<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ঘটিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবার দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন শহীদ পরিবারের সদস্যসহ জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় রাজধানী ঢাকায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়। সমাবেশে শহীদ পরিবারের সদস্য ও নাগরিক কমিটির নেতারা বলেন, দ্রুততম সময়ে সঠিক তদন্ত করে জুলাই হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারাই জড়িত ছিল, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। পাশাপাশি শহীদ পরিবারের পুনর্বাসনসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাজারের সব অসাধু ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। নাগরিক সমাবেশ থেকে জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার ও মামলা পরিচালনা করার জন্য সারা দেশে সাত সদস্যের আইনজীবী প্যানেল গঠন করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সমাবেশে শহীদ মোমিনুল ইসলামের বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমার ছেলে গত ১৯ জুলাই গুলশানে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। আমি কখনো ভাবতে পারিনি আমি এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারব। আমার ছেলে আজকে আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে। আমার ছেলের জন্য আমি গর্বিত। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমার ছেলের হত্যাকারীদের বিচার হয়নি। আমার ছেলে দেশের জন্য যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছে। আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আমি যেন হত্যাকারীদের বিচার দেখে মরতে পারি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শহীদ মারুফ হোসেনের বাবা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি খেটে খাওয়া মানুষ। আমার ছেলে গত ১৯ জুলাই বাড্ডায় যখন পুলিশের গুলিতে আহত হয় তখন ছেলেকে নিয়ে ঢাকা মেডিক্যালে যাওয়ার সময় পুলিশ গতিরোধ করে। পরবর্তীকালে ঢাকা মেডিক্যালে আমার ছেলে মারা যায়। ডিবি পুলিশ আমার বাসায় গিয়ে আমাকে জামায়াত-শিবির বলে ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা করে। দেশ স্বাধীনের পর আমি ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করি। কিন্তু দুঃখের বিষয় সবাই পলাতক। আমি তাহলে কাদের কাছে বিচার চাইব। দেশ স্বাধীনের পর যেসব সমন্বয়কের ডাকে আমার ছেলে রাস্তায় জীবন দিয়েছে, সরকার পতনের পর তারা একটিবারও আমার খোঁজ নেয়নি। আমি আমার ছেলের হত্যাকারীদের বিচার চাই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশের ছাত্ররা আরেকটি মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, যেসব দলের নেতাকর্মীরা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরাও নিজেদের দল গোছাতে ব্যস্ত। আওয়ামী সরকারের সংবিধান বাতিল করে দ্রুত নতুন সংবিধান করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে হবে। যাদের নির্দেশে নির্বিচারে গণহত্যা চালানো হয়েছে তাদের বিচার এই বাংলার মাটিতেই করতে হবে। আমরা রাজনীতির মাঠে প্রতিযোগিতা চাই। আর কোনো প্রতিহিংসা চাই না। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করব যেন দ্রুত হত্যাকারীদের বিচার করা হয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামি বেছে নিয়েছিল। তাদের হীন গোলামির কারণে এখনো সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গণ-অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছে সরকারকে তাদের পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের সুচিকিৎসা দিতে হবে। দুই মাস পার হলেও আমরা কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। যারা জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তারা এখনো বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বেড়ে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, শত শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এই বাংলাদেশ। শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করবেন না। যাদের কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, সেসব সিন্ডিকেটের কালো হাত ভেঙে দিতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>