ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭
ম্যারাডোনা স্মরণ

শৈশবে সংগ্রামের দিনগুলো

  • মিরাজুল ইসলাম
অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
শৈশবে সংগ্রামের দিনগুলো
১৯৮৬-র বিশ্বকাপ শিরোপা নিয়ে ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ফাইল ছবি

ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পেরিয়ে অর্থাৎ ১৮৬০ সাল থেকে ফুটবলের প্রসার ঘটে উরুগুয়ের মন্টেভিডিও, ব্রাজিলের সান্তোস, রিও ডি জেনেরিও ও আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেসের সমুদ্রবন্দরের ব্রিটিশ নাবিকদের কল্যাণে। জাহাজিরা পণ্য ওঠানামা করার অবসরে চামড়ার বলে লাথি মেরে সময় কাটাত। স্থানীয়রা আগ্রহভরে দেখত ও শিখত। ক্রমে ফুটবল হয়ে ওঠে লাতিন আমেরিকান জীবনযাত্রার অন্যতম বিনোদন আর আবেগের উৎস।

প্যারাগুয়ের সীমান্তে আর্জেন্টিনার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কোরিয়েন্তেস নদীর অববাহিকায় ইন্ডিয়ান আদিবাসী ‘গুয়ারিনি’ গোত্র। স্প্যানিশ ঔপনিবেশিক আমল থেকে ওই অঞ্চলে তাদের বসবাস। কলোনিয়াল যুগের আধুনিক সমৃদ্ধি তাদের জীবনযাত্রার মানে খুব একটা হেরফের ঘটায়নি। সুঠাম স্বাস্থ্যের সুবাদের ভারী জিনিসপত্র বয়ে নেওয়া মানে কুলিগিরি ছাড়াও অন্যান্য শারীরিক পরিশ্রমের কাজের জন্য তাদের ডাক পড়ত।

সেই গোত্রে জন্ম নেন চিতোরো, ডিয়েগো ম্যারাডোনার বাবা। জীবনের শুরুতে কোরিয়েন্তেস নদীর পারে নিজ গোত্রের মধ্যে গত্বাঁধা জীবন কাটালেও ইউরোপীয়দের আমদানি করা ফুটবল ছিল তাঁর অন্যতম নেশা। তুলার বস্তা কাঁধে নিতে গিয়ে একবার বুকের পাঁজরের তিনটি হাড় ভেঙে গেলে বেকার হয়ে পড়েন চিতোরো। হাতে কাজ না পেলে তখন বেরিয়ে পড়তেন পূর্বপুরুষদের মতো কাঠের ক্যানু ভাসিয়ে মাছ ধরতে।

পাশাপাশি বনে-জঙ্গলে হরিণ, আর্মান্ডিলা ও সাপ শিকার ছিল জীবনধারণের অন্যতম ভরসা।

প্রতি রবিবার ছুটির দিনে ছোট ভাই চিরিলোকে সঙ্গে নিয়ে ভরপুর মদ খেয়ে দাপিয়ে ফুটবল খেলতেন। তবে ফুটবলার হিসেবে সুনাম বেশি কুড়িয়েছিলেন চিরিলো। ১৯৫২ সালে স্থানীয় স্যান মার্টিন ফুটবল দলের হয়ে ঘরোয়া লিগে চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন। পরবর্তী সময়ে বাপ-চাচার এই ফুটবলের ধারাটাই প্রকট হয়ে ধরা পড়ে ম্যারাডোনার পায়ে।

সেটা কখনো সবুজ ঘাসের ক্যানভাসে পেয়েছে শিল্পিত রূপ, কখনো বা ‘হ্যান্ড অব গডে’ চমকে গেছে ফুটবলবিশ্ব।  

ম্যারাডোনার নানি সালভাদোরা করিয়োলচি ছিলেন দক্ষিণ ইতালি থেকে আসা অভিবাসী দরিদ্র পরিবারের সন্তান। মাত্র ১৭ বছর বয়সে জন্ম দেন ‘অবৈধ’ কন্যাসন্তান। নাম রাখলেন ডোনা তোতা। ২১ বছর বয়সে তোতা চলে যান রাজধানী বুয়েনস এইরেসে নতুন জীবনের সন্ধানে। কাজ নেন ধনীর বাসায় কাজের বুয়া হিসেবে। এরপর চিতোরোকে নিয়ে আসেন বাড়তি আয়ের আশায়।

তোতার আগ্রহে নদী অববাহিকার বুনো জীবন ছেড়ে হঠাৎ করে বুয়েনস এইরেসের ইট-পাথরের জঙ্গলে নিজেকে মানিয়ে নিতে সময় লেগেছিল চিতোরোর। কিছুদিন কুলিগিরি করে পরে কাজ নেন বাসস্থান ভিলা ফিয়োরতিওর কাছে এক গরুর হাড় গুঁড়া করার কারখানায়। দমবন্ধ করা পূতিময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে হতো চিতোরোদের মতো শ্রমিকের দৈনিক ১২ ঘণ্টা। পরবর্তী সময়ে পুত্র ম্যারাডোনা বিখ্যাত না হলে হয়তো অন্যান্য শ্রমিকের মতো চিতোরো অনেক আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তেন ফুসফুসের ক্যান্সার বা দূষণজনিত অন্য কোনো রোগে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর্জেন্টিনার হাল ধরেন জেনারেল হুয়ান পেরন। মুসোলিনি ও হিটলারের ভক্ত তিনি। রক্ষিতা হিসেবে পরিচিত হলেও পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর মর্যাদা পাওয়া এভিটা পেরন ছিলেন তাঁর বিশ্বস্ত সহচর। এভিটা নিজেও এসেছেন দরিদ্র অবহেলিত পরিবেশ থেকে। সেই সূত্রে সবাই স্বপ্ন দেখত, তারাও একদিন এভিটার মতো আর্জেন্টিনার সম্রাজ্ঞী হবেন।

তোতা নিজেও এজাতীয় স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসতেন। পেরন-এভিটা জুটি জাতীয়তাবাদ ও সাম্যবাদের দোহাই তুলে গরিবদের চোখে ঠুলি পরিয়ে জনগণের হাতে তুলে দিলেন নতুন আফিম—‘ফুটবল’। নব্য জাতীয়তাবাদের মন্ত্রে নতুন আবেগের অস্ত্র হিসেবে ফুটবলকে নতুন করে বেছে নিল আর্জেন্টিনার জনগণ। ফুটবলেই যেন দেশের যাবতীয় সমস্যার একমাত্র মুক্তি। কমবেশি একই অবস্থা তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত অন্য লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে।

তৃতীয় জন্মদিনে ম্যারাডোনা ছোট চাচা চিরিলোর কাছ থেকে জীবনের প্রথম উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন চামড়ার ফুটবল। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা ওটাই ছিল ডিয়েগোর একমাত্র সঙ্গী। চিতোরো তখন কাজ করেন স্থানীয় ফল বিক্রেতার কুলি হিসেবে। কিন্তু ছোট্ট ডিয়েগোকে ঘিরে স্বপ্ন দেখেন আকাশকুসুম। পুরো বস্তি চত্বরে শিশু ম্যারাডোনা খলখলিয়ে সেই ফুটবল পায়ে দৌড়ে বেড়ান। তোতা প্রশ্রয় দেন। লেখাপড়া করার দরকার নেই। প্রেসিডেন্ট পেরনের আর্জেন্টিনায় ফুটবল খেলে নাম করতে পারলে সব দুঃখ ঘুচে যাবে। শৈশবে ম্যারাডোনা তাঁর বাবা-মায়ের স্বপ্নকে আরো উসকে দিতে বড় শপথ করেছিলেন। বলেছিলেন, বড় হয়ে তিনি প্রিয় দল বোকা জুনিয়রে যোগ দেওয়া ছাড়াও আরেকটি স্বপ্ন দেখেন, আর্জেন্টিনার জন্য বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে আনা।

অনেকে এটাকে বস্তির ছেলের মামুলি স্বপ্ন হিসেবে কথার কথা ধরে নিলেও ডোনা তোতা যেন জানতেন তাঁর ছেলে ঠিক পারবে। ব্রাজিলের নান্দনিক কিংবদন্তি রোনালদিনহো তাঁর আইডল ম্যারাডোনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে জানান, “আমি বল নিয়ে যত কিছুই করি না কেন ম্যারাডোনার মতো কমলা লেবু পায়ে নিয়ে ‘কিপি-আপি’ করতে পারব না।”

স্প্যানিশ ফুটবলের ইতিহাসে মাত্র দুজন খেলোয়াড় প্রতিপক্ষ মাদ্রিদের বিপক্ষে গোল করেও বিপুলভাবে সংবর্ধিত হয়েছিলেন। রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে এই দুর্লভ সম্মান পাওয়া একজন হচ্ছেন বার্সেলোনার হয়ে খেলা রোনালদিনহো আর অন্যজন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। খেলোয়াড় হিসেবে এই অনুভূতি ফুটবল ক্যারিয়ারে সেরা স্বীকৃতির মধ্যে অন্যতম, তা দুজনেই স্বীকার করেছেন।

তবে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশে ম্যারাডোনার মতো এত স্পষ্ট ও ঠোঁটকাটা কোনো ফুটবলার সম্ভবত আর নেই। ম্যারাডোনা একবার বলেছিলেন, ‘মা বলেছেন আমি পেলের চেয়ে ভালো ফুটবলার। আমি নিজেও তা বিশ্বাস করি। কারণ আমার মা কখনো মিথ্যা কথা বলেন না।’ ফিফার জরিপেও তা-ই দেখা গেছে। এই গৌরব নিয়ে ফুটবলের এই আমুদে চরিত্রটি পৃথিবীকে বিদায় বলেছেন ঠিক এক বছর আগে। কিন্তু ফুটবল কিংবদন্তির অশরীরী উপস্থিতি যে আরো প্রবল হয়ে ফিরছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ