ঝুম বৃষ্টিতে গত শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছিল ২৪ ঘণ্টা পর গতকাল শনিবারও কোথাও কোথাও তা কাটেনি। শুক্রবারের ঝুম বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় রাজধানীর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ক্যাম্পাসেও। গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসটি থেকে আটকে পড়া বৃষ্টির পানি নামেনি। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ও আবাসিক ভবনের সামনে পানি জমে থাকায় দুর্ভোগে পড়ে ক্যাম্পাসবাসীরা।
রাজধানী
২৪ ঘণ্টা পরও অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা
নিজস্ব প্রতিবেদক

বুয়েটের শিক্ষক ও কর্মচারীদের আবাসিক এলাকার বিভিন্ন স্থানে গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত জলাবদ্ধতা দেখা গেছে। শিশুদের জন্য সেখানকার খেলার জায়গাও বৃষ্টির পানিতে ডুবে ছিল। জলাবদ্ধতার কারণে খেলার সব উপকরণ ছিল পানির নিচে।
বুয়েট ক্যাম্পাস ছাড়াও গতকাল দুপুর পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু এলাকা, মিরপুরের কাজীপাড়া, মোহাম্মদপুরের কিছু এলাকা, যাত্রাবাড়ীর কিছু এলাকা, বকশীবাজারসহ আরো কিছু এলাকায় পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের এক শিক্ষার্থী জানান, গতকাল দুপুর পর্যন্ত হলের সড়ক ও আশপাশ থেকে পানি না নামায় দুর্ভোগে পড়েছেন হলে থাকা শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া রাজধানীর দক্ষিণখান, উত্তরখানের কিছু শাখা সড়কেও গতকাল দুপুর পর্যন্ত পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। তবে এসব এলাকার পানি সরাতে কাজ করছে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
সম্পর্কিত খবর

বন্যার শঙ্কা, তলিয়ে গেছে ফসল, নদ-নদীতে পানি বাড়ছেই
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় প্রধান প্রধান নদী ও শাখানদীতে পানি বাড়ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ ঘোষিত হয়েছে।
কুড়িগ্রাম : জেলায় ভারি বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, ধরলাসহ সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।
তিস্তার ভাঙনে উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের চাপড়ারপাড় থেকে থেতরাই পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন চলছে। রাজারহাটের চরগতিয়াশাম, ডাংরা, কালাপানি বজরা, উলিপুরের হোকডাঙা, গোড়াই পিয়ার, সাদুয়া দামারহাটসহ তিস্তার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও আবাদি জমি। দুধকুমারের ভাঙনে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের সাতটি পরিবার গত এক সপ্তাহে ভাঙনের শিকার হয়েছে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
লালমনিরহাট : টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তার পানি আবারও বেড়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : জেলার পদ্মা, মহানন্দা, পুনর্ভবাসহ প্রধান নদীগুলোর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে পদ্মা নদীর তীরবর্তী ১২টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে কমে এসেছে পানিবৃদ্ধির হার।
কুষ্টিয়া : জেলার দৌলতপুর উপজেলায় পদ্মা নদীর পানিবৃদ্ধির কারণে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের ৪৫ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় দুটি ইউনিয়নের শত শত একর আবাদি জমি, রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হওয়ায় ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নীলফামারী : জেলায় উজানের ঢল ও টানা বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর সকাল ৯টায় দুই সেণ্টিমিটার এবং বিকেল ৪টায় আরো এক সেন্টিমিটার কমে চার সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তিস্তার পানিবৃদ্ধির ফলে নীলফামারীর কয়েকটি গ্রামের তিন সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পঞ্চগড় : গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে পঞ্চগড় সদর উপজেলার কুচিয়ার মোড় এলাকায় প্রবল স্রোতে একটি স্লুইস গেট সেতু (রেগুলেটর) দেবে গেছে। ভেঙে গেছে সেতুর দুই পারের সংযোগ সড়ক। এতে ওই এলাকার সঙ্গে উপজেলা ও জেলা শহরের সংযোগ একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পঞ্চগড় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ জামান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

জামায়াতের নায়েবে আমির
আরেকটি ১/১১-এর ক্ষেত্র তৈরি করবেন না
বিশেষ প্রতিনিধি

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারকে আলোচনায় বসার আহবান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। একই সঙ্গে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকেও নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশের ভবিষ্যেক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেবেন না, জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না, আরেকটি ১/১১-এর ক্ষেত্র তৈরি করবেন না। আমরা চাই জনগণের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন।
গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর জামায়াতের (উত্তর ও দক্ষিণ) উদ্যোগে রাজধানীর বিজয়নগরে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এই আহবান জানান। ‘জুলাই জাতীয় ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর আইনগত স্বীকৃতি এবং এর ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘অনেকে বলে পিআর (আনুপাতিক ভোট পদ্ধতি) বোঝে না, অথচ জরিপ বলছে ৭১ শতাংশ মানুষ এর পক্ষে। জনগণ বোঝে, কিন্তু আপনারা বুঝেও না বোঝার ভান করেন কেন? ৭১ শতাংশ মানুষ যখন পিআর চায়, তখন এর বিরোধিতা করার কী কারণ?’
জামায়াতের এই নেতা আরো বলেন, ‘কেউ কেউ বলেন, ক্ষমতায় গেলে সংস্কার করবেন।
বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে নতুন ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে : মিয়া গোলাম পরওয়ার
খুলনা অফিস জানায়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, অবিলম্বে জুলাই ঘোষণা এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে। বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে নতুন ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে।
গতকাল দুপুরে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আরাফাত আবাসিক এলাকায় উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে জুলাই ঘোষণা এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ভোটার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মিয়া গোলাম পরওয়ারের হাতে ফুল দিয়ে বিভিন্ন দল থেকে ২০-২৫ জন নেতাকর্মী জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

অর্থ উপদেষ্টা
কেউ বললেই নির্বাচন বন্ধ হবে না
নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া না হওয়া নিয়ে রাজনীতির মাঠে কারো বক্তব্যে কিছু আসে যায় না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের একজন নেতা নির্বাচন হবে না বললেই তা বন্ধ হয়ে যাবে না। আগামী নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে। রাজনৈতিক বক্তব্য ওরা রাখুক।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ‘ইউ পেনশন’ অ্যাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী বছর রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে। গতকাল মালয়েশিয়ায় এক অনুষ্ঠানেও প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনও ফেব্রুয়ারিতে ভোট করতে এর দুই মাস আগে সূচি ঘোষণার কথা বলেছে।
তবে সংস্কার ও অভ্যুত্থান ঠেকানোর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার বিচার না হওয়ার আগে নির্বাচনের বিরোধিতা করে আসছে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। অভ্যুত্থানের নেতাদের নিয়ে গঠিত দলটি নির্বাচনের আগে এই দুই দাবির বাস্তবায়ন চায়। গত মঙ্গলবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ‘নির্বাচনের ডেট ঘোষণা হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে; ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না।
রাজনীতির মাঠে নির্বাচন নিয়ে এমন বক্তব্য এলেও অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে একটি ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে সব ধরনের সহযোগিতা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে করা হবে। তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে ভালো একটি নির্বাচন দেওয়ার চেষ্টা আমরা করব। ঋণখেলাপিরা তো থিওরেটিক্যালি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। নির্বাচন কমিশন ঋণখেলাপি বিষয়টি দেখবে।’
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বাচন কমিশনের উচিত ঋণখেলাপিদের শনাক্ত করা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কোর্টের স্টে অর্ডার নিয়ে। মহীউদ্দীন খান আলমগীর তো এই ঋণখেলাপি নিয়ে পাঁচ বছর কাটিয়েই দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করার জন্য যা যা লাগে, সব সাপোর্ট আমরা দেব। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়।’
নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন বলেন, ‘কালো টাকার উৎস বন্ধ করার চেষ্টা করছি। আগে তো ব্যাংকের মালিক, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক, নিউজ পেপারের মালিক, ফ্ল্যাটের মালিক—সব একজনই। এখন তো মোটামুটি একটু চেক অ্যান্ড ব্যালান্স হচ্ছে। এখনো আমাদের কাছে বিষয়টি আসে নাই। নির্বাচন কমিশন চিন্তা করবে যে এটা কিভাবে ঠিক করবে।’
তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর। রাজনীতিবিদরা যদি উৎসাহ দেন যে টাকা-পয়সা দিয়ে মনোনয়ন দেবেন, ভোট দেবেন, তাহলে আমি অর্থ মন্ত্রণালয়ে থেকে তো কিছুই করতে পারব না।’

প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের সমাবেশ
সরকারকে এক মাসের আলটিমেটাম, দাবি না মানলে কর্মবিরতি
নিজস্ব প্রতিবেদক

দাবি পূরণে অন্তর্বর্তী সরকারকে এক মাসের আলটিমেটাম দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা। বেঁধে দেওয়া এই সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে ‘দৃশ্যমান ও যৌক্তিক’ পদক্ষেপ নেওয়া না হলে দেশের সব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সমাবেশস্থলে এই ঘোষণা দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের নেতারা।
জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘এক মাসের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে সেপ্টেম্বরের ১৪ তারিখ সারা দেশে প্রতিটি এমপিওভুক্ত স্কুল, মাদরাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অর্ধদিবস কর্মবিরতি এবং ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রস্তাব রেখেছি, আমাদের বাড়িভাড়া পার্সেন্টেজ হিসেবে বাড়াতে হবে। মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় আমাদের চিকিৎসা ভাতা ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা করা হবে বলে জানিয়েছে।
দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘আমাদের দাবি যৌক্তিক, এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও স্বীকার করেছে। কিন্তু তারা যৌক্তিক দাবি পূরণে গড়িমসি করছে।
এর আগে গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে সমাবেশস্থল থেকে ১০ জন শিক্ষক নেতা সচিবালয়ে যান। তাঁরা শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব আগেই অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানা যায়, বর্তমানে দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাসে বাড়িভাড়া বাবদ এক হাজার টাকা পান। আর চিকিৎসা ভাতা পান ৫০০ টাকা। এই বাড়িভাড়া আরো এক হাজার বাড়িয়ে দুই হাজার টাকা এবং চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করার প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৈঠকে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতীয়করণ অন্তর্বর্তী সরকার করতে পারবে না। কারণ জাতীয়করণ একটি কঠিন বিষয়। জাতীয়করণ নির্বাচিত সরকার করবে। তা ছাড়া শিক্ষকদের অন্য যে দাবিগুলো রয়েছে, সেগুলো সরকার বিবেচনা করবে।’ শিক্ষকদের দাবিগুলো যৌক্তিক উল্লেখ করে ধাপে ধাপে এগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন তিনি।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের জানানো হয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সর্বজনীন বদলি নিয়ে ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে সভায় বসেই এ কমিটি করার ঘোষণা দেন উপদেষ্টা।
সভা সূত্র জানায়, সর্বজনীন বদলি কমিটির সভাপতি করা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মিজানুর রহমানকে।