পড়ালেখায় অনিয়মিত, কিন্তু যাবতীয় অপকর্ম ও মারধরে নিয়মিত। তাঁরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রলয়’ গ্যাংয়ের সদস্য। গত শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনকে পেটান তাঁরা। এরপরই তাঁদের নাম এবং একের পর এক অপকর্মের তথ্য জানা যাচ্ছে।
পড়ালেখায় অনিয়মিত অপকর্মে নিয়মিত
মানজুর হোছাইন মাহি

‘প্রলয়’ গ্যাংয়ে রয়েছে অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থী। তাঁরা সবাই ২০২০-২১ সেশনে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার প্রায় সব অপকর্মে তাঁরা জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক সেবন ও ছিনতাইয়ের ঘটনায়ও তাঁদের যুক্ত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রলয় গ্যাংয়ের সাবেক সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের নভেম্বরে এই গ্যাংয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা চিকিৎসা কেন্দ্রের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে আড্ডা দেওয়া শুরু করেন। ধীরে ধীরে এটিকে কার্যালয়ে পরিণত করেন।
বিভিন্ন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত বলে যাদের নাম এরই মধ্যে গণমাধ্যমে উঠে এসেছে, তাঁরা কেউ ক্লাসে ও পড়াশোনায় নিয়মিত নন। এঁদের মধ্যে কয়েকজন পরের বর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্লাস করছেন।
এঁদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল এবং শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের শিক্ষার্থী তবারক মিয়ার বিরুদ্ধে সহপাঠীকে মারধর করার অভিযোগ আছে। একজন শিক্ষক এসে তাঁকে থামান এবং আর কখনো তাঁর ক্লাসে না আসার নির্দেশ দেন।
আরেক সদস্য স্যার এ এফ রহমান হল ও চারুকলা অনুষদের প্রিন্ট মেকিং বিভাগের শিক্ষার্থী শাহ আলম এর আগেও ক্যাম্পাসে মারামারি করে থানায় সোপর্দ হয়েছিলেন।
গ্যাংয়ের আরেক সদস্য শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আরিফ মনোয়ার মাহিন তাঁর বিভাগে শ্রেণি প্রতিনিধি (সিআর) ছিলেন। কিছুদিন আগেই বিভাগের এক নারী সহপাঠীকে উদ্দেশ করে কুরুচিপূর্ণ মেসেজ দেওয়ার অপরাধে শিক্ষকরা তাঁকে সিআর পদ থেকে বহিষ্কার করেন।
গ্যাংয়ের অন্য দুই সদস্য মার্কেটিং বিভাগের বিপ্লব হোসেন জয় ও মো. শোভন। দুজনই বিভাগের ২৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী। কিন্তু ক্লাসে অনিয়মিত ও পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় তাঁদের দুজনকেই আবার প্রথম বর্ষে অর্থাৎ মার্কেটিং ২৮ ব্যাচে ভর্তি হতে হয়েছে।
জগন্নাথ হল ও লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রত্যয় সাহার খোঁজ নিলে জানা যায়, তিনি প্রথম সেমিস্টারে নিয়মিত ক্লাসে এলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেমিস্টারে তাঁকে বিভাগে দেখাই যায় না। ক্লাসে নিয়মিতই অনুপস্থিত থাকেন।
দুই সদস্য কারাগারে : গত রবিবার আহত শিক্ষার্থী জোবায়েরের মা প্রলয় গ্যাংয়ের ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ছয়-সাতজনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ গ্যাংয়ের দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ ও স্যার এ এফ রহমান হলের সাকিব ফেরদৌস এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগ ও কবি জসীমউদ্দীন হলের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান দুর্জয়। গতকাল সোমবার রাতে কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন শাহবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদ।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল এবং শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের তবারক মিয়া, একই হল ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের ফয়সাল আহমেদ সাকিব ও ফারহান লাবিব, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও দর্শন বিভাগের অর্ণব খান, মার্কেটিং বিভাগের মোহাম্মদ শোভন ও বিপ্লব হোসেন জয়, কবি জসীমউদ্দীন হল ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাদ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের সিফরাত সাহিল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সমাজকল্যাণ বিভাগের হেদায়েতুন নুর, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র আরিফ মনোয়ার মাহিন, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাদমান তাওহিদ বর্ষণ, একই হলের আবদুল্লাহ আল আরিফ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল এবং ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সৈয়দ নাসিফ ইমতিয়াজ, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবু রায়হান, জগন্নাথ হলের ও লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রত্যয় সাহা, জসীমউদ্দীন হলের রহমান জিয়া, চায়নিজ ল্যাঙ্গুয়েজ বিভাগের ফেরদৌস আলম ইমন, ফাইন্যান্স বিভাগের মোশারফ হোসেন ও জগন্নাথ হলের জয় বিশ্বাস।
পানি বিক্রিতে একচেটিয়া : প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্যরা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পানির বোতল বাদ দিয়ে ‘আইল্যান্ড’ প্রতিষ্ঠানের পানি কিনতে বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আশপাশের ব্যবসায়ীরা। অন্য প্রতিষ্ঠানের দুই লিটার পানির বোতলের দাম ৩৫ টাকা হলেও আইল্যান্ড প্রতিষ্ঠানের বোতলের দাম ৪০ টাকা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আইল্যান্ডের দাম বেশি হওয়ায় অনেক সময় মানুষ কিনতে চায় না। তবু প্রলয় গ্যাংয়ের ভয়ে ওই পানি তাদের রাখতে হয়।
চিকিৎসকের ওপর হামলা : গত বছরের ৮ আগস্ট রাতে ঢাবির শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা চিকিৎসাকেন্দ্রের বিপরীত পাশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ করছেন ওই ভুক্তভোগী চিকিৎসক। এ কে এম সাজ্জাদ হোসেন নামের ওই চিকিৎসক বলেন, ‘মামলার ১ নম্বর আসামি তবারক মিয়াকে আমার প্রবল সন্দেহ হচ্ছে যে সে ছিল। আমায় মারধরের সময় সে-ই প্রথম আমার কাছে এসেছিল। তখন এই তবারক তার এক বড় ভাইসহ এসে আমার কাছে এমন বক্তব্য দিয়েছিল যে সে খুব অসহায়। তাকে ফাঁসাতে কেউ আমায় তার নাম বলেছিল। আমিও সে রকমটি মনে করেছিলাম। কিন্তু এখন এসব সংবাদ দেখে মনে হচ্ছে আসলে সে-ই জড়িত ছিল।’
গ্যাং সংস্কৃতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবি : এদিকে জোবায়েরের ওপর নির্মম ও নৃশংস হামলার প্রতিবাদে এবং গ্যাং সংস্কৃতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন জোবায়েরের সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা অনতিবিলম্বে হামলায় জড়িত সবাইকে ক্যাম্পাস থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় একেবারেই তার নিজস্ব আইনে চলবে। এগুলো আমাদের নজরে এসেছে। আমরা শক্তভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কোনো বখাটে, গ্যাং, উচ্ছৃঙ্খল কারোই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকার যোগ্যতা নেই।’
সম্পর্কিত খবর

তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে পাট চাষ

তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে করা হয়েছে পাট চাষ। সেই পাট কেটে মহিষের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পানিতে জাগ দেওয়ার জন্য। গতকাল রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্নেয়া ইউনিয়নের চর বাঘমারা থেকে তোলা। ছবি : মো. আসাদুজ্জামান
।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী মুগদা হাসপাতালে

খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ এলাকার আড়াই বছর বয়সী নূরজাহান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল তোলা। ছবি : মঞ্জুরুল করিম
।
২২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা খেলাফত মজলিসের
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২৩টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির আমির মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দলটি আগামী জাতীয় সংসদে নিম্নকক্ষে আংশিক আনুপাতিক ও উচ্চকক্ষে পূর্ণ আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক দ্বিকক্ষীয় সাংবিধানিক কাঠামোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দলের নেতারা বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেওয়া আত্মঘাতী। এতে ফ্যাসিবাদের দোসররা আরো উৎসাহী হচ্ছে। আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, তবে ফ্যাসিবাদ ফের মাথা চাড়া দেবে।
গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী শৈথিল্য দেখালেও পরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে দুষ্কৃতকারীরা দ্রুত প্রতিহত হয়েছে, যা প্রশংসনীয়। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন ও মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা ফয়সাল আহমদ। এ ছাড়া ছিলেন মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা হারুনুর রশীদ, মাওলানা রুহুল আমীন খান, মাওলানা হাসান জুনাইদ, মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনী, মাওলানা জয়নুল আবেদীন ও মাওলানা মুহসিন বেলালী।

রামেকে ইন্টার্ননির্ভর চিকিৎসায় ঝুঁকিতে মুমূর্ষু রোগীরা
রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী

পাবনার ঈশ্বরদী এলাকার ওয়াহেদুজ্জামান (৭১) জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে পরিবারের সদস্যরা গত ১৩ জুলাই সন্ধ্যার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। রোগীকে জরুরি বিভাগ থেকে পাঠানো হয় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে (মেডিসিন ওয়ার্ড)। ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাঁকে ভর্তি করে নেন।
পরের দিন ১৫ জুলাই সকালের দিকে রোগী কিছুটা সুস্থ বোধ করলে তাঁকে ছুটি দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু দুপুর গড়াতে না গড়াতেই রোগী আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এটি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতিদিনের চিত্র। চিকিৎসকসংকটে দিনের প্রায় ১৮ ঘণ্টাই ইন্টার্ন চিকিৎসকনির্ভরতার মাধ্যমে চলছে এই হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা।
খুব জরুরি প্রয়োজনে ফোনে পরামর্শ নেওয়া হয় অভিজ্ঞ ডাক্তারদের। এর বাইরে এফসিপিএস ডিগ্রিধারী বা এফসিপিএস করছেন এমন মধ্যম মানের চিকিৎসকরা থাকেন ভর্তির দিন ধার্য থাকা ওয়ার্ডগুলোতে। এ ছাড়া দিনের ২৪ ঘণ্টা প্রতিটি ওয়ার্ডেই চার থেকে ছয়জন করে পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করতে হয় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের। এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই ইন্টার্নদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।
পাবনার ঈশ্বদীর রোগী ওয়াহেদুজ্জামানের ছেলে হামিম আবেদীন বলেন, ‘রামেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসক দিনে একবার করে আসার কারণে আমার বাবার সমস্যাগুলো জটিল হয়ে গিয়েছিল, যা ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বুঝে উঠতে পারেননি।’
ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করি রোগীর সেবা দেওয়ার। কিন্তু যে পরিমাণ রোগীকে চিকিৎসা দিতে হয়, সে পরিমাণ ইন্টার্ন চিকিৎসকও নেই।’
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ বলেন, ‘হাসপাতালে পর্যাপ্ত আনসার সদস্যও নেই। অন্যদিকে যেসংখ্যক রোগী ভর্তি হচ্ছে, সেসংখ্যক অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসাসামগ্রী ও ওষুধপথ্যও আমরা দিতে পারছি না। কারণ সব কিছু বরাদ্দ হচ্ছে ৫০০ শয্যার বিপরীতে। কিন্তু এখানে শয্যাই আছে এক হাজার ২০০টি। এর বাইরেও অতিরিক্ত আরো দুই থেকে আড়াই হাজার রোগীকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে আমাদের নানাভাবে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’