ঢাকা, শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫
২৭ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫
২৭ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ মহররম ১৪৪৭

নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে যেতে চায় সংগঠনগুলো

মানজুর হোছাইন মাহি
মানজুর হোছাইন মাহি
শেয়ার
নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে যেতে চায় সংগঠনগুলো

দীর্ঘ ২৮ বছর পর ২০১৯ সালের ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ডাকসুর মেয়াদ এক বছর। এর মধ্যে নির্বাচন না হলে সংসদ পরবর্তী ৯০ দিন অতিরিক্ত দায়িত্ব দায়িত্ব পালন করবে। অথচ তিন বছর পার হলেও নির্বাচন হয়নি।

এই অবস্থায় ডাকসু নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। শিগগিরই আন্দোলনে যেতে চায় তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রসংগঠনগুলো বলছে, শুধু ডাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা করলেই হবে না, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংগঠনগুলোর রাজনৈতিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আবাসিক হলে নয় বরং একাডেমিক ভবনগুলোতে ভোট নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

ডাকসুর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে দ্বিমত না থাকলেও উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অনুকূল পরিবেশ না থাকাকে ডাকসু নির্বাচনের বড় প্রতিবন্ধকতা মনে করছেন। অবশ্য ডাকসু নির্বাচন না হওয়ার পেছনে প্রশাসনিক ব্যর্থতা আছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রসংগঠনের নেতারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আদনান তূর্য বলেন, ডাকসু দরকার, কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দরকার, ছাত্রদের প্রতিনিধি দরকার। সাধারণ ইস্যুতে এখন ছাত্রদের রাজনৈতিক দলের কাছে যাওয়া লাগে।

ফলে একজন শিক্ষার্থীর অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। ছাত্র প্রতিনিধি থাকলে সাধারণ শিক্ষার্থীকে কোনো বিশেষ দলের ছাতার নিচে থাকতে হবে না। স্বাধীনভাবে সে থাকতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের শিক্ষার্থী সাদিক মাহবুব ইসলাম বলেন, ডাকসু যেকোনো অবস্থাতেই একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফরম, যাকে উপেক্ষা করা প্রশাসনের জন্য কঠিন। ডাকসু নির্বাচন না হওয়াটা প্রশাসনের জন্য সুবিধাজনক।

কারণ এতে জবাবদিহি করার বাধ্যবাধকতা থাকে না। এ কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন দিতে ইচ্ছুক নয়।

ঢাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (বাসদ) সভাপতি রাজীব কান্তি রায় বলেন, ডাকসু নির্বাচন না হওয়া এক ধরনের প্রশাসনিক ব্যর্থতা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সেই দায় এড়ানোর বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই।

ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শিমুল কম্বুকার বলেন, নিয়মিত শিক্ষক, কর্মচারী এবং অন্যান্য

প্রতিনিধি নির্বাচন হলেও ছাত্রসংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গড়িমসি লক্ষ করা যায়। বছরের পর বছর যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছে প্রশাসন, তার প্রভাব শিক্ষাব্যবস্থার ওপর পড়ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে, শিক্ষার পরিবেশও আক্রান্ত হচ্ছে।

ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে শিগগিরই আন্দোলনে নামার কথা বলে জানিয়েছেন ঢাবি ছাত্র ফেডারেশনের (গণসংহতি) আহ্বায়ক আরমানুল হক। তিনি বলেন, আমরা অন্য ক্রিয়াশীল সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করব। একই কথা জানিয়েছেন ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সাগর। তিনি বলেন, ডাকসু ইস্যুতে এরই মধ্যে অপরাপর প্রগতিশীল সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা শুরু করেছি। দাবি আদায়ে যুগপৎ রূপরেখার কাজ করছি। দ্রুতই এটা দৃশ্যমান হবে।

ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের ভাবনা আছে ছাত্রলীগেরও। ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, এখনো আমাদের রাজপথে নেমে আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা নেই। তবে চলমান সংকট মোকাবেলার পর যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন না দেয় তাহলে আন্দোলনে নামব। আমাদের সঙ্গে আদর্শিক মিল রয়েছে যেসব ছাত্রসংগঠনের, যারা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তাদের সঙ্গে নিয়েও রাজপথে আন্দোলন করতে পারি।

ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আসিফ মাহমুদ বলেন, ডাকসু নির্বাচনসহ ক্যাম্পাসে চলমান ছাত্র নির্যাতনের বিরুদ্ধে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোকে নিয়ে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা চলছে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিটি ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনকে যুগপত্ভাবে কাজ করতে হবে।

সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, জাতীয় রাজনীতি অঙ্গনে ক্ষমতা দখলের জন্য অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবহার করে, জাতীয় রাজনীতির প্রভাব যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবর্তন করবে তখন এখানকার পরিবেশ নষ্ট হবে। এটি এই মুহূর্তে ডাকসুর জন্য বড় একটি প্রতিবন্ধকতা, প্রতিকূলতা বা অনুকূল পরিবেশ না থাকা। এর মানে এই নয় যে অনুকূল পরিবেশের জন্য বসে থাকতে হবে। প্রতিকূল পরিবেশকে বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে অনুকূল করে নির্বাচন দেওয়াটাই হলো আসল কাজ। যতক্ষণ পর্যন্ত সমাজিক ডায়নামিকস ও ফ্যাক্টরগুলোর সঙ্গে সংহতি না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন দেওয়া কঠিন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত গ্রেপ্তার
আবুল বারকাত

অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল বারকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকের মামলায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, আবুল বারকাতের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা থাকায় ধানমণ্ডির ৩ নম্বর সড়কের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারের পর তাঁকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার তাঁকে দুদকে সোপর্দ করা হবে।

আবুল বারকাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি  বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন। পাশাপাশি তিনি হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অবৈতনিক প্রধান উপদেষ্টা।

টানা দুইবার তিনি বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ছিলেন। তাঁর জন্ম কুষ্টিয়া শহরে। বাবা আবুল কাশেম ছিলেন স্বনামধন্য চিকিত্সক।

অ্যাননটেক্স গ্রুপের নামে ২৮৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল বারকাত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন আদালত।

দুদকের মামলার অন্য আসামিরা হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান, সাবেক সহকারী পরিচালক ইসমত আরা বেগম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালাম আজাদ, সাবেক পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দিপু, আর এম দেবনাথ, মো. আবু নাসের, সঙ্গীতা আহমেদ, নিতাই চন্দ্র নাথ এবং অ্যাননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনূস বাদল।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আতিউর রহমান, আবুল বারকাত এবং তাঁর সহযোগীরা বিভিন্ন অনৈতিক উপায়ে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তবে ২০২২ সালে ঋণ অনিয়ম নিয়ে দুদকের তদন্তে পর্যাপ্ত প্রমাণ না পাওয়ায় তখন মামলার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা হয় আবুল বারকাতকে। ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি পাঁচ বছর এই পদে দায়িত্ব পালন করেন।

 

মন্তব্য

বাঁশ শিল্পের প্রদর্শনী

শেয়ার
বাঁশ শিল্পের প্রদর্শনী
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে বাঁশ শিল্পের প্রদর্শনী। প্রদর্শনীতে পছন্দের জিনিস দেখছেন দর্শনার্থীরা। গতকাল তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

যানজট

শেয়ার
যানজট
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৩৪ কিলোমিটারজুড়ে যানজট দেখা দিয়েছে। আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল বিশ্বরোড হয়ে হবিগঞ্জের মাধবপুর পর্যন্ত এই যানজট শুরু হয় গত বুধবার রাতে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত যানজট অব্যাহত ছিল। ছবি : ফোকাস বাংলা
মন্তব্য

চট্টগ্রামে নারীকে ১১ টুকরা করে হত্যা স্বামী পলাতক

    দেশজুড়ে অপঘাতে মৃত্যু ৮
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
চট্টগ্রামে নারীকে ১১ টুকরা করে হত্যা স্বামী পলাতক

চট্টগ্রামে এক নারীকে ১১ টুকরো করে স্বামী পালিয়ে গেছে। এছাড়া দেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের অপঘাতে ৮ ব্যক্তি মারা গেছেন। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন:

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটির এক বাসায় ফাতেমা বেগম (৩২) নামের এক নারীকে ১১ টুকরা করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী মো. সুমনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

পুলিশ ধারণা করছে, স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে গেছেন স্বামী। বুধবার রাত ১টার দিকে আর কে টাওয়ার নামের একটি ভবনের দশম তলায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ফাতেমার স্বামী মো. সুমন পেশায় গাড়িচালক।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মোহাম্মদ মাহফুজ হাসান সিদ্দিকী কালের কণ্ঠকে বলেন, ১০ বছর আগে ফাতেমার সঙ্গে সুমনের বিয়ে হয়েছিল।

তাঁদের আট বছর বয়সী একটি ছেলে আছে। ঘটনার সময়ে শিশুটি আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া চলে আসছিল। এরই জের ধরে বুধবার রাতে তাঁকে খুন করা হয়েছে।
তাঁর পুরো শরীর ক্ষতবিক্ষত করার পর কেটে ১১ টুকরা করা হয়। তিনি আরো বলেন, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারের পর হত্যার সঠিক কারণ জানা যাবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফাতেমাকে খুনে ছুরি ও চাপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে টুকরা টুকরা করা হয়েছে। হাড় থেকে মাংস কেটে ফেলা হয়েছে। ১১টি টুকরা করে ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে খুনি।

রাউজান : চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো. সেলিম উদ্দিনকে গুলি করে হত্যার পাঁচ দিনের মাথায় এবার তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবদলকর্মী দিদারুল আলম নুংকুর (৪০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার পশ্চিম বেতবুনিয়ার লুঙ্গিপাড়া এলাকার পাহাড়ি চরা থেকে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়। বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর প্রায় সাড়ে ১৫ ঘণ্টার পর তার এ মরদেহ উদ্ধার হয়। নুংকুর বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সমশের পাড়ায়। তিনি মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।

যশোর : যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ঘোষনগর গ্রামে স্টিলের বাক্সের ভেতর থেকে সুচিত্রা দেবনাথ (৫৮) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে নিজ ঘরের কাপড়ের বাক্সে লুকিয়ে রাখা হয় বলে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী তপন দেবনাথকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ৯ জুলাই রাত ১১টার দিকে। নিহত সুচিত্রা দেবনাথ বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের ঘোষনগর গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় তপন দেবনাথকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা থেকে ঢেনা মুর্মু (৫৫) নামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক ব্যক্তির পানিতে ভাসমান প্রায় অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি নাচোল সদর ইউনিয়নের পীরপুর সাহানাপাড়া গ্রামের বুদ্ধাই মুর্মুর ছেলে। স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ঢেনা মুর্মু গত সোমবার (৭ জুলাই)   সকাল ১১টার দিকে একই ইউনিয়নের প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরের  ঝিকরা গ্রামে তাঁর নাতনির বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরে বুধবার (৯জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝিকড়া গ্রামসংলগ্ন একটি বিলের কচুরিপানার মধ্যে ঢেনার ভাসমান মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় মাদকাসক্ত  ছেলে  মাহাবুর ইসলাম বাবু (২৮) মারধর ও ইট দিয়ে আঘাত করে মা হেনা বেগমকে আহত করে। স্ত্রীকে রক্ষা করতে গেলে বাবা শিশ মোহাম্মদকে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টার পর স্বজন ও প্রতিবেশীদের প্রহারে বাবু নিহত হন। নিহত বাবুর বাড়ি রানীহাটী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের রামচন্দ্রপুরহাট বগিপাড়া গ্রামে। অভিযোগ রয়েছে, বাবু মাদক সেবনের টাকার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে অত্যাচার করে আসছিল।

পীরগঞ্জ : রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় আখিরা নদী থেকে আক্তার প্রধান সুজন (৩৬) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আখিরা নদীতে ভাসমান অবস্থায় কাপড়বিহীন লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত আক্তার প্রধান সুজন উপজেলার থানাপাড়া  গ্রামের বাসিন্দা।

ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহগী ইউনিয়নের হাটুলিয়া গ্রামের বসতঘর থেকে এক তরুণের গলা কাটা ও ক্ষতক্ষিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই সময় লাশটি ছিল খাটের ওপর মশারির নিচে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে রাতে বন্ধুদের নিয়ে ওই তরুণ মা-বাবাহীন ঘরে আড্ডায় মত্ত ছিল।  নিহত মো. রাকিবুল ইসলাম (১৯) ওই গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাটুলিয়া গ্রাম থেকে জুবায়ের (১৯, রাকিব মিয়া (২১) ও কাউসার (১৮) নামে তিন তরম্নণকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।

কালিয়াকৈর : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শালবনের ভেতর থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বড় গোবিন্দপুর বিন্নার চালা ফুটবল খেলার মাঠের পাশে শাল বনের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ। নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। তার বয়স আনুমানিক (৪০)। তার পরনে জিন্সের প্যান্ট ও খয়েরি রঙের টি শার্ট ছিল।

টঙ্গী : ফ্লাইওভার থেকে টঙ্গীতে নামার সময় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত মাহফুজুর রহমান (২১) বরিশাল সরকারি হাতেম আলী কলেজে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী। বুধবার (৯ জুলাই)  রাত ১২ টার পর  ঢাকা-ময়মনসিংহগামী মহাসড়কের আব্দুল্লাহপুর ফ্লাইওভার থেকে টঙ্গীর সেনা কল্যাণ ভবনগামী সংযোগ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাহফুজুর রহমান বরিশাল সদর উপজেলার হায়াতসার গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ব্লু ফ্যাশনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ