<p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশের শ্রম আইন আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরো গভীর করার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ২০২৪ সালের বাণিজ্যনীতি এজেন্ডায় এই আহ্বান জানানো হয়েছে।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২৩ সালজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যবিষয়ক প্রধান আলোচনাকারী সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ (ইউএসটিআর) বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে তাগাদা দিয়েছে। বাইডেন প্রশাসনের শ্রমিককেন্দ্রিক বাণিজ্যনীতির গুরুত্ব বোঝাতে তারা এই তাগাদা দিয়েছে। গত ১ মার্চ প্রকাশিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাণিজ্যনীতি এজেন্ডা এবং ২০২৩ সালের কংগ্রেসকে দেওয়া প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার হওয়ার পর শ্রমিকদের সুরক্ষা ও অধিকার উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। আরো বলা হয়, গত এক দশকে বাংলাদেশের শ্রমিকদের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও যুক্তরাষ্ট্র বরাবর বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সমন্বয় করে শ্রম আইন প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছে। </span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য হলো, দেশের শ্রম আইন সংস্কার করে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের কারখানাগুলোতে সংগঠন করার অধিকার এবং যৌথ দর-কষাকষির অধিকার দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে প্রয়োজন শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজীকরণ।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের জোটগুলোও বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সময় সময় সোচ্চার হয়েছে। গত বছর তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিতে মার্কিন ক্রেতাদের জোট সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মজুরি বৃদ্ধির ব্যয়ভার কুলিয়ে উঠতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএও পোশাকের মূল্যবৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছিল ক্রেতাদের প্রতি।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত নভেম্বর মাসে পোশাক খাতে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বাংলাদেশে যখন সপ্তাহখানেক ধরে শ্রমিক আন্দোলন চলছিল সে রকম সময়েই যুক্তরাষ্ট্র তাদের নতুন শ্রমিক অধিকার নীতি ঘোষণা করে। বিশ্বজুড়ে যারা শ্রমিক অধিকার হরণ করবে, শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখাবে এবং আক্রমণ করবে তাদের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় তাতে।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর একটি স্মারকে সই করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউস বিষয়টিকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে। সেই নীতি সব দেশের জন্য প্রযোজ্য হলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন যখন এর বিস্তারিত তুলে ধরেন সেখানে উঠে এসেছিল বাংলাদেশ প্রসঙ্গ।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেছিলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যারা হুমকি দেয়, ভয় দেখায়, যারা ইউনিয়ন নেতা, শ্রমিক অধিকার রক্ষাকারী বা শ্রমিক সংগঠনকে আক্রমণ করে তাদের আমরা জবাবদিহি করব। নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্যে শাস্তি, ভিসা নিষেধাজ্ঞার মতো যত বিষয় রয়েছে, তার সবই ব্যবহার করা হবে। আমরা কল্পনা আক্তারের মতো মানুষদের সঙ্গে থাকতে চাই। কল্পনা আক্তার একজন বাংলাদেশি গার্মেন্টসকর্মী এবং গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার কর্মী।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে মূলত পাঁচটি কর্মপরিকল্পনার কথা উঠে আসে। সেগুলো হচ্ছে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার রক্ষা, শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন ও সংগঠনের অধিকার নিশ্চিত করতে কূটনীতি, অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ এবং বিদেশি সহায়তা ব্যবহার করা। ট্রেড ইউনিয়নের নেতা, শ্রম অধিকারের পক্ষে কাজ করা ব্যক্তি এবং শ্রমিক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে হুমকি, ভয় দেখানো এবং সহিংসতার বিষয়ে দ্রুত ও কার্যকরভাবে এগিয়ে আসা এবং তা প্রতিরোধ করা।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈশ্বিক শ্রম এজেন্ডা পরিচালনার জন্য ফেডারেল বিভাগ ও সংস্থাগুলোর সক্ষমতা আরো বাড়ানো। বৈশ্বিক শ্রম মান উন্নয়ন, শ্রম সংগঠন এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকারের পক্ষে কাজ করতে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করা এবং তাদের সঙ্গে জোট গঠন করা। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার উন্নয়নে বাণিজ্যসংক্রান্ত ও অন্যান্য উপায় বাড়ানো।</span></span></span></span></span></span></p>