ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের কনফারেন্স হলে ‘শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, বাংলাদেশের শ্রম খাতের সুষম উন্নয়ন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অতিথিরা। গতকাল জার্মান সোসাইটি ফর ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন—জিআইজেডের সুরক্ষা প্রকল্প ও কালের কণ্ঠ এই বৈঠকের আয়োজন করে। ছবি : কালের কণ্ঠ

সামাজিক নিরাপত্তা শুধু শ্রমিক নয়, প্রত্যেকটি মানুষের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার থেকে বেশি বঞ্চিত হচ্ছেন শ্রমিকরা। তাঁরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা, আবাসন সুবিধা পাচ্ছেন না। আর শ্রম আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবে শ্রমিক পাচ্ছেন না ন্যায্য অধিকার।

শ্রমিকের বয়স ৩৫ বছর হলেই কমছে উৎপাদনক্ষমতা, বাড়ছে চাকরি হারানোর ঝুঁকি। এসব সমস্যার সমাধানে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া দরকার।

শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজনগতকাল শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের কনফারেন্স হলে শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, বাংলাদেশের শ্রম খাতের সুষম উন্নয়ন শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এই তাগিদ দেন।

গোলটেবিল বৈঠকটি যৌথভাবে আয়োজন করে জার্মান সোসাইটি ফর ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন-জিআইজেডের সুরক্ষা প্রকল্প ও কালের কণ্ঠ।

সহযোগিতায় ছিল লাউডেস ফাউন্ডেশন।

আলোচনায় শ্রমিকের সুরক্ষার বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের শ্রম অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ বলেন, সামাজিক সুরক্ষা বলতে আমরা বুঝি, একটা দেশের সব মানুষের সুরক্ষার বিষয়টি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শ্রমিকের সুরক্ষা। আমাদের শ্রম আইনে শ্রমিকের সুরক্ষার বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া আছে।

তবে শুধু আইন থাকলেই হয় না, এর বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন সবার সমন্বিত উদ্যোগ, সবার অংশগ্রহণ। 

তৌফিকুল আরিফ বলেন, ৪৩টি সেক্টরে নিম্নতম মজুরি পাঁচ বছর থাকবে। প্রতি পাঁচ বছর পর মজুরি পুনর্নির্ধারণ করার কথা। এটা সময়মতো না হওয়ার দায় শুধু সরকারের একার নয়; শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধিদেরও আছে।

ইউএনডিপির সোশ্যাল প্রটেকশন পলিসি সাপোর্ট প্রকল্পের প্রগ্রাম ম্যানেজার আমিনুল আরিফীন বলেন, শ্রমিক সুরক্ষা নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে বড় বাধা হলো তথ্যভাণ্ডার নেই।

শ্রমিকদের ডাটা নেই। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের সুরক্ষার কাজ করতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে।

আমিনুল আরিফীন বলেন, তথ্য বলছে, দেশে এখন নির্মাণ খাতে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক মারা যান। এর বাইরে বিদেশে নির্মাণ খাতে কর্মরত কত প্রবাসী মারা যাচ্ছেন তার কোনো তথ্য-উপাত্ত কিন্তু আমাদের কাছে নেই। এসব দিকে এখন নজর দিতে হবে।   

আমিনুল আরিফীন বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকরা এখন ৩৫ বছর হলেই চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে থাকছেন। কারণ তাঁদের উৎপাদনশীলতা কমছে। এ বিষয়টি উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। অর্থাৎ একটা সময় পর কর্মীদের আয়ের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে। এখানেই সুরক্ষার উদ্যোগ নিতে হবে।

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ অ্যান্ড সায়েন্সের পেশাগত ও পরিবেশগত স্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদ ফারুকী বলেন, শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা বিষয়টি সংবিধানে যথাযথভাবে বলা আছে। পোশাক খাতে দাতা সংস্থাগুলো অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স তৈরি করেছিল। তাদের তৎপরতায় এই খাতে সামাজিক সুরক্ষার কিছু কাজ হয়েছে।

অধ্যাপক ফারুকী বলেন, মৃত্যু, দুর্ঘটনার বাইরে আমাদের শ্রমিকরা পেশাগত কারণে অসুস্থ হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে কিন্তু আমরা তাঁদের সুরক্ষা দিতে পারছি না। পোশাক, পাটের মতো খাতে শ্রমিকদের প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা হলো শ্বাসকষ্টজনিত রোগ। এটা শ্রমিকদের কর্মক্ষমতা, জীবনীশক্তি কমিয়ে আনে। 

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ফাঁকগুলো বেশ বড়। এই ফাঁক গলে অনেক কিছু পড়ে যায়। যেমনশ্রম আইনে আছে দুগ্ধদানকারী মা সামাজিক সুরক্ষা পাবেন। কিন্তু এটা পেতে হলে ওই মায়ের আয় মাসে পাঁচ হাজার টাকার নিচে হতে হবে। এখন দিনে যিনি ২০০ টাকা করেও আয় করেন তাঁর আয় মাসে ছয় হাজার টাকা হওয়ায় তিনি আর এই সুরক্ষা সুবিধার সুযোগ পাবেন না। এখন তো দিনে ২০০ টাকার কম মজুরি নেই বললেই চলে।   

রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, সামাজিক উৎপাদনের সঙ্গে সামাজিক সুরক্ষাকে যুক্ত করতে হবে। শ্রমিক যখন দেখতে পাবেন যে তাঁর জন্য সত্যিকারের সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা আছে, তখন তিনি চাকরি হারানোর ভয় থেকে মুক্তি পাবেন। তিনি শ্রমিকদের সুরক্ষায় আইএলও কনভেনশনের ৯টি বিষয় বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন। 

ইন্টারন্যাশনাল লেবার অরগানাইজেশনের (আইএলও) সোশ্যাল প্রটেকশনের ন্যাশনাল প্রগ্রাম অফিসার ফারজানা রেজা বলেন, সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে আইএলওর সামাজিক নিরাপত্তা, সামাজিক বীমা এবং সক্রিয় শ্রমবাজার কর্মসূচি আছে। জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলে সরকার অনেক কাজ করছে। সরকার ১১৫টি সোশ্যাল সিকিউরিটি প্রগ্রাম নিয়েছে, যার আওতায় সব পর্যায়ের সুবিধাভোগী এসে যাচ্ছে।

কর্মক্ষেত্রে কোনো শ্রমিক আহত বা নিহত হলে তাঁদের সুরক্ষার জন্য আইএলওর নীতির মাধ্যমে ইনস্যুরেন্সের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই কাজ এখন পোশাক খাতে পাইলট প্রকল্প পর্যায়ে আছে। পরবর্তী সময়ে এটি জাতীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।

বিলস নির্বাহী কমিটির সম্পাদক সাকিল আখতার চৌধুরী বলেন, শ্রমিকদের শতকরা ৮৮ ভাগ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। এঁদের সুরক্ষায় আওতায় আনা বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের অনেক ভালো আইন আছে, কিন্তু বাস্তবে প্রয়োগ খুব কম। তাই আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। অংশগ্রহণমূলক প্রচেষ্টা থাকতে হবে।

বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের মহাসচিব ফারুক আহমেদ বলেন, আমাদের জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী। তাদেরও সামাজিক সুরক্ষা প্রয়োজন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৯৩ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিল, কিন্তু আমরা তা ব্যবহার করতে পারিনি। কারণ আমাদের শ্রমিক ডাটাবেইস নেই। ফলে টাকা ফেরত চলে গিয়েছিল। তাই সরকারের উচিত একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই ডাটাবেইস তৈরি করা, যেখানে সব নাগরিকের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত থাকবে।

অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের উইমেন রাইট ইকুইটির ম্যানেজার মরিয়ম নেসা বলেন, পোশাক খাতে যে নারীরা কাজ করেন তাঁদের সুরক্ষার নানা দিক আছে। আমরা বলছি, এই খাতে আরো নারী আসুক। কিন্তু তাঁরা সন্তানকে কার কাছে রেখে আসবেন, তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। অনেক কর্মক্ষেত্রে নারী কর্মী সন্তানসম্ভাবনা হলে বাদ পড়ছেন। তাঁর সুরক্ষার বিষয়টি আমাদের ভাবতে হবে।

বৈঠকে সমাপনী বক্তব্য দেন জিআইজেডের সুরক্ষা প্রকল্পের কারিগরি উপদেষ্টা আসাদুজ্জামান রুমন। গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন কালের কণ্ঠর সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কালের কণ্ঠর নিজস্ব প্রতিবেদক তামজিদ হাসান তুরাগ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ