ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭
বাজার পরিস্থিতি

খুচরায় এখনো চড়া খেজুর

  • পাইকারিতে গত বছরের তুলনায় খেজুরের দাম কমেছে ৩০-৩৫%
  • পাইকারি ও খুচরায় প্রতি কেজিতে পার্থক্য ১০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত
সজীব আহমেদ
সজীব আহমেদ
শেয়ার
খুচরায় এখনো চড়া খেজুর

পবিত্র রমজানে ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুরের দাম পাইকারিতে গত বছরের তুলনায় অনেকটা কম হলেও খুচরা বাজারে তেমন প্রভাব নেই। এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। 

শুল্কছাড়ের কারণে এবার ব্যাপক আমদানি হয়েছে। অগ্রিম কর অব্যাহতি, কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ এবং অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু কমিয়ে শুল্কায়ন করায় এবার খেজুরের দাম ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে বলে আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান।

এর পরও খুচরা বাজারে খেজুরের দাম চড়া। পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে মান ও প্রকারভেদে প্রতি কেজি খেজুরে ১০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত পার্থক্য দেখা গেছে।

সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল, আমদানি ব্যয় কম হওয়ায় বাজারে খেজুরের দাম কম থাকবে। কিন্তু আমদানি বৃদ্ধি এবং সরকারের শুল্ক কমানোর সুবিধা পাচ্ছে না ভোক্তারা।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে আজওয়া, মারিয়াম, আমবর, মসদুল, সাফাবি, সুপরি, মাসরুখ, মাবরুম, জিহাদি, দাব্বাস, নাগাল, লুলু, সাইয়িদি, ফরিদি, রশিদি, কুদরি, মেডজুল, সুকারিসহ নানা জাতের ও নামের খেজুর রয়েছে।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কয়েক বছরের তুলনায় এবার খেজুরের দাম সহনীয় থাকার কারণ শুল্কছাড়ের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম কম থাকা। এ ছাড়া এ বছর আমদানিকারকের সংখ্যা বেশি হওয়ায় খেজুরের বাজার অস্থিতিশীল করার কোনো সুযোগ ছিল না। খুচরা বিক্রেতাদের লাভের আকাঙ্ক্ষা বেশি থাকায় তাঁরা কেনা দামের চেয়ে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ লাভ ছাড়া খেজুর বিক্রি করছেন না।

এতে ভোক্তারা সরকারের শুল্কছাড়ের সুফল পাচ্ছে না।

গত বুধবার ও মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরায় প্রতি কেজি আজওয়া খেজুর মানভেদে এক হাজার থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা, দাব্বাস খেজুর ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, বরই খেজুর ৪৬০ থেকে ৫০০ টাকা, জিহাদি খেজুর ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, সুকারি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, মারিয়াম ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, ছড়া খেজুর মানভেদে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, মেডজুল মানভেদে এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

রাজধানীর বাদামতলীর খেজুরের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পাইকারি পর্যায়ে পাঁচ কেজির আজওয়া খেজুরের কার্টন তিন-চার হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। সেই হিসাবে প্রতি কেজি পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়।

মানভেদে মারিয়াম খেজুরের পাঁচ কেজির কার্টন বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকায়। দাব্বাস খেজুরের পাঁচ কেজির কার্টন বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৮০০ থেকে এক হাজার ৮৫০ টাকায়। বরই খেজুরের পাঁচ কেজির কার্টন বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৭৫০ টাকায়। জিহাদি খেজুরের পাঁচ কেজির কার্টন ৫৭৫ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মেডজুল খেজুর পাঁচ কেজির কার্টন দুই থেকে ছয় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে উচ্চমানের মেডজুল খেজুর পাঁচ কেজির কার্টন সাত হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।  

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, এবার সরকার খেজুরে ভ্যাট ও শুল্ক সুবিধা দেওয়ায় ব্যাপক আমদানি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশের বেশি আমদানি হয়েছে। খেজুরের দামও কমেছে ৩৫ শতাংশের মতো। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা দাম কমিয়ে বিক্রি করছে না বলে আমাদের কাছেও অভিযোগ আছে। তাই আমাদের পরিকল্পনা আছে আগামী দিনে বিভিন্ন এলাকায় ট্রাক সেলের মতো খুচরায় বিক্রির ব্যবস্থা করব। এতে খুচরা বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে। কেউ চাইলে বাড়তি দরে বিক্রি করতে পারবে না। রোজার আগে আগে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে একটা মেলার আয়োজন করারও পরিকল্পনা রয়েছে। এখান থেকে ক্রেতারা ন্যায্য দামে খেজুর কিনতে পারবে।

বাদামতলীর মেসার্স মোল্লা ফ্রেশ ফ্রুটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আল আমিন মোল্লা কালের কণ্ঠকে বলেন, এবার চাহিদার তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি খেজুর আমদানি হয়েছে। এতে আমাদের লাভ তো দূরের কথা, লোকসান দিয়েও কিছু খেজুর বিক্রি করতে হচ্ছে। আমরা বন্দরে পাইকারিতে কেজিতে দু-তিন টাকা লাভে মাল ছেড়ে দিচ্ছি। অথচ খুচরা বাজারে এক কেজি খেজুর বিক্রি করে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত লাভ করছে। এই বিষয়টি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দেখা উচিত। অভিযান চালালে খুচরা বিক্রেতারা দাম কমাবে।

রাজধানীর বাড্ডার খুচরা খেজুর বিক্রেতা মো. আব্দুল খালেক কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রতিবছর রোজা উপলক্ষে খেজুরের দাম বেড়ে যায়। এবার সেটি হয়নি। বরং রোজার আগের সময়ের তুলনায় দাম কিছুটা কমেছে। রোজার শেষ দিকে আরো কমবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত বছর খেজুর আমদানিতে যুক্ত ছিলেন ৫৮ জন। এবার তা অন্তত ১৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এনবিআরের তথ্য অনুসারে, দেশে আমদানি করা খেজুরের ৮০ শতাংশ আনা হয় রোজার তিন মাস আগে। সে অনুযায়ী এবার ডিসেম্বরের শুরু থেকে চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫৮ শতাংশ, অর্থাৎ আড়াই গুণ বেশি খেজুর আমদানি করা হয়েছে। এবার তিন মাসে দেশে খেজুর এসেছে ৪৬ হাজার ১২৩ মেট্রিক টন। এর আর্থিক মূল্য ৮৩৩ কোটি টাকা। গত মৌসুমে এর পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ৮২৬ মেট্রিক টন, যার আর্থিক মূল্য ছিল ৪০১ কোটি টাকা। পাশাপাশি এ দফায় খেজুর আমদানিতে সরকারের রাজস্ব এসেছে ৩২১ কোটি টাকা। গত মৌসুমের একই সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২১২ কোটি টাকা। এ হিসাবে এবার খেজুর আমদানি থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় বেড়েছে ১০৯ কোটি টাকার বেশি।

আমদানির তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি খেজুর আসে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। এ ছাড়া তিউনিশিয়া, মিসর, জর্দান, ইরাক, ইরান ও পাকিস্তান থেকেও খেজুর আমদানি করা হয়।

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ