<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাজধানীর উত্তরা এলাকায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ তাঁর অনুসারীর ওপর হামলা হয়েছে। এতে তিনিসহ অনেকে গুরুতর আহত হন। র‌্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে উদ্ধারের পর তিনি স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। হামলার সময় তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী জুয়েল মোল্লাকে (৩২) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">হামলার সময় ভাঙচুরসহ অন্তত ৪০টি প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জাহাঙ্গীরের সমর্থক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যে গতকাল জামায়াত-বিএনপির কয়েক শ নেতাকর্মী উত্তরা এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন। এ সময় তাঁরা সড়কে ব্যাপক তাণ্ডব চালান। এমন পরিস্থিতিতে বিকেলের দিকে জাহাঙ্গীর রাজধানীতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে গাজীপুর থেকে গাড়িবহর নিয়ে রওনা হন। তাঁর গাড়িবহরে ওসমান গণি কাজল ও জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজন কাউন্সিলর এবং অনেক অনুসারী ছিলেন। উত্তরা হাউস বিল্ডিং এলাকায় পৌছলে তাঁরা হামলার শিকার হন। বিক্ষোভকারীরা জাহাঙ্গীর ও দুই কাউন্সিলরসহ অন্তত ২০ জনকে  বেদম পিটুনি দেন। এ সময় জাহাঙ্গীরকে রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারান নিরাপত্তারক্ষী জুয়েল মোল্লা। এক পর্যায়ে র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে  নিয়ে যান।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জাহাঙ্গীরের ঘনিষ্ঠজন মোখলেছুর রহমান এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের মধ্যে ১০-১২ জনের অবস্থা গুরুতর। তাঁরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হামলাকারীরা সাত-আটটি প্রাইভেট কার ও ৩০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া ১১টি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য, সংঘর্ষের সময় হাউস বিল্ডিংয়ের সামনে থেকে জাহাঙ্গীরের নিরাপত্তারক্ষী জুয়েলকে মারতে মারতে অনেক দূর নিয়ে যান হামলাকারীরা। তাঁকে প্রায় বিবস্ত্র করে হাত-পা বেঁধে একটি কদমগাছে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়। প্রায় আধাঘণ্টা এভাবে ঝুলে থাকার পর পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে উত্তরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ বিষয়ে জানতে ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার আশরাফুল আজিমকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>