ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭
শত বাধা পেরিয়ে

অভাব, অসুখ দমাতে পারেনি তাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
অভাব, অসুখ দমাতে পারেনি তাদের

মোবাইল ফোন নম্বরটিতে ডায়াল করতেই ট্রু কলার অ্যাপসের মাধ্যমে ভেসে উঠল নাম : পিটি থ্যালাসেমিয়া। পেশেন্টের সংক্ষিপ্ত রূপ পিটি। অর্থাৎ পেশেন্ট থ্যালাসেমিয়া। ফোন নম্বরটি সঞ্জিত সাহার।

নবীনগর পৌর এলাকার ভোলাচং পালপাড়ার বাসিন্দা। তাঁর ছেলে সাজন সাহা একজন থ্যালাসেমিয়া রোগী।

সম্ভবত কোনো চিকিৎসক কিংবা ব্লাড ডোনার বা সুহৃদ সাজনকে উদ্দেশ করেই ফোন নম্বরটি এভাবে সেভ করে রেখেছেন। রক্তের জটিল সমস্যার সঙ্গে যুদ্ধ করা সেই সাজন এবার এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছেন।

সাজনের লড়াইটা ছিল দারিদ্র্যের সঙ্গেও।

সাজনের বাবা সঞ্জিত সাহা একজন হোটেল শ্রমিক। ছেলের বেঁচে থাকারই আশা ছিল না বলে অনেকেই বলতেন, কী লাভ তাকে পড়ালেখা করিয়ে! সংসারের টানাপড়েনটাও পীড়া দিত। তবে হাল ছাড়েননি সঞ্জিত।

ছেলের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে কষ্ট করে পড়ালেখা করিয়ে গেছেন। কয়েক বছর ধরে সাজন নিজেও টিউশনি করে নিজের খরচ মেটানোর পাশাপাশি পরিবারকেও সহায়তা করেন।

সাজন আপাতত আইন নিয়ে পড়ার পরিকল্পনা করেছেন। নিজের এলাকা অর্থাৎ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থেকে পড়লে খরচ কিছুটা কম হবে বলে তাঁর পরিবার সে সিদ্ধান্তটাই নিয়েছে। তবে দেশের ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ এবং সামর্থ্যবানদের সহায়তা পেলে ওই পথেই এগোবেন সাজন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সরকারি কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে যিনি একমাত্র জিপিএ ৫ পেয়েছেন তিনিই হলেন সাজন সাহা।

বছর চারেক আগে সাজনের ছোট বোন অন্তি সাহা (৯) মস্তিষ্কের রোগে ভুগে মারা গেছে। অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা করানো যায়নি বলে অকালেই ঝরেছে অন্তির প্রাণ।

সাজনের থ্যালাসেমিয়া ধরা পড়ে বছর দশেক আগে। চিকিৎসকের পরামর্শে বছরে তিন থেকে চারবার রক্ত দিতে হয় তাঁকে। রক্তের গ্রুপ ও পজিটিভ। আছে ওষুধ কেনার খরচও।

সাজনের বাবা বাড়ির কাছেই রেস্তোরাঁয় দৈনিক মজুরিতে কাজ করেন। প্র্রতিদিনের আয় পাঁচ থেকে ছয় শ টাকা। এ টাকায় সংসার চালানো দায়।

কথা হলে সাজন জানান, পরীক্ষার সময় পড়ার একটু বেশি চাপ পড়লেই তিনি অসুস্থ হয়ে যান। সামনে কী আছে না জানলেও তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান।

সাজনের মা স্মৃতি সাহা বলেন, আমরা গরিব। অসুস্থ ছেলেটা মনের সাহসে এতটুকু পর্যন্ত এসেছে। ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন পরীক্ষায় তার রেজাল্ট ভালো। কষ্ট করে হলেও আমরা তার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে চাই। সাজনের পড়ালেখা চালাতে গিয়ে যদি কেউ এগিয়ে আসে তাহলে আমরা খুশিই হব।

বাবা সঞ্জিত সাহা বলেন, এই একটিমাত্র ছেলে আমাদের ভরসা। ছেলেটিও জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। কখন কী হয় জানি না। তবে ও চায় পড়তে। আমরাও চাই সাজন পড়ুক।

নবীনগরের গুঞ্জন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও স্কুল শিক্ষক স্বপন মিয়া বলেন, সাজনের সংগ্রামের কথা শুনলে গা শিউরে ওঠে। সাজনকে বলেছি, ভালো কলেজে ভর্তির জন্য কোথাও পড়তে না পারলেও আমার পাঠাগারে যেন নিয়মিত আসে। এখানে বসেও সে ভর্তি পরীক্ষার পড়াগুলো পড়তে পারবে। সমাজের বিত্তবানরা সাজনের সহযোগিতায় এগিয়ে এলে তার চিকিৎসাসহ পড়াশোনার বিষয়টি এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। 

 

অভাবের কাছে হার মানেননি রাহাত

রাহাত শাহরিয়ারের বাবা শামীম উদ্দিন কালের কণ্ঠর রাজশাহী অফিসের অফিস সহকারী। দুর্মূল্যের বাজারে তাঁর সীমিত আয়ে কোনোমতে সংসারটা চালাতে পারেন। কিন্তু ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগাতে কষ্ট হয় তাঁর। ফলে রাহাত অন্য অনেকের মতো কোচিং বা প্রাইভেট পড়তে পারেননি। কলেজে যাতায়াতের জন্য একটি সাইকেলও রাহাতকে কিনে দিতে পারেননি বাবা। সেই রাহাত নিজের পরিশ্রম ও প্রত্যয়ের জোরে এইচএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী বোর্ড থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করেছেন। রাজশাহী নগরীর নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষা দেওয়া রাহাতের কলেজের ভর্তিরও অর্থ ছিল না। এসএসসিতে জিপিএ ৫ পাওয়া রাহাতকে বাবা শামীম উদ্দিন ধারদেনা করে কলেজে ভর্তি করিয়েছিলেন। এসএসসির মতো এইচএসসিতেও মা-বাবার কষ্টের প্রতিদান দিলেন রাহাত।

রাহাত শাহরিয়ার বলেন, আমি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে গরিব মানুষের সেবা করতে চাই। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারব কি না জানি না। এর জন্য আমি সবার সহযোগিতা চাই।

রাহাতের বাবা শামীম উদ্দিন বলেন, দুটি ছেলেমেয়ের উচ্চশিক্ষার ব্যয় নির্বাহের সামর্থ্য আমার নাই। কিন্তু আমি চাই তারা মানুষ হোক। বড় হয়ে আমার মতো গরিব মানুষদের পাশে থাকুক।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ