হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে কমলাপেট হিমালয়ি কাঠবিড়ালি। ছবি : মাসুক আহমেদ
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বেশ কিছুু টিলা আছে। সেই উদ্যানেই ফটোশিকারির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে অনিন্দ্যসুন্দর ও দুর্লভ কমলাপেট হিমালয়ি কাঠবিড়ালি। হবিগঞ্জের ফটোগ্রাফার ও শখের ছবিয়ালের অ্যাডমিন এবং হবিগঞ্জ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমেদ সম্প্রতি সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে এই প্রাণীটির ছবি তুলেছেন।
কমলাপেট হিমালয়ি কাঠবিড়ালি আকারে খুব একটা বড় নয়।
বিজ্ঞাপন
কাঠবিড়ালিটির ইংরেজি নাম Orange-bellied Himalayan Squirrel| Sciuridae গোত্রের এই প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নাম Dremomys lokriah. বাংলাদেশে তুলনামূলকভাবে কম থাকলেও উঁচু পাহাড় ও পর্বতময় যেসব দেশ রয়েছে, সেখানে এরা নির্বিঘ্নে বসবাস করতে পারে। সাতছড়িতে দিনের বেলায় গাছের মধ্যে লাফালাফি করা অবস্থায় ছবিটি ধারণ করা হয়েছে। দিনের বেলায় গাছের ডালে এগুলোর দেখা মেলে। গাছের গর্তেই বসবাস।
মাসুক আহমেদ বলেন, ‘সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে আমরা বেশ কয়েকজন ফটোগ্রাফার ছবি তুলতে গেলে অপ্রত্যাশিতভাবে কমলাপেট হিমালয়ি কাঠবিড়ালির ছবিটি ধারণ করি। এই উদ্যানে এটি দুর্লভ প্রাণী। এর আগে আমরা সাতছড়ি ও রেমা-কালেঙ্গা থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মালয়ি কাঠবিড়ালি, উড়ুক্কু কাঠবিড়ালিসহ বেশ কয়েকটি প্রজাতির কাঠবিড়ালির ছবি পেয়েছি। তবে কমলাপেট হিমালয়ি কাঠবিড়ালির ছবি তেমন একটা পাওয়া যায়নি। সাতছড়িতে এটি কম থাকলেও রেমা-কালেঙ্গায় অনেকেই পেয়েছে। এটি দুর্লভ স্তন্যপায়ী বন্য প্রাণী।
হবিগঞ্জের বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র দেব বলেন, আর সব কাঠবিড়ালির মতো এগুলোকে গাছের ডালেই দেখা যায়। তবে এটি মাটিতেই চলে। সাধারণত একাকী এদের দেখা মেলে। গভীর বনেই এরা থাকে। বনের গাছ থেকেই ফলমূল দিয়ে এরা আহার করে। প্রজননের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। তবে বছরে একবারই এরা বাচ্চা দেয়। একসঙ্গে সর্বোচ্চ পাঁচটি পর্যন্ত বাচ্চা দিয়ে থাকে।