ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭
কালের কণ্ঠ-ইউএসএআইডি গোলটেবিলে বক্তারা

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইডাব্লিউএমজিএল মিলনায়তনে গতকাল কালের কণ্ঠ ও ইউএসএআইডি আয়োজিত ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অতিথিরা। ছবি : কালের কণ্ঠ

দুর্যোগঝুঁকি বিশ্বব্যাপী ক্রমেই বাড়ছে। এর মূল কারণ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও ভূমি ব্যবহার, ভবিষ্যৎ বিপদের কথা না ভেবে ঢালাও অবকাঠামো উন্নয়ন, জনসচেতনতার অভাব এবং সরকারের বিভিন্ন স্তরে দুর্যোগঝুঁকি হ্রাস সংক্রান্ত পরিকল্পনাহীনতা। কপ-২৫-এ প্রকাশিত জার্মান প্রতিষ্ঠান এনভায়রনমেন্টাল গ্রিন ওয়াচের হিসাব মতে, দুর্যোগ বিপদাপন্নতায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। অন্যদিকে শুধু জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ বিপদাপন্নতায় বিশ্বে বাংলাদেশ সপ্তম অবস্থানে রয়েছে।

এর পরও বাংলাদেশ আবহাওয়াজনিত দুর্যোগের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বিশ্বে রোল মডেল। নানা পরিকল্পনার বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

গতকাল রবিবার কালের কণ্ঠ ও ইউএসএআইডি আয়োজিত ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে পেশ করা মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। ইডাব্লিউএমজিএল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহসীন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ, বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

ইডাব্লিউএমজিএলের পরিচালক ও কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কালের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী। বিশেষজ্ঞ বক্তার বক্তব্য দেন পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত।

এ ছাড়া বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতিকুল হক, ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল মো. ফিরোজ সালাহউদ্দিন, ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশনের ফ্রিল্যান্স কনসালট্যান্ট আব্দুল লতিফ খান এবং ইউএসএআইডির মিশন ইঞ্জিনিয়ার (অফিস অব ফুড, ডিজাস্টার অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্টস) মাহাবুব জামান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব দেশকে দুর্যোগ পোহাতে হবে, তারা তাদের নেতা মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। আমরা যখন কোনো আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে যাই, তখন দেখি বিভিন্ন দেশের নেতারা শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলার জন্য উদগ্রীব থাকেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে কথা বলেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় কী করতে হবে, তা তিনি বিশ্বদরবারে তুলে ধরেন।’

পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, ‘তিস্তা নদীতে হঠাৎ পানি বেড়েছে, এই কথাটি ঠিক নয়।

বৃষ্টিটা শুরু হয়েছে নেপাল থেকে। সে বন্যা পুবের দিকে সরে এসে গ্যাংটকে বৃষ্টিটা হয়। ভারতের দার্জিলিংয়ে বৃষ্টি হয়েছে, বাংলাদেশে বৃষ্টি হয়েছে; যার কারণে তিস্তার পানি অকল্পনীয়ভাবে বেড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিস্তা ব্যারাজ ভেঙে যেতে পারত। আসলে পানি ঢোকার পর যে এলাকা দিয়ে পানি বের করে দেওয়া হবে, সেটি চিহ্নিত থাকার পরও আমরা সে এলাকার লোকদের প্রস্তুত করতে পারিনি। এখানেই হচ্ছে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের দুর্বলতা।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দুর্যোগের সংখ্যা, তীব্রতা ও মাত্রার ব্যাপকতাও ক্রমবর্ধমান। তবে পৃথিবীতে সংঘটিত দুর্যোগগুলোর ৪৫ শতাংশ এশিয়া মহাদেশে হয়ে আসছে। অর্থনৈতিক ক্ষতির ৪২ শতাংশ, হতাহতের ৮৩ শতাংশ এবং ক্ষতিগ্রস্ত জনসংখ্যার ৮৬ শতাংশের অবস্থান এই মহাদেশে। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশকে ‘দুর্যোগের সুপারমার্কেট’ বলা হয়। গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স অনুযায়ী, বাংলাদেশে গত ২০ বছরে ১৮৫টি আবহাওয়াজনিত তীব্র দুর্যোগ সংঘটিত হয়েছে; যার ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে ৩.৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতিকুল হক বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও সরাসরি তত্ত্বাবধানে, মন্ত্রী ও সচিবের নির্দেশনায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। কাজের ছলে কাজ নয়, এটি থেকে বের হয়ে আসা হয়েছে। আগে কোনো প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ছিল না, এখন অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে।

 ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে দুর্যোগ মোকাবেলার ক্ষেত্রে সফলতার পেছনে একটা বড় কারণ হচ্ছে টিম স্পিরিট। ২০২০ সালে আম্ফানের সময় উপকূলীয় এলাকা থেকে আমরা ২৬ লাখ মানুষকে সরিয়ে নিতে পেরেছিলাম, যাতে আমাদের সক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে।’

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল মো. ফিরোজ সালাহউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি একটি মানবিক সাহায্য সংস্থা। যেকোনো দুর্যোগে সাহায্যের প্রয়োজন হয় যারা সুস্থ থাকে। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে সাত লাখ ভলান্টিয়ার আছে। যত রকম দুর্যোগ আসুক না কেন রেড ক্রিসেন্ট সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়াবে।

ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশনের ফ্রিল্যান্স কনসালট্যান্ট আব্দুল লতিফ খান বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দেশ অনেক উন্নতি করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পড়ানো হচ্ছে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য অবকাঠামো এবং অবকাঠামোর অন্তর্ভুক্ত নয়—এ বিষয়গুলোতে মনোযোগী হওয়া দরকার।

ইউএসএআইডির মিশন ইঞ্জিনিয়ার মাহাবুব জামান বলেন, ২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত গত ২০ বছরে ইউএসএআইডি বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ৭০০টিরও বেশি সাইক্লোন শেল্টার তৈরি করে দিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা ও সহনশীলতা বৃদ্ধি করতে ইউএসএআইডির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ৯৬টি বিদ্যমান ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রকে পুনর্নির্মাণ করছে, যাতে এগুলো একই সঙ্গে নিরাপদ আশ্রয় ও স্কুল হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সেই সঙ্গে ২৫টি নতুন বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ