নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম বা আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) একটি নতুন নারী ইউনিট গঠন করেছে। বর্তমানে তাদের বেশির ভাগ অনলাইনে যুক্ত। জঙ্গি ওই সংগঠনটির সদস্য সন্দেহে কলেজছাত্রী জোবায়ইদা সিদ্দিকা নাবিলাকে (১৯) গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য জানা যাচ্ছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী বলছে, এই তরুণী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নারী ইউনিটের প্রথম সদস্য।
অনলাইনে কিশোর-তরুণ
‘মগজ ধোলাই’ করছে এবিটি
- ► নারী ইউনিট গড়ে তুলেছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনটি
► বিয়ের কথাবার্তার মধ্যেই ঘর ছেড়ে জঙ্গিবাদে তরুণী নাবিলা
রেজোয়ান বিশ্বাস

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে অনলাইনে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনটির মগজ ধোলাইয়ের নিশানায় রয়েছে কিশোর-তরুণরা।
গত ২৬ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে নাবিলাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। পাঁচ দিনের হেফাজতে নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার তথ্য পান তদন্তকারীরা। আজ বুধবার নাবিলার রিমান্ড শেষ হচ্ছে।
ভোলার লালমোহনের নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জোবায়দা সিদ্দিকা নাবিলা স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে পা দিতেই বদলে যান। আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহর নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। পারিবারিকভাবে তাঁর বিয়ের কথাবার্তা চললেও ছেলে তাঁর মতাদর্শের না হলে বিয়ে করবেন না বলেও শর্ত দেন। এর মধ্যেই দুই মাস আগে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে ঢাকায় চলে আসেন এই তরুণী।
আনসারুল্লাহর জঙ্গিরা নিজেদের আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট বা একিউআইএসের অনুসারী পরিচয় দিয়ে থাকে। সে অনুযায়ী নাবিলাও মূলত আল-কায়েদার মতাদর্শী। তাঁর আয়ত্তে দুটি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ছাড়াও টেলিগ্রাম চ্যানেলে চারটি অ্যাকাউন্ট ছিল। ভিন্ন ভিন্ন ছদ্মনামে তিনি এসব অ্যাকাউন্ট চালাতেন। টেলিগ্রামে তাঁর ১৫টি চ্যানেল ছিল।
সিটিটিসির প্রধান পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আসাদুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, নাবিলা ২০২০ সালের প্রথম দিকে ছদ্মনামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে আনসারুল্লাহর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ‘তিতুমীর মিডিয়া’র খোঁজ পান। এরপর ধীরে ধীরে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এক পর্যায়ে নিজেই আনসারুল্লাহর মতবাদ প্রচার করতে শুরু করেন। তিনি বলেন, পরিবার চেষ্টা করেছিল তাঁকে জঙ্গিবাদ থেকে দূরে সরিয়ে আনতে, কিন্তু পারেনি।
এর আগে বিভিন্ন সময় পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা ২০০৮ সাল পর্যন্ত জামিয়াতুল মুসলেমিন নামের একটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করত। বাংলাদেশে ২০০৯ সাল থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে এই গোষ্ঠী নতুন করে সংগঠিত হয়। ২০১৫ সালে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় পুলিশ। এরই মধ্যে কয়েকজন লেখক ও ব্লগার খুনের ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পান তদন্তকারীরা। ২০১৬ সালে সমকামীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যাকাণ্ডের মামলায় গতকাল সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ এই সংগঠনের ছয় জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সিটিটিসি সূত্র জানায়, দেশে এর আগে ইসলামিক স্টেট বা আইএসের ভাবশিষ্য নব্য জেএমবি (জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ) ও পুরনো জেএমবির নারী শাখার সন্ধান পেলেও আনসারুল্লাহর এমন শাখার খোঁজ পাননি তাঁরা। বিভিন্ন সময়ে অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের নারী সদস্য গ্রেপ্তার হলেও নাবিলার মতো প্রশিক্ষিত ছিল না কেউ। আনসারুল্লাহর হয়ে জঙ্গিবাদ প্রচার করতেন তিনি। একই সঙ্গে এই গোষ্ঠীর সামরিক শাখার সঙ্গেও তাঁর ‘যোগাযোগ ছিল’। নাবিলাকে গ্রেপ্তারের পর তাঁরা ধারণা করছেন, আল-কায়েদার অনুসারী এই জঙ্গিগোষ্ঠী নারীদেরও তাদের দলে ভেড়াতে শুরু করেছে।
সিটিটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, নাবিলার মগজ এমনভাবে ধোলাই করা হয়েছে যে তিনি কথিত জিহাদে গিয়ে ‘শহীদ হওয়ার জন্য’ মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। নাবিলাসহ যারা এরই মধ্যে জঙ্গিবাদে পা দিয়েছে তারা কারো না কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। তাদের সেসব ‘গুরুদের’ শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
জিজ্ঞাসাবাদে নাবিলা অকপটে জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন জানিয়ে সিটিটিসির এক কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার সপক্ষে নানা বক্তব্যও তুলে ধরার চেষ্টা করেন এই তরুণী। এ ক্ষেত্রে নাবিলা অনেক কট্টরপন্থী। তিনি কার মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়েছেন এবং কার কার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে।
সম্পর্কিত খবর

বান্দরবানে সারজিস অবাঞ্ছিত ও এনসিপির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান ও রাঙামাটি প্রতিনিধি

পার্বত্য বান্দরবানের প্রতি ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে জেলার ছাত্রসমাজ। একই সঙ্গে বান্দরবানে এনসিপির সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা এসেছে ছাত্রনেতাদের পক্ষ থেকে।
গতকাল রবিবার দুপুরে বান্দরবান প্রেস ক্লাবে ছাত্রসমাজের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় ছাত্রনেতারা বলেন, গত ৩ জুলাই পঞ্চগড়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রার এক সমাবেশে বান্দরবানকে ‘শাস্তিস্বরূপ চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বদলির জায়গা’ বলে মন্তব্য করেন সারজিস আলম।
ছাত্রনেতারা জানান, ওই মন্তব্যের পর তাঁরা এনসিপির স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সারজিস আলমকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ করেন। তাঁরা আশ্বাসও পান, ১৯ জুলাই বান্দরবানের পদযাত্রা কর্মসূচিতে সারজিস আলম ক্ষমা চাইবেন। কিন্তু ওই কর্মসূচিতে তিনি উপস্থিত ছিলেন না এবং এনসিপির কেন্দ্রীয় কোনো নেতা বিষয়টি নিয়ে মুখও খোলেননি।
বান্দরবান ছাত্রসমাজের নেতা আসিফ ইসলাম বলেন, ‘সারজিস আলম ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত বান্দরবানে তাঁর উপস্থিতি এবং এনসিপির সব কার্যক্রম অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। পার্বত্যাঞ্চলকে শাস্তির জায়গা বলা মানে আমাদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সভাপতি আসিফ ইকবাল, সহসভাপতি মাহির ইফতেখার, আমিনুল ইসলাম, খালিদ বিন নজরুল, হাবিব আল মাহমুদ প্রমুখ।
রাঙামাটিতে এনসিপির পদযাত্রায় পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগ
এদিকে গতকাল শনিবার রাঙামাটি শহরে এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে নেওয়া নিরাপত্তাব্যবস্থায় শহরের একমাত্র গণপরিবহন অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রাঙামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবু সাইয়েদ আহমেদ বলেন, ‘গাড়ি বন্ধ থাকায় সকালে প্রশ্নপত্র আনতেও সমস্যায় পড়ি। ৮৩৪ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা ছিল, অনেকে কেন্দ্রে পৌঁছতে দেরি করে।’
এনসিপির পদযাত্রা দুপুরে শিল্পকলা একাডেমি থেকে শুরু হয়ে বনরূপা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা যদি ভুল করি, সেটা সংশোধন করব। তবে কথার প্রতিবাদে সহিংসতা কিংবা ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হতে পারে না।’
তবে সমাবেশের কারণে পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগের ঘটনায় ছাত্রদল ও সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে। ছাত্রদলের জেলা সভাপতি ফারুক আহমেদ সাব্বির বলেন, ‘একটা রাজনৈতিক দল কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে পরীক্ষার দিন রাস্তায় সমাবেশ করে।’
ফেসবুক পোস্টে দুঃখ প্রকাশ সারজিসের
সমালোচনার মুখে গতকাল দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন সারজিস আলম। তিনি লেখেন, ‘সংগ্রাম, সৌন্দর্য ও সৌহার্দ্যের রাঙামাটি থেকে...
আমরা লড়াই করব সকল জাতিগোষ্ঠীর অধিকার ও মানবিক মর্যাদা নিয়ে; জুলাই পদযাত্রা থেকে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
বান্দরবান নিয়ে কিছুদিন আগে একটি বক্তব্যে যে অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দচয়ন হয়েছে, সেটার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস
এ বছর তিনটি যৌথ সামরিক মহড়া চালাবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্র এ বছর বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে তিনটি সামরিক মহড়া চালাবে এবং নতুন দক্ষতা সংযোজনের মাধ্যমে তাদের দীর্ঘদিনের অংশীদারি বজায় রাখবে। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস গতকাল রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
যৌথ সামরিক মহড়া ও নতুন দক্ষতা সংযোজন প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বলেছে, এগুলো আমাদের অভিন্ন নিরাপত্তা লক্ষ্যকে আরো দৃঢ় করবে। এই প্রচেষ্টাগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলকে আরো শক্তিশালী ও নিরাপদ করে তোলে।
টাইগার লাইটনিং মহড়া : টানা চতুর্থ বছরের মতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী প্যাসিফিক টাইগার লাইটনিং মহড়া পরিচালনা করবে। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানায়, বাস্তবধর্মী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের সৈনিকরা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, শান্তিরক্ষা, জঙ্গলে অভিযান, আহতদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত সরিয়ে নেওয়া এবং তাৎক্ষণিক বিস্ফোরক ডিভাইস (আইইডি) প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুতি অর্জন করবে।
টাইগার শার্ক ২০২৫ মহড়া : যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানায়, টাইগার শার্ক (ফ্লাশ বেঙ্গল সিরিজের অংশ) একটি যৌথ প্রশিক্ষণ মহড়া যেখানে আমাদের দুই দেশের বিশেষ বাহিনী যুদ্ধকৌশল অনুশীলন করে। ২০০৯ সাল থেকে চলমান এই মহড়ায় প্যাট্রল বোট পরিচালনা এবং স্বল্পপাল্লার অস্ত্রের লক্ষ্যভেদে দক্ষতা অর্জনের অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা বাংলাদেশ স্পেশাল ওয়ারফেয়ার ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ এবং প্যারা কমান্ডো ব্রিগেডকে সংকট মোকাবেলায় আরো দক্ষ করে তুলবে।
প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল মহড়া : যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল। এই মহড়ায় আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, আমাদের সি-১৩০ বহরকে তুলে ধরা হবে। এটি দুর্যোগকালে আকাশপথে সরঞ্জাম সরবরাহ ও চলাচল সংক্রান্ত অভিযানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরকিউ-২১ কর্মসূচি চালু : যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সঙ্গে একত্রে বাংলাদেশের জন্য একটি মানববিহীন আকাশযান ব্যবস্থা (ইউএএস) সক্ষমতা গড়ে তুলছে। বাংলাদেশ সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি রেজিমেন্ট নতুন আরকিউ-২১ ব্ল্যাকজ্যাক সিস্টেম পরিচালনা করবে। এই সম্মিলিত উদ্যোগ বাংলাদেশকে সমুদ্রসীমা পর্যবেক্ষণ, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনায় সক্ষম করে তুলবে।

ডাকসু নির্বাচন ২০২৫
তফসিল ২৯ জুলাই ভোট সেপ্টেম্বরে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামী ২৯ জুলাই। এরপর নির্বাচন সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। গতকাল রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অংশীজনদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় এসব তথ্য জানান ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা, সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর, প্রোক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, অনুষদের ডিন, শিক্ষকদের প্রতিনিধি, হল প্রভোস্ট, বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা।
স্বাগত বক্তব্য দেন ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী অংশীজনদের আগের পরামর্শের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সভায় জানানো হয়, নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে ছয়টি নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভায় আরো জানানো হয়, ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গত ৬ জুন থেকে এ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে আরো ৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত লাইট স্থাপন করা হয়েছে।

আবারও মালিকদের ধর্মঘটের হুমকি
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি পাঁচটি দাবি বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮-এর সংশোধন, বাণিজ্যিক মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ ২০ ও ২৫ বছর থেকে বাড়ানোসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে সমিতি। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই দাবিগুলো না মানা হলে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণাও দিয়েছে তারা। গতকাল দুপুরে সমিতির কার্যালয়ে মালিক ও শ্রমিকদের যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. কফিল উদ্দিন। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাড. শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনটি একটি প্রতিশোধপরায়ণ, নিপীড়নমূলক এবং ক্ষতিকর।