ মহলকে অনুরোধ জানাবেন।

সরকারের উপসচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২-এ উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৭৫ শতাংশ এবং অন্য ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাকে বিবেচনায় নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পাঁচ বছর চাকরিসহ কমপক্ষে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা রয়েছেএমন কর্মকর্তাকে উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য বিবেচনা করার কথা বলা হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ