ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭
সিলেট টেস্ট

অল্প রানের গল্পে হার বাংলাদেশের

মাসুদ পারভেজ, সিলেট থেকে
মাসুদ পারভেজ, সিলেট থেকে
শেয়ার
অল্প রানের গল্পে হার বাংলাদেশের

কেউ কারো চেয়ে কম গেল না। ব্যাটারদের উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসার প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিল জিম্বাবুয়েও। তবু ম্যাচভাগ্য শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের দিকে হেলে পড়ায় স্বাগতিকদের দায়ই বেশি। তারা যে বড্ড ছোট এক লক্ষ্যই দিতে পেরেছিল সফরকারীদের।

অতীত পরিসংখ্যান অবশ্য ১৭৪ রানের লক্ষ্যকেও জিম্বাবুয়ের জন্য অনেক বড় বলে মনে করাচ্ছিল। কারণ এই রানও তাড়া করে জেতার নজির তাদের টেস্ট ইতিহাসে ছিল না। এর আগে সর্বোচ্চ ১৬২ রান তাড়া করে জিতেছিল তারা। তা-ও আবার সেই ১৯৯৮ সালে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জেতার ২৭ বছর পর রেকর্ড গড়া জয়ের দুয়ার খুলল তাদের সামনে।

ওপেনাররা ৯৫ রানের জুটি গড়ে দেওয়ার পর জয়ের চৌকাঠও তারা অনায়াসেই পেরিয়ে যাবে বলে ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু উইকেট বিলানোতে বাংলাদেশের ব্যাটারদের সঙ্গে তাদের পাল্লা দেওয়ার শুরুও এর পর থেকেই। একের পর এক উইকেট যেতে থাকল।

বিশেষ করে মেহেদী হাসান মিরাজ তাদের ভুলের ফাঁদেও ফেলতে থাকলেন। এই অফস্পিনারের সঙ্গে কিছুটা সহযোগীর ভূমিকায় আবির্ভূত হলেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামও। সব মিলিয়ে টানটান উত্তেজনার পরিস্থিতিও তৈরি হলো।

মিরাজের বলে ওয়েলিংটন মাসাকাদজা বোল্ড হতেই উল্টো জয়ের স্বপ্ন উঁকি দিতে শুরু করেছিল বাংলাদেশ শিবিরেও। ৭ উইকেট হারিয়ে বসা জিম্বাবুয়ের জিততে তখন আরো ১৩ রান লাগে।

ওই অবস্থায় প্রথমে রিচার্ড এনগারাভা বাউন্ডারি হাঁকালেন মিরাজের বলে। তাইজুলকে চার মেরে চাপ আরেকটু আলগা করে ফেলা ওয়েসলি মাধভেরে এরপর এনে দিলেন সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। নিজেদের খেলা সর্বশেষ ১০ টেস্টের একটিতেও না জেতা দলকে মাধভেরে জয়ের তীরে পৌঁছে দেন মিরাজকে রিভার্স সুইপ করে মারা বাউন্ডারিতে। তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে রেকর্ড গড়া জয়টি ৩ উইকেটের। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে গরিবের অ্যাশেজ নাম পেয়ে যাওয়া দুই টেস্টের এই সিরিজে তাই জিম্বাবুয়েই এগিয়ে গেল ১-০তে।

২৮ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রামে শুরু হতে যাওয়া পরের টেস্টের আগে বড় এক ধাক্কাও খেল বাংলাদেশ। অবশ্য বাজে ব্যাটিংয়ে এ রকম কিছু খুব অপ্রত্যাশিতও ছিল না। সিলেট টেস্টের চতুর্থ দিনে খেলা হয়েছে ৭২.৩ ওভার। তবে অত সময় নয়, ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল আসলে সকালের পাঁচ মিনিটেই। নির্দিষ্ট করে বললে মাত্র দুই বলেই। আগের রাতের বৃষ্টির কারণে মাঠ ভেজা থাকায় সকালে সোয়া এক ঘণ্টা দেরিতে খেলা শুরু হয়। শুরুর সময় আগের দিন ৬০ রান নিয়ে দিন শেষ করা অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের সঙ্গী জাকের আলীর ব্যাটে প্রতিপক্ষকে ৩০০-এর কাছাকাছি রানের লক্ষ্য দেওয়া যাবে বলে আশায় ছিল বাংলাদেশ।

কিন্তু দিনের দ্বিতীয় বলেই সব হিসাব উল্টে গেল। ব্লেসিং মুজারাবানির নিরীহ শর্ট বলে পুল করতে গেলেন নাজমুল, ব্যাটের কানায় লেগে ফাইন লেগে ক্যাচ হওয়ার আগে আর একটি রানও যোগ করা হয়নি বাংলাদেশ অধিনায়কের। বাউন্ডারি মেরে শুরু করার পর মুজারাবানিকে ছক্কা হাঁকানো মিরাজও এই দীর্ঘকায় ফাস্ট বোলারের পঞ্চম শিকার হয়ে ফেরায় ১৫০ রানের লক্ষ্য দেওয়াও তখন হুমকির মুখে। তা-ও হাসান মাহমুদ (১২) ৫৮ বল উইকেটে কাটিয়ে জাকেরকে সঙ্গ দেওয়ায় ১৭৩ রানের লিড নিতে পারে বাংলাদেশ। ম্যাচসেরা মুজারাবানির (৬/৭২) ষষ্ঠ শিকার হওয়ার আগে জাকেরের (৫৮) ফিফটির পর অবশ্য বোলারদের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না বাংলাদেশের।

কিন্তু ব্রায়ান বেনেট (৫৪) ও বেন কারেনের (৪৪) উদ্বোধনী জুটি ৯৫ রান তুলে দেওয়ার পর স্বাগতিকদের আর কোনো আশা অবশিষ্ট থাকার কারণ ছিল না। কিন্তু ওই যে! বাংলাদেশের ব্যাটারদের মতো উইকেট বিলিয়ে আসার প্রতিযোগিতায় এরপর নামলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররাও। এর সুবিধা নিয়ে ম্যাচ জমানোর সুযোগ পেলেন মিরাজও। টেস্টে দ্বাদশবারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন, এই ম্যাচেই দুবার। প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়া বোলারও বনে গেলেন তাতে। একই সঙ্গে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসাবে টেস্টে ২০০তম উইকেট নেওয়ার মাইলফলকও ছুঁয়েছেন মিরাজ। তবে লক্ষ্য এত অল্প ছিল যে ম্যাচ জমিয়ে তুলেও আর শেষ রক্ষা হলো না।

হারই তাই নিয়তি বাংলাদেশের। ২০১৮ সালেও সিলেট স্টেডিয়ামের অভিষেক টেস্টে জিম্বাবুয়ের কাছে ১৫১ রানে হেরেছিল তারা। ছয় বছর পরও সেই একই পরিণতি। উন্নতি বলতে এবারের হার মাত্র ৩ উইকেটে!

        

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ