জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬। এর মধ্যে পুরুষ আট কোটি ১৭ লাখ ৬৯ হাজার ২৬৬, আর নারী আট কোটি ৩৩ লাখ ৮১ হাজার ২২৬ জন। অর্থাৎ দেশে পুরুষের চেয়ে নারী বেশি ১৬ লাখ ১১ হাজার ৯৬০ জন। যার মধ্যে শুধু চট্টগ্রামেই পুরুষের চেয়ে নারী বেশি ১১ লাখ ৩০ হাজার ৭৪৪ জন।
দেশে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি
নিজস্ব প্রতিবেদক

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় জনশুমারির জেলাভিত্তিক তথ্য প্রকাশ করা হয়। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে জনশুমারির জাতীয় রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
চট্টগ্রামের তথ্যে দেখা যায়, চট্টগ্রাম জেলায় জনসংখ্যা ১৫ লাখ ৫৩ হাজার বেড়ে ৯১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ হয়েছে।
চট্টগ্রামে কমছে কৃষিনির্ভর পেশার পরিমাণ। জেলায় কৃষিক্ষেত্রে কাজ করা জনসংখ্যা ১৭.৪৬ শতাংশ। আর শিল্প খাতে ২৮.৭৪ শতাংশ ও সেবা খাতে ৫৩.৮০ শতাংশ জড়িত। চট্টগ্রামে মুসলিম ৮৭.৫৩, হিন্দু ১০.৭২, বৌদ্ধ ১.৬৩ ও খ্রিস্টান জনসংখ্যা ০.০৯ শতাংশ। অন্যান্য ০.০৩ শতাংশ।
চট্টগ্রামে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭৭.০৭ শতাংশ। এর মধ্যে নারী ৬৮.৫০ শতাংশ, পুরুষ ৮৫.৯৮ শতাংশ। অন্যদিকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫০.৮২ শতাংশ। এর মধ্যে নারী ৪২.৪৩ শতাংশ, পুরুষ ৫৯.৫৪ শতাংশ।
মৌলভীবাজার জেলায় অবিবাহিত নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা বেশি। অবিবাহিতদের মধ্যে পুরুষ ৪৪.৫ শতাংশ, নারী ২৯.৩০ শতাংশ। বর্তমানে জেলায় বিবাহিতদের মধ্যে নারী ৫৮.৪৮ শতাংশ, পুরুষ ৫৪.১৮ শতাংশ। জেলায় মোট জনসংখ্যা ২১ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৪। নারী ১১ লাখ দুই হাজার ৬১৭ জন এবং পুরুষ ১০ লাখ ২০ হাজার ৭৩২ জন। পুরুষ ৪৮.০৭ শতাংশ ও নারী ৫১.৯৩ শতাংশ। মোট জনসংখ্যার মধ্যে শহরে দুই লাখ ৯৭ হাজার ১৯০ ও গ্রামে ১৮ লাখ ২৬ হাজার ২৫৭ জন বসবাস করে। ১৯৮১ সালে মৌলভীবাজারে জনসংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ২৯ হাজার, ১৯৯১ সালে ছিল ১৩ লাখ ৭৭ হাজার।
সুনামগঞ্জ জেলায় মোট জনসংখ্যা ২৬ লাখ ৯৫ হাজার ৪৯৬। এর মধ্যে পুরুষ ১১ লাখ ২৫ হাজার ৪১১ ও নারী ১১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩২ জন। হিজড়া ২০২ জন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা ৩৪ হাজার ৮০৩।
জেলার ৯৮.৭২ শতাংশ লোক বিদ্যুত্সুবিধা ভোগ করছে। ১৬.৭০ শতাংশ লোকজন এখনো ঝুলন্ত পায়খানা ব্যবহার করে। ১.৩৬ শতাংশ মানুষ পুকুর, নদী ও খাল ও লেকের পানি ব্যবহার করে। ৭৩.৯৬ শতাংশ মানুষ কাঁচা ঘর, ১০.৪৫ শতাংশ পাকা ঘর, ১৪.৫৬ শতাংশ সেমিপাকা ও ১.০২ শতাংশ ঝুপড়ি ঘর ব্যবহার করে। জেলার সবচেয়ে বেশি ছাতকে ২৮.৮৩ ও জগন্নাথপুরে ২০.৩৫ শতাংশ লোক বিদেশে বাস করে। সবচেয়ে কম শাল্লায় ০.৯৬ শতাংশ এবং ধর্মপাশায় ১.১১ শতাংশ লোক বিদেশে বসবাস করে। ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে ৭৭.৬০ শতাংশ পুরুষ ও ৪৮.০৮ শতাংশ নারী নিজস্ব মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। একই বয়সে ৩৭.২১ শতাংশ পুরুষ ও ১৭.৪৯ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। জেলায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৭১৯ লোক বসবাস করে।
হবিগঞ্জ জেলায় মোট জনসংখ্যা ২৩ লাখ ৫৯ হাজার। ১০ বছর আগে যা ছিল ২০ লাখ ৮৯ হাজার। জেলায় এখনো খোলা জায়গায় টয়লেট ব্যবহার করে ২২ শতাংশ মানুষ। এই জেলায় সাক্ষরতা হার ৭০.৬৩ শতাংশ। জেলায় পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি। ১০০ নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা ৯৪। ২৮ অবিবাহিত নারীর বিপরীতে অবিবাহিত পুরুষ ৪২ জন। বিধবা ও বিপত্নীকে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি। তালাকপ্রাপ্তের মাঝে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি।
রাজবাড়ী জেলার মোট জনসংখ্যা ১১ লাখ ৮৯ হাজার ৮১৮। এর মধ্যে পুরুষ পাঁচ লাখ ৮২ হাজার ১২৩, নারী ছয় লাখ ৭৬ হাজার ২০ ও হিজড়া ৭৫ জন। জেলায় পুরুষের চেয়ে নারী ২৫ হাজার ৪৯৭ জন বেশি।
সম্পর্কিত খবর

মুরাদনগরে তিন খুন
নিরীহ গ্রামবাসীকে হয়রানির অভিযোগ
কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় নিরীহ গ্রামবাসীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
গতকাল মঙ্গলবার কড়ইবাড়ি স্টেশন এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়। গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়ায় শতাধিক নারী ও শিশু এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই গ্রামে জনরোষের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে এক ছেলে, এক মেয়েসহ নিহত হন মাদক ব্যবসায়ী রুবি আক্তার। পরে রুবি আক্তারের বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ১৩ জনকে আসামি দিয়ে একটি মামলা করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার পর থেকেই গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরো গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় একটি পক্ষ ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। প্রকৃত অপরাধী ছাড়াও নিরীহ গ্রামবাসীকে হয়রানি করছে। গ্রামের বাসিন্দা সালমা আক্তার, জমিলা বেগম ও জাহেদা খাতুন বলেন, তাঁদের পরিবারের উপার্জনকারী ব্যক্তি বিনা অপরাধে বাড়িছাড়া। এতে তাঁরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
মুরাদনগর বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘ট্রিপল মার্ডারের মামলাটি বর্তমানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। আমরা তাদের সঙ্গে সমন্বয় করছি। এ মামলায় নিরীহ গ্রামবাসীকে হয়রানির বিষয়টি সঠিক নয়।

ইন্তিফাদা বাংলাদেশের গণসমাবেশ
ভারতীয় আধিপত্য থেকে মার্কিন আধিপত্যে আশ্রয় নিয়েছে সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইন্তিফাদা বাংলাদেশ অভিযোগ করেছে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের আধিপত্যবাদ থেকে মুক্ত হয়ে এখন আমেরিকান আধিপত্যবাদ কবুল করেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শাপলা চত্বরে শেখ হাসিনার পলায়নের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত গণসমাবেশে সংগঠনটির নেতারা এ মন্তব্য করেন।
গণসমাবেশ থেকে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। সেগুলো হলো—আওয়ামী লীগের খুনিদের বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত করতে হবে, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীতে কর্মরত খুনি ও ধর্ষকদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে সাজানো জঙ্গি নাটক ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে, ইসলামবিরোধী সংস্কার বাতিল করতে হবে এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস বন্ধ করতে হবে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে এ ভূখণ্ডে প্রতিটি গণ-আন্দোলনে ইসলামপন্থীরা রক্ত দিয়েছে। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানেও তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কিন্তু তার পরবর্তী বাংলাদেশে ইসলামকে জনপরিসর থেকে বাদ দেওয়ার এক সচেতন চেষ্টা চলছে। বিভিন্ন সংস্কার কমিশনও ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধবিরোধী এজেন্ডা নিয়ে হাজির হয়েছে।
তাঁরা অভিযোগ করেন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো পত্রিকাগুলো প্রশাসনের সঙ্গে মিলে ‘জঙ্গি নাটক’ সাজিয়ে নিরপরাধ মানুষকে কারাবন্দি করেছিল, গুম-খুন করেছে এবং ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে, যা আজও চলছে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতি শরিফুল্লাহ বলেন, ২০২১ সালে প্রায় সাত হাজার আলেম-উলামা কারাবন্দি ছিলেন। তাঁদের অনেককে ‘শতাব্দী’ নামের একটি ভবনে রাখা হয়েছিল, যেখানে দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদেরও রাখা হয়। সেখানে এক শিশুকে দেখা যায়, যাকে শুধু একটি ফেসবুক কমেন্টের জন্য বন্দি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কাফনের কাপড় পরে রাজপথে না নামলে দেশ স্বাধীন হতো না।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ মৃত্যুদণ্ডে বিশ্বাস করে না। অথচ আওয়ামী লীগের অপরাধের সাজা হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড। জাতিসংঘ সেই দণ্ড বাধাগ্রস্ত করতে এ দেশে অফিস খুলতে চায়, যা মেনে নেওয়া হবে না।
ইসলামী বক্তা আসিফ আদনান বলেন, ‘শাপলা চত্বরে মুমিনদের গুলি করে শহীদ করা হয়েছে। আজ আবার তৌহিদি জনতা এখানে জড়ো হয়েছে। আমরা এখনো আমাদের অধিকার ফিরে পাইনি। ফ্যাসিবাদের পতন হলেও ইসলাম কায়েম হয়নি।’ তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান সরকার গোপন চুক্তি, জাতিসংঘ অফিস প্রতিষ্ঠার মতো দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত। অথচ আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বিচার এখনো হয়নি। আমরা আমাদের ন্যায্য হিস্যা বুঝে নেব।’ বক্তারা আরো বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ইসলামপন্থীদের অবদান উপেক্ষা করা হয়েছে। বরং নতুন করে ‘জঙ্গি নাটক’ সাজিয়ে আলেমদের হয়রানি করা হচ্ছে। তাঁরা জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং গণ-অভ্যুত্থানের স্টেকহোল্ডারদের নামে মিথ্যা মামলার নিন্দা জানান।
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইন্তিফাদা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মীর ইদরীস। আরো বক্তব্য দেন মুফতি তারেকুজ্জামান, ডা. মেহেদী হাসান, ডা. শামসুল আরেফীন শক্তি, এস এম ফাহিম, জাকারিয়া মাসউদ, মুফতি জসিমুদ্দীন রাহমানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুস্তাফা মনজুর, ড. সরোয়ার, মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাসুদ, মাওলানা রিদওয়ান, মাওলানা তানজিল আরেফিন আদনান, মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাওলানা ইমরান রায়হান, রাফিউজ্জমান, মাওলানা ইনামুল হাসান ফারুকী, মাওলানা ফুআদ মুবতাসিম, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, কাজী মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

ডা. আবদুল্লাহ তাহের
যাদের প্রয়োজনীয় জনসমর্থন নেই, তারাই পিআর পদ্ধতির বিরোধী
নিজস্ব প্রতিবেদক

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি (পিআর পদ্ধতি) চালু না করলে দেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
ডা. তাহের বলেন, ‘এই পদ্ধতি চালু হলে নির্বাচনী অপরাধ থাকবে না, ভোট চুরি ও কেন্দ্র দখলের সংস্কৃতি থাকবে না। থাকবে না টাকার খেলা। মূলত যাদের প্রয়োজনীয় জনসমর্থন নেই, তারাই এই পদ্ধতির বিরোধিতা করছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে আইসিডিডিআরবি হাসপাতালের সামনে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত গণমিছিল-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে ডা. মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জনগণের রক্তের ওপর দিয়েই জুলাই বিপ্লব সাধিত হয়েছে।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আরো বলেন, ‘দেশ সংস্কারের জন্য গঠিত প্রতিটি সংস্কার কমিশনকে জামায়াতে ইসলামী সহযোগিতা করলেও একটি দল নিজেদের রাষ্ট্রের মালিক মনে করে সরকারকে যথাযথভাবে সহযোগিতা করেনি এবং এখনো করছে না। জাতির প্রত্যাশিত ঘোষণাপত্র উপস্থাপিত না হলে জনগণ সরকারের ঘোষিত কোনো ঘোষণাপত্র মেনে নেবে না।’

লে. কর্নেল (অব.) জিয়া উদ্দিন বীর উত্তম আর নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেনানায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন (বীর-উত্তম) মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি ১ নম্বর সেক্টরের অধীনে জেড ফোর্সের প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন।
মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন ১৯৩৯ সালের ২২ নভেম্বর বর্তমান কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের পহরচান্দা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হলে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী ত্যাগ করেন। মেজর আবু তাহের, মেজর মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর ও ক্যাপ্টেন বজলুল গণি পাটোয়ারীর সঙ্গে অ্যাবোটাবাদ সেনানিবাস থেকে ২৫ জুলাই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের দেবীগড়ে পৌঁছেন এবং ২৭ জুলাই দিল্লি হয়ে ৭ আগস্ট কলকাতায় যান। সেখান থেকেই তাঁকে জেড ফোর্সের অধীনে প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সরকারি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় জিয়া উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান ছিলেন।