ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭
বসুন্ধরার সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ

স্বাবলম্বী ২৫ হাজার পরিবার

জাকারিয়া জামান
জাকারিয়া জামান
শেয়ার
স্বাবলম্বী ২৫ হাজার পরিবার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে গতকাল বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। ছবি : কালের কণ্ঠ

ছয়-সাত বছর আগে একটা এনজিও থেইক্কা অল্প কিছু টাকা লোন নিছিলাম। শর্ত ছিল, এক বছরের মইধ্যে শোধ দিতে অইবো। খুব চেষ্টা কইরাও এক বছরে শোধ দিতে পারি নাই। এর পরের কতা মনে আইলে কান্দন আহে।

নিজের যা কিছু আছে, সব বেইচ্চা কোনো রকমে উদ্ধার অইছি।

ওপরের এই দুঃসহ অভিজ্ঞতার শিকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দুর্গারামপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী হনুফা বেগম। বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সহায়তায় সেই দুঃস্বপ্নতাড়িত দিনগুলো পেছনে ফেলে এসেছেন তিনি। গতকাল সোমবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ক্ষুদ্রঋণ নিতে এসে কথাগুলো বলছিলেন হনুফা বেগম।

হনুফা জানান, সব বেচে এনজিওর ঋণ থেকে মুক্ত হওয়ার পর দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে খুব বিপদে পড়েছিলেন। সন্তানদের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায় প্রায়। তখনই খোঁজ পান বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত ঋণের। টুকটাক সেলাইয়ের কাজ জানতেন।

বসুন্ধরার ঋণ নিয়ে একটা সেলাই মেশিন কেনেন। তা দিয়ে কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন। তাঁর বড় সন্তান (মেয়ে) উচ্চ মাধ্যমিক পড়ে। ছেলে এসএসসি পাস করেছে।

হনুফা এবার চতুর্থবারের মতো ঋণ নিতে এসেছিলেন।

জানালেন, এবার তাঁর মেয়েও ঋণ নেবে। সেও সেলাইয়ের কাজ শিখছে।

একটা মেশিন কিইন্না মা-মেয়ে কাজ করলে সংসার খুব ভালো চলবো। পোলা-মাইয়া দুইডার পড়ালেহাও চালাইতে পারবো। পোলার বাবায়ও কৃষিকাম করে। ছয় বছর আগে আমার সংসারের যে হাল হইছিল, এহন আর সেইটা নাই। বসুন্ধরার ঋণ নিয়া আমার পরিবারে সচ্ছলতা ফিরা আইছে’—ক্ষুদ্রঋণ নিতে এসে এভাবেই হাস্যোজ্জ্বল মুখে ভবিষ্যতের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন হনুফা বেগম।

গতকাল সকাল ১১টায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের অফিস প্রাঙ্গণে সংস্থাটির ৬৬তম ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন। তাদের উদ্যোগে ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠর প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। তাঁর হাত থেকে ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণ করেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ১৬টি গ্রামের ৪৭০ জন সুবিধাবঞ্চিত নারী। এদিন ৭০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো ঋণ গ্রহণ করেছেন ৭২ জন। বাকি ৩৯৮ জন আগেও ঋণ নিয়েছিলেন। সেই ঋণ শোধ করে আবার ঋণ নিতে এসেছেন। হনুফা তাঁদেরই একজন।

কমবেশি হনুফার মতোই অভিজ্ঞতা লাভলি, শেফালি, পারুলের মতো আরো অনেক নারীর। সবাই খুব কষ্ট করে দিন কাটাতেন। বসুন্ধরার সুদমুক্ত ঋণের বদৌলতে এখন তাঁদের পরিবারে সচ্ছলতা এসেছে।

মধ্যনগর গ্রামের শারমিন আক্তারের কোলে মাস ছয়েকের শিশু। সংসারে সচ্ছলতা ফিরে আসার গল্প করতে গিয়ে তিনি বলেন, এমনও সময় ছিল, তিন বেলা খাবারের কষ্ট করতাম। আমি সেলাইকাজ জানি। কিন্তু মেশিন কেনার সামর্থ্য ছিল না। বসুন্ধরা থেকে গত বছর প্রথম ঋণ নিয়ে একটি সেলাই মেশিন কিনলাম। আস্তে আস্তে কাজ আসতে লাগল। ধীরে ধীরে আয় বেশ বেড়ে গেল। আর খাওয়ার কষ্ট থাকল না। স্বামী-সন্তান নিয়ে এখন বেশ ভালো আছি। আমার ভালো থাকার পেছনের কারিগর বসুন্ধরা গ্রুপ।

দোয়ানী গ্রামের মরিয়ম বেগম এক বছর আগে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে দুটি ছাগল কিনেছিলেন। এখন  তাঁর ছাগল হয়েছে ছয়টি। এবারের ঈদে ছাগল বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন বলে আশাবাদী মরিয়ম। তার পরও তিনটি ছাগল থেকে যাবে।

ঋণ নিতে আসা একসময়ের বিপন্ন এই নারীরা জীবনের সঙ্গে সংগ্রাম করে সফল হয়েছেন। তাঁদের টিকে থাকার লড়িয়ে মনোভাব তৈরি করে দিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ক্ষুদ্রঋণে স্বাবলম্বী হয়েছে কমপক্ষে ২৫ হাজার পরিবার।

বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমুন কবির জানান, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৫ সালের ৮ ডিসেম্বর ফাউন্ডেশনের ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে বাঞ্ছারামপুর, নবীনগর ও হোমনা উপজেলার ৯৫টি গ্রামের মানুষকে এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে।

ঋণ নিতে আসা নারীদের উদ্দেশে কালের কণ্ঠর প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিরল ঘটনা। কোনো ধরনের লাভ ছাড়া এমন কাজ করতে পারে একমাত্র বসুন্ধরা গ্রুপ। গ্রামীণ অসচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বী করতে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান নানা ধরনের কাজ করে থাকেন। এই ঋণ বিতরণ তার অন্যতম। আজ পর্যন্ত প্রায় ২২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে এবং আদায়ের হার শতভাগ। পরিশ্রম করে আপনারা স্বাবলম্বী হচ্ছেন জেনে খুব ভালো লাগছে। আপনারা ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকবে। বসুন্ধরা গ্রুপ মানুষের কল্যাণে কাজ করে, দেশের কল্যাণে কাজ করে। সবাই বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া করবেন।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে পাট চাষ

শেয়ার
তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে  পাট চাষ

তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে করা হয়েছে পাট চাষ। সেই পাট কেটে মহিষের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পানিতে জাগ দেওয়ার জন্য। গতকাল রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্নেয়া ইউনিয়নের চর বাঘমারা থেকে তোলা। ছবি : মো. আসাদুজ্জামান

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী মুগদা হাসপাতালে

শেয়ার
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী মুগদা হাসপাতালে

খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ এলাকার আড়াই বছর বয়সী নূরজাহান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল তোলা। ছবি : মঞ্জুরুল করিম

মন্তব্য

২২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা খেলাফত মজলিসের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
২২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা খেলাফত মজলিসের

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২৩টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির আমির মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দলটি আগামী জাতীয় সংসদে নিম্নকক্ষে আংশিক আনুপাতিক ও উচ্চকক্ষে পূর্ণ আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক দ্বিকক্ষীয় সাংবিধানিক কাঠামোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দলের নেতারা বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ।

আনুপাতিক পদ্ধতির মাধ্যমেই সব শ্রেণি ও মতধারার সঠিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব।

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেওয়া আত্মঘাতী। এতে ফ্যাসিবাদের দোসররা আরো উৎসাহী হচ্ছে। আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, তবে ফ্যাসিবাদ ফের মাথা চাড়া দেবে।

গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী শৈথিল্য দেখালেও পরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে দুষ্কৃতকারীরা দ্রুত প্রতিহত হয়েছে, যা প্রশংসনীয়। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেনদলের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন ও মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা ফয়সাল আহমদ। এ ছাড়া ছিলেন মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা হারুনুর রশীদ, মাওলানা রুহুল আমীন খান, মাওলানা হাসান জুনাইদ, মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনী, মাওলানা জয়নুল আবেদীন ও মাওলানা মুহসিন বেলালী।

মন্তব্য

রামেকে ইন্টার্ননির্ভর চিকিৎসায় ঝুঁকিতে মুমূর্ষু রোগীরা

রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী
রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী
শেয়ার
রামেকে ইন্টার্ননির্ভর চিকিৎসায় ঝুঁকিতে মুমূর্ষু রোগীরা

পাবনার ঈশ্বরদী এলাকার ওয়াহেদুজ্জামান (৭১) জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে পরিবারের সদস্যরা গত ১৩ জুলাই সন্ধ্যার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। রোগীকে জরুরি বিভাগ থেকে পাঠানো হয় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে (মেডিসিন ওয়ার্ড)। ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাঁকে ভর্তি করে নেন।

সেখানে বারান্দায় একটি শয্যায় রেখে চলতে থাকে রোগীর চিকিৎসা। পরের দিন ১৪ জুলাই সকালে ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বরত স্থায়ী অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা গিয়ে রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন।

পরের দিন ১৫ জুলাই সকালের দিকে রোগী কিছুটা সুস্থ বোধ করলে তাঁকে ছুটি দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু দুপুর গড়াতে না গড়াতেই রোগী আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন।

তখন কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোগীকে প্রথমে অক্সিজেন এবং পরবর্তীতে স্যালাইন দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত একটা অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নগরীর বাকির মোড়ে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে।
সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে দ্রুত তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। ধরা পড়ে তাঁর শরীরে ডেঙ্গুসহ নানা জটিলতা। তবে তাৎক্ষণিক সঠিক চিকিৎসা পাওয়ায় রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকেন।

এটি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতিদিনের চিত্র। চিকিৎসকসংকটে দিনের প্রায় ১৮ ঘণ্টাই ইন্টার্ন চিকিৎসকনির্ভরতার মাধ্যমে চলছে এই হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা।

খুব জরুরি প্রয়োজনে ফোনে পরামর্শ নেওয়া হয় অভিজ্ঞ ডাক্তারদের। এর বাইরে এফসিপিএস ডিগ্রিধারী বা এফসিপিএস করছেন এমন মধ্যম মানের চিকিৎসকরা থাকেন ভর্তির দিন ধার্য থাকা ওয়ার্ডগুলোতে। এ ছাড়া দিনের ২৪ ঘণ্টা প্রতিটি ওয়ার্ডেই চার থেকে ছয়জন করে পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করতে হয় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের। এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই ইন্টার্নদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। 

পাবনার ঈশ্বদীর রোগী ওয়াহেদুজ্জামানের ছেলে হামিম আবেদীন বলেন, রামেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসক দিনে একবার করে আসার কারণে আমার বাবার সমস্যাগুলো জটিল হয়ে গিয়েছিল, যা ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বুঝে উঠতে পারেননি।

ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করি রোগীর সেবা দেওয়ার। কিন্তু যে পরিমাণ রোগীকে চিকিৎসা দিতে হয়, সে পরিমাণ ইন্টার্ন চিকিৎসকও নেই।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত আনসার সদস্যও নেই। অন্যদিকে যেসংখ্যক রোগী ভর্তি হচ্ছে, সেসংখ্যক অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসাসামগ্রী ও ওষুধপথ্যও আমরা দিতে পারছি না। কারণ সব কিছু বরাদ্দ হচ্ছে ৫০০ শয্যার বিপরীতে। কিন্তু এখানে শয্যাই আছে এক হাজার ২০০টি। এর বাইরেও অতিরিক্ত আরো দুই থেকে আড়াই হাজার রোগীকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে আমাদের নানাভাবে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।    

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ