<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামে ছাত্রীটির বসতঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরিবার, এলাকাবাসী ও পুলিশ জানিয়েছে, বিদ্যালয়ের বেতন ও আনুষঙ্গিক বকেয়া পরিশোধ করতে না পেরে শিক্ষকের অপমানের হাত থেকে রক্ষা পেতে সে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মৃত লাবনী আক্তার তারাকান্দি গ্রামের মুদি দোকানদার লাল মিয়ার মেয়ে ও রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সে তিন বোনের মধ্যে দ্বিতীয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুলিশ, মৃতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ৭ জুন লাবনীর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা। পরীক্ষা দিতে তাকে বেতন ও আনুষঙ্গিক বকেয়া দুই হাজার ২০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়। এর আগে বিদ্যালয়ে নির্ধারিত সময়ে বেতন পরিশোধ করতে না পেরে অনেক শিক্ষার্থীকে অপমানিত-অপদস্থ হতে হয়েছে। এ কারণে গতকাল সকালে ওই টাকা না নিয়ে বিদ্যালয়ে যাবে না বলে পরিবারকে জানায় লাবনী। পরে তার মা-বাবা অর্ধেক টাকা জোগাড় করে দিলেও কর্তৃপক্ষের কাছে অপমানিত হতে হবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই আশঙ্কায় সে বিদ্যালয়ে যেতে রাজি হয়নি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরিবারের লোকজন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এ সময় লাবনী বসতঘরের ধরনার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে এবং অভিযোগ না থাকায় দাফনের অনুমতি দেয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লাবনীর বাবা লাল মিয়া ও মা ফাহিমা বেগম বলেন, অর্ধেক টাকা জোগাড় করে দেওয়া হলেও অপমানের ভয়ে স্কুলে যায়নি মেয়ে। পরে পরিবারের অজান্তে ঘরের ধরনার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তারাকান্দি গ্রামের হাবু মিয়া বলেন, রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোনো বিষয়ে এক টাকাও কম নেন না। তাঁর কাছে কোনো অনুরোধই কাজে আসে না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিদ্যালয়টির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক উজ্জ্বল মিয়া বলেন, তাঁর মেয়ের বেতন দিতে এক দিন দেরি হয়েছিল। এ কারণে তাঁর মেয়েকে বিদ্যালয়ে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পোগলদিঘা ইউপির সদস্য আফজাল হোসেন বলেন, বেতন দিতে না পারায় লাবনী আত্মহত্যা করেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান বাছেদ বলেন, বিদ্যালয়ের পাওনা আদায়ের জন্য কোনো শিক্ষার্থীকে চাপ দেওয়া হয় না। কোনো শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে থাকলে সেটা হয়তো অন্য কোনো কারণে করেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) আমজাদ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, বিদ্যালয়ের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে অভিমানে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>