ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ মহররম ১৪৪৭

শিক্ষার্থী, তরুণ, স্ব্বল্প আয়ের মানুষ বেশি আসক্ত

রেজোয়ান বিশ্বাস ও মোবারক আজাদ
রেজোয়ান বিশ্বাস ও মোবারক আজাদ
শেয়ার
শিক্ষার্থী, তরুণ, স্ব্বল্প আয়ের মানুষ বেশি আসক্ত

চলতি অক্টোবরে বিশ্বকাপ ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে সারা দেশে অনলাইন জুয়া ব্যাপক বেড়েছে। এতে শিক্ষার্থীসহ তরুণ ও স্বল্প আয়ের মানুষের আসক্তি বেশি দেখা যাচ্ছে। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা এসব জুয়া বন্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে আরো তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সূত্রে জানা যায়, অনলাইন জুয়াড়িদের মাধ্যমে দেশ থেকে এক বছর ৯ মাসে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব অর্থ পাচার করা হয়।

অনলাইন জুয়া বিদেশ থেকে পরিচালিত হলেও দেশে তাদের এজেন্ট রয়েছে। জুয়ার এই সাইটগুলোর অ্যাডমিন রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ভারতে।

জুয়াড়িদের কাছ থেকে পাওয়া টাকা দেশি এজেন্টরা একটি বিশেষ মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাপের মাধ্যমে মার্কিন ডলারে রূপান্তর করে তা পাচার করে।

এ বিষয়ে সিআইডিপ্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে দেশ থেকে মুদ্রা পাচারের বিষয়ে খোঁজ রাখছেন তাঁরা। তবে ই-কমার্সের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতারিত হয়েও অনলাইন জুয়ার ব্যাপারে মানুষ সচেতন হচ্ছে না।

পুরান ঢাকার বংশাল, ইসলামপুর, লালবাগ, চকবাজার, লক্ষ্মীবাজার, শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, পানিটোলা, কোতোয়ালি রোড, গেণ্ডারিয়া, নারিন্দাসহ ঢাকার অন্যান্য এলাকার নিম্ন আয়ের পেশাজীবী অনেকে আইসিসি ওয়ার্ল্ড কাপকে কেন্দ্র করে অনলাইন জুয়া খেলায় মত্ত থাকে।

সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই জুয়া।

সদরঘাটে ফুটপাতের এক চা বিক্রেতা অনলাইনে জুয়া খেলেন। গত সপ্তাহে একটি খেলায় বাজি ধরার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ওই দিন এক ওভারে বিরাট কোহলির অন্তত একটি ছক্কা মারা নিয়ে এক হাজার টাকা বাজি ধরছিলাম। কিন্তু কোনো বলেই উনি ছক্কা মারতে না পারায় হাইরা গেলাম। ছক্কা মারলে ১০ হাজার টাকা পাইতাম।

শাঁখারীবাজারের এক গলিতে চায়ের দোকানে গিয়ে বেশ কয়েকজন শ্রমিককে টিভিতে ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের খেলা দেখতে দেখা যায়। প্রত্যেকের হাতে অ্যানড্রয়েড মোবাইল ফোন। আশরাফ নামের এক কারখানা শ্রমিক বলেন, তিনি ইংল্যান্ডের পক্ষে মেলবেট নামের অ্যাপে পাঁচ হাজার টাকা বাজি ধরেছেন। কিন্তু আফগানিস্তানের করা ২৮৪ রানের জবাবে ইংল্যান্ড সব উইকেট হারিয়ে ২১৫ রান করে। বড় ব্যবধানে হেরে যায় ইংল্যান্ড।

খেলা শেষে আশরাফ বলেন, বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রায় প্রতিটি খেলায় বাজি ধরেন তিনি। নিজের কাছে টাকা না থাকলে ধার করেন। মাঝেমধ্যে জেতেন। পরিচিত অনেক ভাই আছেন, যাঁরা অ্যাপে টাকা ঢুকিয়ে দেন। অ্যাপে অ্যাকাউন্ট খুলতে ৮৫ টাকা লাগে। এরপর ইচ্ছামতো টাকা ঢুকিয়ে জুয়া খেলা যায়। 

গোয়েন্দা সূত্র বলছে, বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন অন্তত ২৫ হাজার মানুষ বেট উইনার সাইটে জুয়া খেলে। তাদের বেশির ভাগই সাধারণ আয়ের মানুষ। খেলা ও টাকা লেনদেন পদ্ধতি সহজ হওয়ায় ভাগ্যবদলের আশায় গ্রামাঞ্চলের স্বল্প শিক্ষিত মানুষও এতে জড়িয়ে পড়ছে। সিআইডির পর্যবেক্ষণ বলছে, সাধারণত একজন জুয়াড়ি দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার বাজি ধরে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সূত্র বলছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে এক হাজারের বেশি অনলাইন জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে বিদেশিদের এজেন্ট রয়েছে শতাধিক।

সিআইডি যা বলছে

তদন্তের সূত্র ধরে সিআইডি বলছে, জুয়ার ওয়েবসাইটে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য কিছু ফোন নম্বর দেওয়া থাকে। সেগুলো প্রতি ঘণ্টায় বদলে যায়। কারণ একটি নম্বরে প্রতিদিন লেনদেনের নির্ধারিত সীমা রয়েছে। অস্বাভাবিক লেনদেন হলে সন্দেহে পড়তে হতে পারে। এসব কারণে তারা অর্ধশত এমএফএস (মোবাইল ব্যাংকিং সেবা) নম্বর ব্যবহার করে টাকা নেয়। পরে সেই টাকা পাচার করে তারা।

সংঘর্ষ, হতাহত ও গ্রেপ্তার

পুলিশ, র‌্যাব ও সিআইডি সূত্রে জানা যায়, গত এক বছরে সারা দেশে অনলাইন জুয়াকে কেন্দ্র করে এক হাজার ৩৭৫টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় করা মামলায় অন্তত এক হাজার ৭২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে র‌্যাব গ্রেপ্তার করেছে ২৬৯ জনকে।

অনলাইন জুয়া খেলা নিয়ে গত ১ মে কুষ্টিয়া শহরতলির হাটশ-হরিপুর ইউনিয়নের বোয়ালদাহ কান্তিনগর গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ওমর আলী ও মিরাজ হোসেন নামের দুজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, অনলাইন জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ওই দুজন নিহত হয় বলে জানা গেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

অপরাধমূলক কিছু ঘটনায় শিক্ষার্থী ও তরুণদের অনলাইন জুয়ায় জড়িত থাকার বিষয় উঠে এসেছে। অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে অতিথিদের মোবাইল চুরির ঘটনায় রাশেদুল ইসলাম ও মঈন উদ্দিন ফয়সাল নামের দুই কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়। তারা চট্টগ্রামের একটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী।

মানিকগঞ্জের সিংগাইরের এক তরুণের ভাই জানান, ক্ষুদ্রঋণ সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে জুয়া খেলে সব টাকা খোয়ান তাঁর ভাই। এখন তাঁর বাবা ছেলের ঋণ শোধ করতে গিয়ে পাগলপ্রায়।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ধানমণ্ডি লেক থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধারের পর ঘটনার তদন্তে অনলাইন জুয়ায় তাঁর আসক্তির তথ্য মিলেছে।

বাড়ছে পারিবারিক অশান্তি

পুরান ঢাকার শ্যামল নামের এক অনলাইন জুয়াড়ির স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিছুতেই তিনি তাঁর স্বামীকে এই সর্বনাশা খেলা থেকে বিরত রাখতে পারছেন না। এতে ঘরে শান্তি নেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, তাঁর ছেলে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে। কিন্তু অনলাইন জুয়ার কারণে পড়ায় তার মনোযোগ নেই।

জুয়া ঠেকাতে তৎপরতা

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ২০১৯ ও ২০২২ সালে অনলাইনে জুয়া খেলার ৫০৭টি সাইট বন্ধ করে দেয়। এরপর চলতি বছরের এ পর্যন্ত সাড়ে তিন শর বেশি সাইট বন্ধ করা হয়। পাশাপাশি জুয়া বন্ধে চলছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নানা তৎপরতা। 

এ ব্যাপারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রায়ই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী থেকে আমাদের কাছে তালিকা আসে। সে অনুযায়ী এ পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি অনলাইন জুয়ার সাইট বন্ধ করা হয়েছে। তবে একটা সাইট বন্ধ করে দিলে তারা একাধিক সাইট খুলছে। সামনে যেসব সাইটের খবর জানতে পারব, সেসব বন্ধ করে দেব।

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, অনলাইনে জুয়া খেলাটা সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে সর্বত্র যুবসমাজসহ সবার মধ্যে এই ব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে। এ থেকে উত্তরণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি। এ ছাড়া সরকারের সাইবার ইউনিটের নজরদারি বাড়াতে হবে। জোরদার করতে হবে আইনের যথাযথ প্রয়োগ।

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মোদি ও শেহবাজ শরিফের শোক

    বাংলাদেশে জাতিসংঘের কার্যালয়ের শোক
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মোদি ও শেহবাজ শরিফের শোক

ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। একই ঘটনায় পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারও শোক প্রকাশ করেছেন।

নরেন্দ্র মোদি এক্স বার্তায় লিখেছেন, ঢাকায় একটি মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত ও দুঃখিত বোধ করছি। নিহতদের মধ্যে অনেকেই তরুণ শিক্ষার্থী।

পরিবারগুলোর জন্য আমাদের হৃদয় শোকাহত। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে এবং সম্ভাব্য সকল সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এক বার্তায় লিখেছেন, ঢাকার মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত।

বাংলাদেশের জনগণ, বিশেষ করে, নিহতদের, যাদের মধ্যে অনেকেই ছোট শিশু, তাদের পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে পাকিস্তান বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে।

এদিকে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এক্স বার্তায় লিখেছেন, ঢাকায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর বিমানবাহিনীর একটি বিমান দুর্ঘটনায় মূল্যবান প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।

এই শোকের মুহূর্তে সরকার, তার নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা।

এদিকে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রতিনিধিদল। গতকাল এক শোকবার্তায় ইইউ প্রতিনিধিদল বলেছে, এই মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এ দুর্ঘটনায় নিহত, তাদের পরিবারবর্গ এবং ক্ষতিগ্রস্ত সবার প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।

বার্তায় আরো উল্লেখ করা হয়, আমাদের হৃদয় শোকাহতআমরা নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছি।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের কার্যালয় গতকাল এক ফেসবুক বার্তায় বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে।

মন্তব্য
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা

সরকারি চাকরিতে জুলাই যোদ্ধাদের কোটা থাকছে না

বিশেষ প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি
শেয়ার
সরকারি চাকরিতে জুলাই যোদ্ধাদের কোটা থাকছে না

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও আহতদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা জানান।

জুলাই যোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারকে সরকারিভাবে ফ্ল্যাট দেওয়া এবং সরকারি চাকরিতে তাদের জন্য কোটা রাখা হচ্ছে কি নাএমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাঁদের পুনর্বাসনের কর্মসূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুসারে মন্ত্রণালয় যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

এই কার্যক্রমের মধ্যে ফ্ল্যাট দেওয়া কিংবা চাকরিতে কোটা দেওয়া এসব বিষয় নেই। পুনর্বাসন কর্মসূচি আছে।

তিনি আরো বলেন, পুনর্বাসন নানাভাবে হতে পারে। তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যোগ্যতা অনুযায়ী তিনি যেভাবে পুনর্বাসিত হতে চান সেভাবে করা হবে।

আত্মকর্মসংস্থানের জন্য হাঁস-মুরগি কিংবা পশু পালন, মৎস্য পালন যেভাবে তিনি জীবিকার সংস্থান করতে চাইবেন সে ধরনের সুবিধা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।

জুলাই যোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সমকক্ষ করা হচ্ছে কি নাএমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওইভাবে (সমকক্ষ) কেউ দেখছে না। আমরাও দেখছি না। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা পেতে ৩০ থেকে ৩৫ বছর লেগেছে।

অনেক মুক্তিযোদ্ধা ভাতাই পাননি, তালিকাই হয়নি। অথচ ২০০৫ সালেই শহীদদের তালিকা হয়েছে। এগুলো সব রেকর্ডেড। তাহলে এত বছর ধরে হলো না কেন? আমি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রসঙ্গ এখানে আনতে চাচ্ছি না।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চূড়ান্তকরণ, আহতদের চিকিৎসা ব্যয় এবং তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাসহ পুনর্বাসন করার উদ্দেশ্যে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ২৮ এপ্রিল জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করা হয়।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের জুলাই শহীদ এবং আহতদের জুলাই যোদ্ধা হিসেবে সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর মাধ্যমে স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী মোট ৮৪৪ জন শহীদের তালিকা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় গেজেট আকারে প্রকাশ করে।

আহত হওয়ার ধরন অনুসারে জুলাই যোদ্ধাদের তিনটি শ্রেণিভুক্ত করে ৪৯৩ জনকে শ্রেণিতে, ৯০৮ জনকে শ্রেণিতে এবং এক হাজার ৬৪২ জনকে শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। সম্প্র্রতি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে শ্রেণির ১১৪ জন, শ্রেণির ২১৩ জন এবং শ্রেণির এক হাজার ৪৪২ জন, মোট এক হাজার ৭৬৯ জনের তালিকা পাওয়া গেছে, যা যাচাই-বাছাই শেষে শিগগিরই গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

মন্তব্য
ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ

একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান না থাকার প্রস্তাবে বিএনপির আপত্তি

    বিমান দুর্ঘটনার খবরে সংলাপ মুলতবি, আজ আবার বসবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান না থাকার প্রস্তাবে বিএনপির আপত্তি

একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা থাকার প্রশ্নে একমত হলেও প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান একই ব্যক্তি থাকার প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। তবে গুরুত্বপূর্ণ ওই তিনটি পদে একই ব্যক্তির থাকার বিষয়ে বিধি-নিষেধ আরোপে সম্মত নয় বিএনপি।

এই ইস্যুতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আর সংবিধানের মূলনীতি নিয়ে আলোচনাকালে কমিশনের প্রস্তাবে বিএনপি সমর্থন জানালেও ঘোরতর আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ (সিপিবি) বাম প্রগতিশীল দলগুলো।

তারা সংবিধানের চার মূলনীতি বহাল রেখেই নতুন প্রস্তাব যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার সংলাপের ১৬তম দিনে এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়। দুপুরের খাবার বিরতির পর বিমান দুর্ঘটনার খবর পৌঁছলে শোক প্রস্তাব গ্রহণের পর সংলাপ মুলতবি করা হয়।

ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংলাপে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া।

সংলাপে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সংলাপের সূচনা বক্তব্যে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত। আমি, আপনি ও আমরা সবাই যে জায়গায় উপনীত হয়েছি, তার সাফল্য ও ব্যর্থতা সবকিছুর ঊর্ধ্বে হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। একটা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলাম আমরা।

এ জন্য লাখ লাখ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। শুধু এক দিনের সংগ্রামে সেটা হয়নি। একটি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে কেবল সেটা হয়নি। দীর্ঘদিনের সংগ্রামের মাধ্যমে সেই জায়গায় এসেছি।

আলী রীয়াজ বলেন, ৫৩ বছর ধরে আমরা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি।

চেষ্টা করেছি একটি গণতান্ত্রিক জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায়। সব ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে সবাই মিলে, মতপার্থক্য ভুলে একটা সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এই জায়গায় এসেছি। এই পটভূমিতে আজ জাতীয় সনদের প্রশ্ন। মুক্তিযুদ্ধ, ৫৩ বছরের সংগ্রাম এবং গত বছরে অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থান, রক্তপাত ও প্রাণনাশ, সেগুলো আপনারা মনে রাখুন। সেই বিবেচনাগুলো সামনে রেখে আমাদের অগ্রসর হতে হবে।

সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত সংবিধানের চার মূলনীতি বাতিল করে সংস্কার কমিশন নতুন প্রস্তাব করেছিল, আমরা আপত্তি জানিয়েছিলাম। আবার নতুন করে প্রস্তাব এনেছেন, যার মধ্যে চার মূলনীতি নাকচ করা হয়েছে। তাই আমরা আপত্তি জানিয়েছি। এ ক্ষেত্রে সমাধান হিসেবে বলেছি, প্রস্তাবটি হতে পারে, সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির সঙ্গে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি উল্লেখিত হবে। অন্যথায় এটা গ্রহণ করা যাবে না। সিপিবি ক্ষমতায় গেলে একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান থাকবেন না বলে জানান তিনি।

এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তাঁর দল মনে করে, দলীয় প্রধানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি উন্মুক্ত থাকা দরকার। নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া কোনো দলের সংসদীয় কমিটি যদি মনে করে যে তারা দলীয় প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে, তাহলে গণতান্ত্রিক এ প্রক্রিয়ার সুযোগ বন্ধ করা ঠিক হবে না। প্রধানমন্ত্রী এবং তার সঙ্গে সংসদ নেতার ভূমিকাটা প্রায় অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, এই দুই ক্ষেত্রে একত্রে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সংসদ নেতা থাকতে কোনো অসুবিধা নেই।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, গণতন্ত্রে কোনো ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হলে তাঁকে অপশন হিসেবে রাজনৈতিক দলের প্রধানের পদটা ছাড়তে হবে, এ রকম কোনো চর্চা সাধারণত দেখা যায় না। এটা (দলীয় পদ) তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার।

সংলাপ শেষে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, এক ব্যক্তি যাতে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন সে বিষয়ে সংবিধানে নীতি প্রণয়ন করার প্রস্তাবকে আমরা সমর্থন জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান একই ব্যক্তি হলে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দলীয়করণ কিভাবে রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তা আমরা অতীতে বহুবার দেখেছি।

তিনি বলেন, বিএনপি উপস্থাপিত ৩১ দফার চতুর্থ পয়েন্টে আইনসভা, মন্ত্রিসভা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার যে অঙ্গীকার করা হয়েছে, তার সঙ্গে এই প্রস্তাব সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ।

বিমান দুর্ঘটনায় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ মুলতবি : রাজধানীর উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনের পরবর্তী অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয়।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ শোকবার্তা পাঠ করেন। এরপর নিহত সদস্যের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। কমিশনের পক্ষ থেকে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয় এবং তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়। কমিশনের সভায় উপস্থিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নেন।

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় আবারও এই সংলাপ বসবে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

 

মন্তব্য

আদালতের নির্দেশে গোপালগঞ্জে তিনজনের মরদেহ উত্তোলন

    নিরীহরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় : বিএনপি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
আদালতের নির্দেশে গোপালগঞ্জে তিনজনের মরদেহ উত্তোলন

আদালতের নির্দেশে গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে গোপালগঞ্জ পৌর কবরস্থান থেকে ইমন তালুকদার ও রমজান কাজীর লাশ এবং টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী থেকে সোহেল কাজীর লাশ উত্তোলন করা হয়।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, নিহতের ঘটনায় মামলার বাদীরা গত রবিবার আদালতে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলনের আবেদন করলে আদালত লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন। পরবর্তী সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মুন্সী ও রন্টি পোদ্দারের উপস্থিতিতে নিহত রমজান কাজী, ইমন তালুকদারের লাশ গোপালগঞ্জের গেটপাড়া পৌর কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়।

এদিকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মারুফ দস্তগির সোহেল রানা মোল্লার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করে। পরে তিনটি লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ আড়াই শ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। এ ছাড়া অন্য দুজনের মধ্যে দীপ্ত সাহার মরদেহ সৎকার ও রমজান মুন্সীর মরদেহের ময়নাতদন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করা হয়।

গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবান : গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাকর্মী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় কোনো নিরীহ শান্তিপ্রিয় নাগরিক যাতে হয়রানি না হয়, সেদিকে প্রশাসনের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে জেলা বিএনপি।

গতকাল সোমবার সকাল পৌনে ১১টায় শহরের বড়বাজার পৌর মার্কেটে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, গত বুধবার গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা বা থানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপি তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। আগামীতে যেকোনো নিবন্ধিত বৈধ রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ ও মিটিং-মিছিলে যাতে কোনো অপশক্তি কোনো প্রকার আক্রমণ বা বাধার সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য জেলা প্রশাসকসহ সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সজাগ দৃষ্টি রাখার অনুরোধ রইল।

তিনি বলেন, ঘটনার দিন সমাবেশ শুরুর আগে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত অঙ্গসহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এনসিপির সমাবেশ পণ্ড করতে সকাল থেকে গোপালগঞ্জ শহরে আসার সব সড়কের পাশে থাকা গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করে। সেই সঙ্গে কর্তব্যরত সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের মারপিট, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে জনমনে ভীতির সৃষ্টি করে। এ ছাড়া সরকারি স্থাপনায় হামলা, ও ভাঙচুর করে এবং গোপালগঞ্জ জেলা সদরে থাকা বিএনপি নেতাদের বেশ কয়েকটি তোরণ ভাঙচুর করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট কাজী আবুল খায়ের, বিএনপি নেতা ডা. কে এম বাবর, অ্যাডভোকেট তৌফিকুল ইসলামসহ বিএনপি ও সহযোয়ী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ