মূলত বিশুদ্ধ অ্যামোনিয়া জ্বালানিতে চলা কার্গো জাহাজ ইয়ারা আইডার সাগরে ভাসতে আর বেশি দেরি নেই। অ্যামোনিয়ার শক্তিতে চলার অর্থ হচ্ছে এটি গড়পড়তা জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত জাহাজের তুলনায় ৯৫ শতাংশ কম কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত করবে। প্রায় শূন্য মাত্রার দূষণ তৈরি করা বিশ্বের প্রথম মালবাহী জাহাজ হবে এটি। আর মাত্র বছর দুয়েক পর ২০২৬ সালে যাত্রা শুরু করার পথে রয়েছে ইয়ারা আইডা।
জলবায়ু পরিবর্তন
দূষণমুক্ত জাহাজের অপেক্ষায়
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

নরওয়ের সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইয়ারা ইন্টারন্যাশনাল এবং এর কয়েকজন অংশীদার মিলে তৈরি করছে ইয়ারা আইডা জাহাজ।
ইয়ারা ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী সভাইন টোরে হোলসথার আশা করছেন, ইয়ারা আইডা জাহাজশিল্পকে কার্বনমুক্ত করার ক্ষেত্রে কতটা কী করা সম্ভব তা সবার সামনে তুলে ধরবে। সম্প্রতি সিএনএনকে তিনি বলেন, ‘২০৪০ বা ২০৫০ সালে কী করতে যাচ্ছি সে সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদি আলোচনা সরিয়ে রেখে এখন সময় এসেছে এ মুহূর্তেই হাতের কাছে থাকা প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবাইকে দেখানোর যে এটি কাজ করে।’
ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের মতে, বিশ্বব্যাপী বার্ষিক কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের প্রায় ৩ শতাংশ জাহাজ চলাচল থেকেই আসে।
বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সার প্রস্তুতকারক ইয়ারা ইন্টারন্যাশনাল তার সহযোগী সংস্থা ইয়ারা ক্লিন অ্যামোনিয়া এবং নরওয়ের আরেক কম্পানি নর্থ সি কনটেইনার লাইনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জাহাজটি নির্মাণ করছে। এটি নরওয়ে ও জার্মানির মধ্যে পণ্য পরিবহন করবে।
অ্যামোনিয়া উৎপাদনে সাধারণত প্রচুর পরিমাণে কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হয়ে থাকে, যাতে বিপুল পরিমাণে কার্বন নিঃসৃত হয়। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, প্রতি মেট্রিক টন অ্যামোনিয়া উৎপাদনে অপরিশোধিত ইস্পাত তৈরির প্রায় দ্বিগুণ এবং সিমেন্টের তুলনায় চার গুণ কার্বন ডাই-অক্সাইড ছড়ায় বায়ুমণ্ডলে।
ইঞ্জিন স্টার্ট দিয়ে জাহাজটি চলা শুরু করতে অবশ্য ব্যবহৃত হবে বায়োডিজেল। এটি জাহাজের জ্বালানি চাহিদার ৫ শতাংশ জোগাবে।
ইয়ারা আইডা জাহাজটি কোন কম্পানি বানাবে তা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। এ কারণে খোদ জাহাজটি নির্মাণের সময়ই কতটা কার্বন নিঃসৃত হতে পারে তা হিসাব করা যাচ্ছে না।
ব্রাসেলসভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের শিপিং বিভাগের পরিচালক ফাইজ আব্বাসভের মতে, সবুজ অ্যামোনিয়ারও খারাপ দিক আছে। তিনি সিএনএনকে বলেন, এর দহন থেকে নাইট্রাস অক্সাইড তৈরি হয়, যা দ্বিতীয় শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস।
ইয়ারা ক্লিন অ্যামোনিয়া কম্পানির একজন মুখপাত্র অবশ্য বলেছেন, নাইট্রাস অক্সাইড শুষে নেওয়ার জন্য জাহাজের ইঞ্জিনে ক্যাটালাইজার যুক্ত করা হবে। তবে নতুন ধরনের এ ইঞ্জিনের নকশার কাজ এখনো শেষ হয়নি।
জাহাজ চলাচল শিল্পকে দূষণমুক্ত করার এটিই প্রথম প্রচেষ্টা নয়। গত আগস্টে আধুনিক নকশার ইস্পাতের পাল লাগানো একটি জাহাজ প্রথম সাগরে নামে। এর উদ্দেশ্য ছিল কার্বন নিঃসরণ কমানো। এরও আগে ২০২১ সালে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ শিপিং কম্পানিগুলোর অন্যতম মারস্ক বেশ কয়েকটি কার্বনহীন কার্গো জাহাজ কেনার পরিকল্পনা ঘোষণা করে। ওই জাহাজগুলো মিথানল বা পরিবেশ অনুকূল বায়ো-মিথানলে চলবে৷ গত বছরের আগস্টে কম্পানিটি বলেছিল, ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে তাদের প্রথম কার্বন-নিরপেক্ষ জাহাজ চালু হবে। আর জুলাই মাসে বৈশ্বিক শিপিং ইন্ডাস্ট্রি তাদের কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে ২০৫০-এর মধ্যে বা কাছাকাছি সময়ে নেট জিরোতে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়। নেট জিরোর অর্থ, বায়ুমণ্ডলে জাহাজগুলো যতটা দূষণ নির্গত করে, ততটাই প্রযুক্তির মাধ্যমে কমিয়ে আনা। কিন্তু কিছু জলবায়ুু বিশেষজ্ঞ এই প্রতিশ্রুতিকে ক্রমবর্ধমান জলবায়ু সংকটের মুখে খুব অপ্রতুল বলেই চিহ্নিত করেছেন। সূত্র : সিএনএন
সম্পর্কিত খবর

স্বস্তির জয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ
সাইদুজ্জামান, ডাম্বুলা থেকে

ক্রিকেট ম্যাচ, তার ওপর রবিবার। গতকাল তাই উদ্দাম পার্টির প্রস্তুতি ছিল রনগিরি ডাম্বুলা স্টেডিয়ামের উপড়ে পড়া গ্যালারির। ম্যাচ শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকে ডিজের মিউজিক, দর্শকদের ড্রাম পেটানো আর ট্রাম্পেটের চড়া সুরে কান পাতা দায়। সেই পার্টিই মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে যায় দারুণ ক্ষিপ্রতায় কুশল মেন্ডিসকে শামীম হোসেন রান আউট করতেই।
বিশ ওভারের ক্রিকেটে ছন্দ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুতলয়ের ক্রিকেটে ছন্দের সেই গাড়ির স্টিয়ারিং হাতে পেয়ে আর পেছনে তাকায়নি বাংলাদেশ দল।
অবশ্য ম্যাচজুড়েই শামীমের প্রতিপত্তি দেখা গেছে।
কিন্তু সে ধারণা ভুল প্রমাণ করেছেন লিটন ও শামীম। অধিনায়কের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়ে তাওহিদ ফেরেন, একই ওভারে তাঁর সঙ্গে ড্রেসিংরুমে যোগ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই ধাক্কায় অবশ্য কাবু হওয়ার অবস্থায় নেই শামীম। আগের ম্যাচে ৫ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকা এই বাঁহাতি শুরু থেকে চড়াও হন লঙ্কান বোলারদের ওপর। ওদিকে অধিনায়কও থিতু হয়ে গেছেন উইকেটে। তাঁরা জুটি বেঁধে ছোটান রানের গতি। পঞ্চম উইকেট জুটিতে লিটন ও শামীম মিলে তোলেন ৭৭ রান, তা-ও মাত্র ২১ বলে! ১৩ ম্যাচ পর ফিফটির দেখা পান লিটন, যা তাঁর ক্যারিয়ারের দ্বাদশ পঞ্চাশ পেরোনো ইনিংস। এক বাউন্ডারি আর পাঁচ ছক্কায় ৫০ বলে ৭৬ রান করে যখন আউট হন অধিনায়ক, ততক্ষণে লড়াইয়ের জন্য আশাব্যঞ্জক পূঁজি এক রকম হয়ে গেছে বাংলাদেশের। শেষ ওভারে স্ট্রাইক পেতে মরণপণ দৌড়েও ক্রিজে পৌঁছাতে পারেননি শামীম। তাতে ২৭ বলে তাঁর ৪৮ রানের ইনিংস পঞ্চাশ ছুঁতে না পারার আক্ষেপে শেষ হয়েছে। অবশ্য তাঁর মনে কোনো আক্ষেপ নেই, ‘দল জিতেছে। তাতে অবদান রাখতে পেরেছি। এতেই আমি খুশি।’ শামীম আরো খুশি ১৬ জুলাই কলম্বোয় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা নয়, জয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
ম্যাচ শুরুর আগের রনগিরি ডাম্বুলা স্টেডিয়ামের চালচিত্র না বললেই নয়। হাজার তিরিশেক দর্শকের ঠাঁই হয় এ মাঠে। তবে দুই দিন ধরে টিকিটের জন্য আহাজারি শোনা যাচ্ছিল, তাতে বোঝাই যাচ্ছিল যে পর্যাপ্ত আসন নেই। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় খেলা শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে গ্যালারি ভরে গেছে। বরাবরের মতো গ্যালারি লাগোয়া গাছেও চড়ে বসেন বিনা টিকিটের দর্শক। তাই বলে সিঁধ কেটে বিনা টিকিটের দর্শক ঢোকে ডাম্বুলায়, সেটি অজানা ছিল। গতকাল সেটিও দেখা হলো, বাংলাদেশ ইনিংসের ব্যাটিং পাওয়ার প্লে চলাকালে ভিআইপি স্ট্যান্ডের দিককার কাঁটাতারের বেড়ার নিচের মাটি সরিয়ে অন্তত শ খানেক টিকিটহীন দর্শক ঢুকে পড়লেন স্টেডিয়াম চত্বরে। বিনা বাধায় যোগ দিলেন গ্যালারির উৎসবে। নিজ দলের ব্যাটিং ভরাডুবিতে ক্ষণে ক্ষণে লাউড স্পিকার থেমেছিল বটে। তবে পুরোপুরি থামেনি। পুরস্কার বিতরণীর পরও কিছু দর্শককে দেখা গেছে হাসিমুখে সেলফি তোলায় ব্যস্ত। কয়েকজন তো বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বলেও গেলেন, ‘ওয়েল প্লেইড বাংলাদেশ!’

অবৈধ ব্যাটারির রিকশা জব্দে অভিযান শুরু

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবৈধ ব্যাটারির রিকশার দাপট বেড়েছে। সেগুলো জব্দে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গতকাল মালিবাগে অবৈধ ব্যাটারির রিকশা জব্দ করে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি : ফোকাস বাংলা
।
মানবতাবিরোধী অপরাধ
বেরোবির সাবেক ভিসিসহ ২৪ আসামির আত্মসমর্পণে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য মো. হাসিবুর রশীদসহ পলাতক ২৪ আসামিকে আত্মসমর্পণের জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারকে বাংলা-ইংরেজি দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিতে বলা হয়েছে। আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গতকাল রবিবার এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দুই বিচারক হলেন মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।
শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘এর আগে ১০ জুলাই এই মামলার ২৬ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
পরে ট্রাইব্যুনাল আগামী ২২ জুলাই পরবর্তী শুনানির তারিখ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেন। যে দুজন আসামি অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন তাঁরা হলেন রাফিউল হাসান রাসেল ও মো. আনোয়ার পারভেজ।
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় মোট ৩০ জন আসামি। এর মধ্যে চারজনকে এদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ১৬ জুলাই ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল-২। এই মামলার শুনানি করেন প্রসিকিউটর মো. সাইমুম রেজা তালুকদার। শুনানিতে তিনি বলেন, পলাতক আট আসামির গ্রেপ্তার বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় প্রয়োজন। তখন ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৬ জুলাই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। আদেশের সময় মামলার ১৬ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার আটজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

হত্যা মামলায় জামিন
আমি রাজনীতি বুঝি না : অপু বিশ্বাস
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই আন্দোলনের সময় রাজধানীর ভাটারা থানার এনামুল হক নামের এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আত্মসমর্পণ করে অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস জামিন পেয়েছেন। গতকাল রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। শুনানি চলাকালে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন অভিনয়শিল্পী। এটাই আমার পেশা।
এদিন অপু বিশ্বাস আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় তিনি মুখে কালো মাস্ক, মাথায় সাদা ওড়না ও বোরকা পরেছিলেন। তাঁর আইনজীবী আব্দুল মান্নান খান জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
এরপর অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন অভিনেত্রী। অভিনয় করার জন্য অনেক কিছু করতে হয়েছে। আমি রাজনীতি বুঝি না। রাজনীতি করিও না। করতেও চাই না।’ এ সময় আইনজীবীরা আহা আহা সাধু বলতে থাকেন। অনেক আইনজীবী উত্তেজিত হয়ে বলেন, অপু বিশ্বাস এমপি হতে চেয়েছিলেন। শেখ হাসিনার দোসর তিনি। এ সময় অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি অভিনেত্রী। আমাকে যে পোশাক দেওয়া হয়, সে পোশাক পরে অভিনয় করতে হয়। অভিনয় এমনই। ওই সময় আমি খারাপ অবস্থায় ছিলাম। পারিবারিক ঝামেলা চলছিল। আমার একটা বাচ্চা আছে।’ এ সময় অপু বিশ্বাসের চোখ ছলছল করতে দেখা যায়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে অপু বিশ্বাস গত ২ জুন হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান। পরে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মো. ওয়াহিদুজ্জামানের আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিননামা দাখিল করেন তিনি।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, জুলাই আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই ভাটারা থানার সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের ওপর গুলি চালানো হয়। এনামুল হকের পায়ে গুলি লাগে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার শ’ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি করেন তিনি। মামলায় অপু বিশ্বাস, আশ্না হাবিব ভাবনা, নুসরাত ফারিয়া, অভিনেতা জায়েদ খানসহ ১৭ জন তারকাকেও আসামি করা হয়। মামলায় এসব অভিনেতা-অভিনেত্রীকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে এই মামলায় গত ১৮ মে গ্রেপ্তার হন আরেক চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। পরদিন তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২০ মে জামিন পান তিনি।