ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, হাসপাতালে সিন্ডিকেট এবং টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। নিজ জেলায় একক আধিপত্য গড়ে তোলাসহ ক্ষমতার ব্যাপক অপব্যবহার করেছেন তিনি। বিভিন্ন অপরাধ ও দুর্নীতি করে স্ত্রীসহ স্বজনদের নামে-বেনামে তিনি সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। ক্ষমতায় থাকার সময় তাঁর দুর্নীতি ও অপকর্মের তথ্য প্রকাশ করতে চাইলে সাংবাদিকদের দমিয়ে রাখতে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হতো।
দুর্নীতিবাজ সাবেক এমপি
নামে-বেনামে অবৈধ সম্পদের পাহাড় রমেশ চন্দ্রের
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাবেক এই সংসদ সদস্য ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পানিসম্পদমন্ত্রী ছিলেন।
২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তাঁর হলফনামার তথ্য অনুযায়ী নিজের সম্পদ তেমন না বাড়লেও তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে অনেক। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় তাঁর নগদ টাকা ছিল ৩২ লাখ, কিন্তু ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় তাঁর নগদ টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ১০ লাখ এক হাজার ৪৯৭ টাকা। এ ছাড়া ২০১৪ সালের হলফনামায় আবাসিক ও বাণিজ্যিক দালানের কলামটি ফাঁকা থাকলেও বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টের কলামে ঠাকুরগাঁও ও ঢাকায় একটি করে বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট দেখানো হয়েছিল। ২০১৮ সালের হলফনামায় তিন লাখ ৪৮ হাজার টাকা মূল্যের একটি আবাসিক বাড়ি এবং ৬১ লাখ সাত হাজার ১৪৩ টাকার মূল্যের ঢাকার উত্তরায় পাঁচটি ফ্ল্যাট দেখানো হয়। আর ২০২৪ সালে নিজের নামে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় তিন লাখ ৪৮ হাজার টাকা মূল্যের বাড়ি, ঢাকার উত্তরায় ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯০ টাকা মূল্যের ৮ শতাংশ জমির ওপর দোতলা বাণিজ্যিক ভবন দেখানো হয়েছে, যার নির্মাণ খরচ দেখানো হয়েছে মাত্র ৬০ লাখ টাকা।
হলফনামায় তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। বাস্তবে নামে-বেনামে রমেশ চন্দ্র সেনের রয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রমেশ চন্দ্র সেন জেলার বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল ও কলেজের সভাপতি ছিলেন। তাঁর নিজ এলাকায় যেকোনো স্কুল ও কলেজে শিক্ষকসহ অন্যান্য নিয়োগে অনেকের কাছ থেকে লাখ টাকা নিয়ে নিয়োগ দিতেন। অনেকে টাকা দিয়েও চাকরি পাননি। নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে তিনি নিজেই উপস্থিত থেকে টাকা লেনদেন করতেন। কিছুদিন আগে সদর উপজেলার পাহাড় ভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও নৈশ প্রহরী নিয়োগে চাকরি পাইয়ে দিতে রমেশ সেন তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী নজরুল ইসলাম স্বপনের মাধ্যমে বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এসব অনিয়মের খবর মিডিয়ায় প্রকাশ করায় মামলা করেন রমেশ সেন, যা এখনো চলমান।
কামরুল হাসান নামেন এক ব্যক্তি জানান, ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন। হাসপাতালের যাবতীয় কেনাকাটা থেকে শুরু করে খাবার সরবরাহ, সরকারি ও স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় নিয়োগসহ আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্য করে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বাঙালিপাড়ার বাসিন্দা জাকির হোসেন জানান, হাসপাতালের উন্নয়নের নামে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন রমেশ চন্দ্র সেন। ২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে এমপির ভাগ্নে নিপুন মোহন্ত তাঁর কাছ থেকে তিন লাখ ১০ হাজার টাকা নেন। নিজের গরু-ছাগল বিক্রি করে এবং স্থানীয় এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এই টাকা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আজ পর্যন্ত চাকরি পাননি।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া রামনাথ সেনপাড়া গ্রামের ধান ব্যবসায়ী রমেশ চন্দ্র সেন ১৯৯০ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নির্বাচিত হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এরপর তিনি ১৯৯৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। উপনির্বাচনটি হয়েছিল ওই আসনের সংসদ সদস্য খাদেমুল ইসলাম ১৯৯৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করায়। এরপর তিনি ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে টানা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সংসদ সদস্য পদ হারান রমেশ চন্দ্র সেন। বর্তমানে এই সংসদ সদস্য কারাগারে রয়েছেন।
সম্পর্কিত খবর

বিজিবি মোতায়েন


পালিয়েছেন ঠিকাদাররা ইতিহাসের সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়ন
এম আর মাসফি

২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন নেমে এসেছে ইতিহাসের সবচেয়ে নিচে। সদ্য শেষ হওয়া এই অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার হয়েছে মাত্র ৬৭.৮৫ শতাংশ, যা গত দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এই চিত্র।
অর্থবছরের শুরু থেকেই এডিপি বাস্তবায়নে গতি ছিল মন্থর।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অযাচিত ব্যয় বন্ধে কঠোরতা আরোপ প্রকল্প যাচাই-বাছাই ও অপ্রয়োজনীয় খাতগুলোতে অর্থছাড় বন্ধ বা সীমিত করে দেওয়া হয়। এর ফলে একদিকে উন্নয়ন ব্যয় নিয়ন্ত্রণে এলেও অন্যদিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন মারাত্মকভাবে শ্লথ হয়ে পড়ে।
আইএমইডির তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে এক হাজার ৪৬৮টি প্রকল্প ছিল এডিপির আওতায়।
অর্থবছরের শেষ মাস জুনেও দেখা গেছে ব্যয় কমে যাওয়ার প্রবণতা। এ মাসে খরচ হয়েছে ৪২ হাজার ৪৪৫ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা সংশোধিত বরাদ্দের মাত্র ১৮.৭৭ শতাংশ।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে সবচেয়ে বড় ধস দেখা গেছে বিদেশি সহায়তানির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়নে। সংশোধিত এডিপিতে বিদেশি ঋণ ছিল ৮১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বছর শেষে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৫৩ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ৬৫.৫৩ শতাংশ। এই হারও ইতিহাসে সর্বনিম্ন। এমনকি কভিড মহামারির মধ্যেও এই খাতে ব্যয় হয়েছিল ৯২ শতাংশের বেশি।
আইএমইডির ওয়েবসাইট বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০০৪-০৫ অর্থবছর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত কোনো অর্থবছরেই এডিপি বাস্তবায়নের হার ৮০ শতাংশের নিচে নামেনি। করোনাকালে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাস্তবায়নের হার ছিল ৮০.৩৯ শতাংশ, যা এবারকার তুলনায় ১২.৫৪ শতাংশ বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৯৪.৬৬ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছিল। এ ছাড়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ৯৪.০২ শতাংশ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৯২.৭২ শতাংশ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯২.৭৪ শতাংশ এবং ২০১১-১২, ২০১৩-১৪ অর্থবছরেও ৯৩ শতাংশের ওপরে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল। এককথায়, কোনো অর্থবছরেই বর্তমান অর্থবছরের মতো এত খারাপ হয়নি।
এডিপি বাস্তবায়নে খাতভিত্তিক চিত্রেও ব্যাপক বৈষম্য লক্ষ করা গেছে। কিছু কিছু মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বরাদ্দের অর্ধেকও বাস্তবায়ন করতে পারেনি। সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে স্বাস্থ্য খাত। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের বাস্তবায়ন হার ছিল মাত্র ১৫.৩৬ শতাংশ। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ খরচ করেছে ২১.৭৪ শতাংশ। এ ছাড়া ভূমি মন্ত্রণালয় ৩৭.৪৬ শতাংশ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ৩২.০২ শতাংশ, জননিরাপত্তা বিভাগ ৩৯.৫৫ শতাংশ এবং সরকারি কর্ম কমিশন ৩৭.৪৬ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে।
অন্যদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৯৯.৫৪ শতাংশ, বিদ্যুৎ বিভাগ ৯৮.১০ শতাংশ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ৯৮ শতাংশ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৯৪.৭৭ শতাংশ, কৃষি মন্ত্রণালয় ৯১.০৭ শতাংশ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ৯১.৫৮ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে। সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ, তারা তাদের বরাদ্দকৃত ৩৬ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকার মধ্যে ব্যয় করেছে ৩০ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা, যা ৮৪.৫০ শতাংশ।
এ বিষয়ে আইএমইডির সাবেক সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অন্য অর্থবছরগুলোর তুলনায় এবারের এডিপি বাস্তবায়ন কম হয়েছে, এটা ঠিক। তবে সরাসরি তুলনা সঠিক হবে না, কারণ গত অর্থবছরের প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। মূলত রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রভাবে এমনটি হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘পরে অন্তর্বর্তী সরকার অযাচিত অর্থ খরচে কঠোর হয়। এ কারণে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। সেই সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়ে দেওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’
বিশ্লেষকদের মতে, শুধু বাজেট বরাদ্দ দিলেই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। পরিকল্পনা, দক্ষতা ও প্রশাসনিক সক্ষমতা—এই তিনের সমন্বয় না হলে এডিপি বার্ষিক টার্গেটের নিচেই থেকে যাবে। প্রতিবছর এডিপি বাস্তবায়নে গতিশীলতা আনতে সরকারের তরফ থেকে চাপ দেওয়া হলেও বাস্তব ফলাফল দৃশ্যমান নয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের দক্ষতা বাড়ানো, দীর্ঘসূত্রতা কমানো এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে কার্যকর জবাবদিহির আওতায় আনাই হতে পারে ভবিষ্যতের বাস্তবায়ন সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াত আমির
কোনো মাস্তানতন্ত্র, কালো টাকার খেলা মানব না
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

নির্বাচন বিলম্বিত হলে জটিলতা সৃষ্টি হবে জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘তবে আমরা কোনো প্রি-ম্যাচিউর ডেলিভারি চাচ্ছি না। যে বাচ্চা ছয় মাসের মাথায় জন্ম নেয় তাকে ইনকিউবেটরে রাখতে হয়। ওই বাচ্চা সারা জীবন দুর্বল থাকে। আমরা এ রকম কোনো দুর্বল ও ইমম্যাচিউর গণতন্ত্র ও নির্বাচন চাচ্ছি না।
গতকাল বুধবার বিকেলে সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে জামায়াতে ইসলামীর জনশক্তি ও সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘অবশ্যই দেশকে সুশৃঙ্খল অবস্থানে আনতে আমাদের একটি কার্যকর নির্বাচন লাগবে। আমরা আশা করছি, আগামী বছরের প্রথম অংশে এ নির্বাচন হবে। কিন্তু নির্বাচন কেমন চাই? আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য—অতীতের বস্তাপচা ধারার কোনো নির্বাচন আমরা চাই না এবং মেনে নেব না।
স্থানীয় নির্বাচন আগে দেওয়ার বিষয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা বলেছি দুর্ভোগ কমানোর জন্য। বহু জায়গায় জনপ্রতিনিধি নেই—জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
প্রবাসীদের ভোটাধিকারের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই গণ-অভ্যুত্থান আমরা একা করিনি। আমাদের প্রবাসীরাও এতে সমান কৃতিত্বের দাবিদার। তাঁদের ভোটাধিকার কেন থাকবে না? প্রবাসীদের ভোটাধিকার নেই বলে সরকারও তাঁদের গুরুত্ব দেয় না। তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হয় কেবল এক জায়গায়—রেমিট্যান্স পাঠাতে বলে।’ আল্লাহর ইচ্ছায় আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘জমিনের দায়িত্ব ও কৃতিত্ব বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের।
তরুণদের কাজে লাগানোর কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক দেশে ৪২ শতাংশের বেশি জনশক্তি রয়েছে, যাদের বয়স ৭০ বছরের বেশি। আমাদের দেশে ৩৫ বছরের নিচে যাদের বয়স তাদের সংখ্যা বেশি। এরাই একটি সমাজকে গড়ে দিতে পারে। এটি বিশাল একটি শক্তি আমাদের দেশের। আমাদের মাটির নিচে আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন। মাটির ওপরেও দিয়েছেন, সমুদ্রের তলেও দিয়েছেন। কিন্তু এত সম্পদ দেওয়ার পরও কেন আমরা দেশটা গড়তে পারলাম না? উত্তর একটিই—চারিত্রিক সম্পদের অভাব।’ দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘যাঁরাই যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বে গেছেন তাঁরা প্রথমে চিন্তা করেছেন—আমার সুবিধাটা কোথায়? এরপর চিন্তা করেছেন—আমার দলের সুবিধা কোথায়? এই দুই সুবিধা নিতে গিয়ে তারা হাঁপিয়ে উঠেছেন। এরপর জনগণের দিকে ভালোভাবে ফিরে তাকানোর সময় তারা পাননি।’ তিনি দুঃখ করে বলেন, ‘এরা দুদককে ভয় পায়, আল্লাহকে ভয় পায় না। যদি তারা আল্লাহকে ভয় পেত, তাহলে জনগণের সম্পদে হাত দিত না।’

মমতাময়ী শিক্ষিকা মেহরিনের প্রশংসা করে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর শোক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত ও হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। পাশাপাশি প্রশংসা করেছেন ২০ শিশুকে বাঁচানো শিক্ষিকা মেহরিন চৌধুরীর।
গতকাল বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ঢাকার স্কুলে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা শোনার পর বাংলাদেশের মানুষের জন্য আমার খারাপ লাগছে।