ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

চার বছরেও চূড়ান্ত হয়নি নীতিমালা

শরীফ শাওন
শরীফ শাওন
শেয়ার
চার বছরেও চূড়ান্ত হয়নি নীতিমালা

হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার চার বছর পরও বুলিং প্রতিরোধে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো কোনো নীতিমালা চূড়ান্ত হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, করোনার কারণে দীর্ঘ সময় এই নীতিমালাসংক্রান্ত কাজ বন্ধ ছিল। এর পর থেকে ধাপে ধাপে চলছে কাজ।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে বুলিং প্রতিরোধে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

তবে এখনো মাউশির কাছে এ ধরনের কোনো কমিটি গঠনের তথ্য নেই।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বুলিংয়ের (শারীরিক, মানসিক বা অন্য কোনোভাবে হেনস্তা) শিকার এক স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় ২০১৮ সালে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বুলিং প্রতিরোধে নীতিমালা তৈরির নির্দেশ দেন। ২০১৯ সালে এবিষয়ক একটি খসড়া নীতিমালা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। আদালত এটি সংশোধন করে আবার জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এভাবে কয়েকবার এই নীতিমালা সংশোধন করে আদালতে জমা দেওয়া হয়। প্রতিবারই হাইকোর্ট এটি সংশোধনের মাধ্যমে চূড়ান্ত করার নির্দেশ দেন।

সেই নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে বুলিং প্রতিরোধ নীতিমালা-২০২৩ খসড়া প্রকাশ করা হয়। খসড়াটি সর্বশেষ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষাসচিবের নেতৃত্বে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের একটি সভা হয়।

তারপর পঞ্চমবারের মতো সংশোধিত নীতিমালা গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়। একই দিন হাইকোর্ট আবার এটি সংশোধন করে চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

নীতিমালার খসড়া প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতার বিষয়ে নাম না প্রকাশ করার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের একজন উপসচিব বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘ আড়াই বছর নীতিমালাসংক্রান্ত কাজ বন্ধ ছিল। এরপর ধাপে ধাপে কাজ এগিয়েছে।  

এ বিষয়ে শিক্ষাসচিব সোলেমান খান কালের কণ্ঠকে বলেন, নীতিমালাটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

এটি চূড়ান্ত করতে অংশীজনদের নিয়ে আরো কয়েকটি সভার আয়োজন করা হবে।

বুলিংয়ের বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে কারা থাকবেন, এ ব্যাপারে সচিব বলেন, নীতিমালা চূড়ান্ত হওয়ার পর এসব বিষয়ে জানানো হবে।

অন্যদিকে বুলিং প্রতিরোধে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে মাউশি। গত জানুয়ারিতে এমন নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনো মাউশির কাছে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কমিটি গঠনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, তিন কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিংয়ের প্রবণতা বাড়ছে। এগুলো হলো বুলিংয়ের শাস্তি নিয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এ বিষয়ে সঠিক ধারণা না থাকা এবং বুলিং প্রতিরোধে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের অভাব।

এ বিষয়ে মাউশির তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার কালের কণ্ঠকে বলেন, সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কমিটি গঠনের তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে বেশির ভাগ স্কুলেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এসব তথ্য আঞ্চলিক অফিস হয়ে মাউশিতে পাঠাবে। শিগগিরই এসব তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ৬২ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো বুলিং প্রতিরোধে কমিটি গঠন করা হয়নি। ৩৮ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন করা হলেও শিক্ষকদের বুলিং বিষয়ে কোনো প্রশিক্ষণ নেই। মাউশির আওতাভুক্ত ঢাকা জেলায় সরকারি, এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিওভুক্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, অনার্স ও মাস্টার্স স্তরের কলেজের সংখ্যা মোট এক হাজার ১০৭। এর মধ্যে মাত্র ৪২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং প্রতিরোধে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য মতে, সারা দেশে মাউশির অধীনে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা নিয়ে ৩৩ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। কিন্ডারগার্টেন মালিকপক্ষের হিসাবে, এর বাইরে দেশে আরো ৬০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে।

ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল মজিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, শিক্ষকদের বুলিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ না থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন করা হলেও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। যৌন হয়রানি বা র‌্যাগিংয়ের পাশাপাশি মৌখিক, শারীরিক, সামাজিক, সাইবার, সেক্সুয়াল ও জাতিগতভাবে বিভিন্ন হেনস্তার ঘটনা ঘটে। বুলিংয়ের এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা অভিভাবকদেরও ধারণা নেই। শুধু সহপাঠী নয়, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আশপাশের প্রভাবশালীদের দ্বারাও শিক্ষার্থীরা বুলিংয়ের শিকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তুলনায় প্রাইভেট ও কোচিং সেন্টাগুলোতে শিক্ষার্থীরা বেশি হেনস্তার শিকার হয়।

সম্প্রতি ঢাকা সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুলে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অষ্টম শ্রেণির শাখার একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগে বলা হয়, ছাত্রীদের ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে প্রথমে তাদের নিজ বাসায় কোচিং করতে বাধ্য করেন তিনি। সেখানে নানাভাবে তিনি যৌন হয়রানি করেন। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগটি দেওয়া হয়েছে।

বুলিং নিয়ে এক তদন্ত কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অভিযুক্ত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সংশ্লিষ্ট অভিভাবক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা  নেওয়া সহজ। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া পর্যন্ত তদন্ত কমিটির কাজ। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির। সম্প্রতি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিংয়ের ঘটনা তদন্তে গিয়ে দেখা যায়, প্রশিক্ষণের অভাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের এ বিষয়ে ধারণা নেই। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় সম্পর্কেও জানেন না তাঁরা। নীতিমালা না থাকার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বুলিংয়ের প্রবণতা বেড়েছে।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার পর (২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর আত্মহত্যা করে) ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বুলিং প্রতিরোধে নীতিমালা তৈরির আদেশ দেন উচ্চ আদালত। নকলের দায়ে ওই শিক্ষার্থীকে অপমানের মাধ্যমে আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে চাকরিচ্যুত হন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস। তখন নীতিমালা তৈরিতে অতিরিক্ত শিক্ষাসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেন আদালত।

২০২৩ সালের ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি মানসিক, শারীরিক ও যৌন হয়রানির শিকার হন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। সে সময় হাইকোর্ট জানান, এই নীতিমালা থাকলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা না-ও ঘটতে পারত।

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ