ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

মাতারবাড়ী জেটিতে সব কাজ গ্রিন এন্টারপ্রাইজের

আসিফ সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম
আসিফ সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম
শেয়ার
মাতারবাড়ী জেটিতে সব কাজ গ্রিন এন্টারপ্রাইজের

মাতারবাড়ীতে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি জেটিতে গত ডিসেম্বর থেকেই জাহাজ থেকে পণ্য নামানোর কাজটি একাই করছে গ্রিন এন্টারপ্রাইজ। গত জুলাই মাসে সেখানে নতুন আরেকটি জেটি নির্মিত হয়েছে, সেই জেটির কাজটিও করছে একই প্রতিষ্ঠান। মৌখিক অনুমতির ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সেখানে জাহাজ থেকে পণ্য নামানোর কাজটি দিয়েছে শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনকে। ওই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হওয়ার সুবাদে এ কে এম শামসুজ্জামান রাসেল কাজটি একচেটিয়া করছেন।

তিনি শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর গ্রিন এন্টারপ্রাইজের মালিক ও বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং, বার্থ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি।

এখন পর্যন্ত মাতারবাড়ীর দুটি জেটিতে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণসামগ্রী নিয়ে ৩২টি জাহাজ ভিড়েছে। আর সব জাহাজের পণ্য নামানোর কাজ একাই করছে গ্রিন এন্টারপ্রাইজ।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরসচিব ওমর ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মাতারবাড়ী জেটি এখনো আমাদের হয়নি।

এখনো সেই জেটি বিদ্যুেকন্দ্রের। তবে পরিচালনাটা আমরা করছি। তাই সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে শিপ হ্যান্ডলিং অ্যাসোসিয়েশনকে বলা হয়েছে কার্গো হ্যান্ডলিং কাজটা করার জন্য। কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে কিন্তু কাজ করতে বলা হয়নি।
যখন আমাদের হাতে জেটি আসবে, তখনই দরপত্র ডেকেই অপারেটর নিয়োগ করা হবে। তার আগ পর্যন্ত এটা সাময়িক পদক্ষেপ।’

শর্ত সাপেক্ষে হলেও চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে পণ্য ওঠানামার কাজে দরপত্রের মাধ্যমেই বার্থ অপারেটর নিয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু শিপ হ্যান্ডলিংয়ে কেন সেটা করা হচ্ছে না জানতে চাইলে বন্দরসচিব বলেন, ‘দেখুন, বহির্নোঙরে পণ্য ওঠানামার কাজে বন্দরের কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্টতা নেই। মাতারবাড়ী জেটির ক্ষেত্রেও তাই।

তাই আমরা সেখানে শুধু প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন করেই কাজ সারি। যখন এই জেটিতে অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্য নামানোর সুযোগ হবে, তখনই আমরা দরপত্র ডাকব।’ 

বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে পণ্য নামানোর কাজটি করে শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর। চট্টগ্রাম বন্দরের নিবন্ধিত ২৭টি অপারেটর প্রতিষ্ঠান পযার্য়ক্রমে সেই কাজটি করছে। কিন্তু মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে চলছে একক রাজত্ব। সব জাহাজের কাজ একচেটিয়া বাগিয়ে

নেওয়ায় বাকি শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটররা চরম ক্ষুব্ধ। এ নিয়ে তারা শ্রম দপ্তরে লিখিত অভিযোগও করেছে।

সি কোস্ট শিপিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ কালের কণ্ঠকে অভিযোগ করে বলেন, ‘সভাপতির জোর খাটিয়ে শামসুজ্জামান রাসেল এই ধরনের অবৈধ ও অনৈতিক কাজ করতে পারেন না। এতে আমরাই শুধু কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি না, নির্দিষ্ট কিছু শ্রমিক ছাড়া বাকি শ্রমিকরাও কাজ পাচ্ছে না। আর একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে কাজ করতে দেওয়ায় ভবিষ্যতে এই জেটিতে বন্দর দরপত্র ডাকলে গ্রিন এন্টারপ্রাইজই তো যোগ্য হয়ে উঠবে। তাহলে ৪০ বছর ধরে আমরা কী করলাম?’

তিনি প্রশ্ন করেন, একটি প্রতিষ্ঠান কাজ করার কারণে সেখানে শ্রম অসন্তোষ তৈরি হলে এর দায় কে নেবে?

শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরদের অভিযোগ, অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে বহির্নোঙরে জাহাজ বরাদ্দের ক্ষেত্রেও মুনাফা বেশি এমন জাহাজগুলো বরাদ্দ নিতেন শামুসজ্জামান রাসেল ও তাঁদের কয়েকজনের সিন্ডিকেট। তাঁরা একজোট হয়ে লাভজনক জাহাজগুলো বরাদ্দ নিয়ে কম লাভের জাহাজগুলো সংগঠনের অন্য সদস্যদের বরাদ্দ দিতেন। এ নিয়ে যে সদস্য প্রতিবাদমুখর থাকতেন তাঁকে কয়েকটি ভালো মুনাফার জাহাজ দিয়ে সন্তুষ্ট রাখতেন। এই নিয়মেই চলছে সব কিছু।

এ বিষয়ে শ্রম দপ্তরে অভিযোগ করার পর হঠাৎ করে জাহাজ বরাদ্দের কমিটির কয়েক সদস্যকে বাদ দিয়ে নিজের পছন্দমতো কয়েকজন দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করে দেন রাসেল। এখন সেই কমিটিও আগের নিয়মেই চলছে বলে অভিযোগ শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরদের।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং ও বার্থ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম শামসুজ্জামান রাসেল বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানকে মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে কাজ করার অনুমতি দেয়নি চট্টগ্রাম বন্দর। অ্যাসোসিয়েশনকে সেই জেটিতে পণ্য ওঠানামার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সভাপতি হিসেবে আমি কাজটি করছি ঠিক, কিন্তু পর্যায়ক্রমে সবাইকে সুযোগ দেওয়া হবে।’

সভাপতির প্রভাব খাটিয়ে একাই কাজটি করছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অ্যাসোসিয়েশনের অনুমতি নিয়েছি কাজটি করার জন্য। আর এই জাহাজ থেকে পণ্য নামানো হলেও পণ্যের পরিমাণ কম। লাভের অংশ সামান্য।

কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে ২০২০ সালে। কিন্তু তার আগেই প্রস্তুত হয়েছে ২৫০ মিটার প্রস্থ, ১৮ মিটার গভীরতা এবং ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেল। এই চ্যানেল বা প্রবেশপথ দিয়েই বঙ্গোপসাগর থেকে জাহাজ বন্দর জেটিতে প্রবেশ করবে। জাহাজ প্রবেশের চ্যানেলের এক পাশে নির্মিত হয়েছে তিনটি জেটি, যেগুলো ব্যবহৃত হবে বিদ্যুেকন্দ্রের নির্মাণসামগ্রী ওঠানামার কাজে। আর অপর পাশেই গড়ে উঠবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর। এই সমুদ্রবন্দর চালু হবে ২০২৫ সালে। কিন্তু তার আগেই ব্যবহার শুরু হচ্ছে সমুদ্রবন্দরের জন্য নির্মিত চ্যানেল বা জাহাজ প্রবেশের পথ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ