প্রত্নক্ষেত্র হিসেবে জায়গাটি ৯০ বছর ধরে উপেক্ষা করা হয়েছে। এবার সেখানে মিলল অতি প্রাচীন মানুষের বসবাসের প্রমাণ। জায়গাটা ইংল্যান্ডের কেন্ট কাউন্টিতে। সেখানকার এক নদীর তলায় পাওয়া কয়েকটি কুড়াল প্রাচীন প্রস্তর যুগে উত্তর ইউরোপে মানুষ বসবাসের প্রমাণ দিল।
বিজ্ঞাপন
১৯২০ সালে উদ্ধার হওয়া কুড়ালগুলো বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত ছিল। সম্প্রতি কুড়াল পাওয়া এলাকায় আবারও খনন করে গবেষণা করা হয়। রয়াল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।
এবার আধুনিক গবেষণা পদ্ধতি ব্যবহার করে নিশ্চিত হওয়া গেল, ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চল তথা উত্তর ইউরোপে সাড়ে পাঁচ লাখ থেকে ছয় লাখ বছর আগেও মানুষের বসবাস ছিল। নতুন কৌশলে পরীক্ষা করা হয়, খনন এলাকার পাথর ও বালুর কণা সর্বশেষ কখন সূর্যালোকে এসেছিল। এর মাধ্যমে সেগুলো কত বছর আগের তা নির্ধারণ করা হয়। খননকাজের পরিচালনায় থাকা কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও প্রস্তর যুগ সম্পর্কিত প্রত্নতাত্ত্বিক অ্যালাস্টেয়ার কি বলেন, ‘সরঞ্জামগুলোর বৈচিত্র্য অসাধারণ। এই প্রথমবার আমরা এত প্রাচীন যুগের পাথর খোদাই ও ছিদ্র করার বিরল প্রমাণ পেয়েছি। ’
অ্যালাস্টেয়ার কি আরো বলেন, তখন যুক্তরাজ্য কোনো দ্বীপ ছিল না। মূল ইউরোপীয় ভূখণ্ডের অংশ ছিল। তাই এখানে শিকারি হিসেবে বসবাসকারীরা এখনকার সমুদ্র কোলঘেঁষা কেন্টবাসীর চেয়ে অনেক বিস্তৃত অঞ্চলে বিচরণ করতে পারত।
এই প্রত্নতাত্ত্বিক আরো বলেন, কুড়ালগুলো হোমো হাইডেলবার্গেনেসিস নামে পরিচিত নিয়ান্ডারথালদের পূর্বপুরুষরা ব্যবহার করত। সূত্র : সিএনএন