<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span lang="EN-US" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দেশে গত এক দিনে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ছয়জন। একই সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ২৯১ জন। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ এক হাজার ২৫৫ জন। গতকাল রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span lang="EN-US" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গত ২১ আগস্ট সারা দেশে ভর্তি রোগীর সংখ্যা লাখ ছাড়ায়। এর পাঁচ সপ্তাহ পর ২৯ সেপ্টেম্বর ভর্তি রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ছাড়ায়। পরের ৫১ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরো এক লাখ রোগী।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span lang="EN-US" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এর আগে কোনো বছরই এত ডেঙ্গু রোগী দেখেনি বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রথমবার এক লাখ ছাড়ায়। সে বছর ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি হয় এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। পরের বছর ২০২০ সালে এক হাজার ৪০৫ জন, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯ জন ও ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২ জন। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span lang="EN-US" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত ডেঙ্গু মৌসুম ধরা হয় জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বর্ষাকাল এডিস মশার ডিম পাড়ার আদর্শ সময় হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ বছর তাপমাত্রা বাড়ায় মশার জীবনচক্র সহজ হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তনের কারণে এডিস মশা প্রজননের আদর্শ পরিবেশ তৈরি করছে। সামনের বছরগুলোতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span lang="EN-US" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৩৫ জন, ঢাকার বাইরে এই সংখ্যা এক লাখ ৯৫ হাজার ৭২০ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু এক হাজার ৫৪৯ জনের। ঢাকায় ৯০১ জন, ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৪৮ জন। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span lang="EN-US" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ঢাকার পর চট্টগ্রামে আক্রান্ত বেশি </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span lang="EN-US" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চলতি বছর ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে ৬২ শতাংশ ছিল ১০ জেলায়। ঢাকা জেলায় ৩৬.০৮ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৪.৪৮ শতাংশ, বরিশালে ৪.২৮ শতাংশ, মানিকগঞ্জে ৪.০৬ শতাংশ, পটুয়াখালী ২.৪৪ শতাংশ, পিরোজপুরে ২.২৯ শতাংশ, ফরিদপুরে ২.২৫ শতাংশ, লক্ষ্মীপুরে ২.২১ শতাংশ, গাজীপুরে ২.১১ শতাংশ ও খুলনায় ১.৯৯ শতাংশ। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span lang="EN-US" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় সামনের বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ল। কারণ এর আগে ডেঙ্গু রোগী ছিল ঢাকাকেন্দ্রিক। এখন ডেঙ্গুর ভাইরাস ৬৪ জেলায় গেছে। ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশাও ৬৪ জেলায় আছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span lang="EN-US" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ঢাকার বাইরে চিকিৎসাব্যবস্থা মানসম্মত নয়। উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে হাসপাতালে চিকিৎসক যাঁরা আছেন, তাঁদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ঢাকার চিকিৎসকদের মতো নয়। এ ছাড়া সেখানকার মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থাও তুলনামূলকভাবে দুর্বল। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসা মানসম্পন্ন না হলে মৃত্যুহার বাড়বে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span lang="EN-US" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এক সেন্টিমিটারের কম পানিতেও এডিসের জীবনচক্র </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span lang="EN-US" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span lang="EN-US" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span lang="EN-US" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের দেশে তাপমাত্রার পরিবর্তন হয়েছে। আর্দ্রতা ও বৃষ্টিপাতের ধরন বদলে গেছে। একটা সময় মৌসুম ধরে বৃষ্টিপাত হতো, এখন তা হচ্ছে না। এতে এডিস মশার জন্ম ও বিস্তার নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হচ্ছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span lang="EN-US" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, কোনো জায়গায় যদি এক সেন্টিমিটারের কম পানিও থাকে, সেখানে এডিস মশা ডিম পাড়বে এবং সেখান থেকে তার জীবনচক্র শুরু হবে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span lang="EN-US" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নতুন জীবাণুর প্রাদুর্ভাব  পুরনোর বংশ বিস্তার</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span lang="EN-US" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান ও স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার কালের কণ্ঠকে বলেন, জীবাণুুর বৃদ্ধি ও বংশ বিস্তারে অনুকূল তাপমাত্রার দরকার হয়। জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে সে অনুকূল তাপমাত্রা তৈরি হয়েছে। এতে অসংখ্য নতুন জীবাণুুর প্রাদুর্ভাব ঘটছে। একই সঙ্গে পুরনো জীবাণুুর বংশ বিস্তার ঘটছে। এ কারণে ডেঙ্গুর মতো মশাবাহিত রোগ যেমন বাড়ছে, তেমনি সংক্রামক রোগ থেকে সুস্থ হতে বেশি সময় লাগছে। কারণ জীবাণুগুলো শক্তিশালী হচ্ছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p>