ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭
এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

জাপা না সরকারের শরিক না প্রকৃত বিরোধী দল

  • ► দলের জন্য ‘অভিশাপ’ এরশাদের সম্পদ
    ► জাপা নামে দল করতে পারেন বিদিশা
লায়েকুজ্জামান
লায়েকুজ্জামান
শেয়ার
জাপা না সরকারের শরিক না প্রকৃত বিরোধী দল

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই বার্ধক্যজনিত শারীরিক জটিলতা নিয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন যে এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টিরও রাজনৈতিক মৃত্যু হতে পারে। অবশ্য এরশাদবিহীন জাতীয় পার্টি এখনো টিকে আছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মিত্র হলেও দলটি এখন সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় আছে।

কিন্তু জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ। কারণ তাঁরা সরকারের শরিক নয়, যে কারণে দলের নেতাকর্মীরা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। অন্যদিকে জাতীয় সংসদে দলটি প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকা পালনেও ব্যর্থ হচ্ছে।

সংসদের বিরোধী দল হিসেবে জনপ্রত্যাশা হচ্ছে—সরকারের সমালোচনা ও সরকারের ব্যর্থতার দিকগুলো তুলে ধরা। কিন্তু জাতীয় পার্টি সে ধরনের ভূমিকা পালন করছে না।

অন্যদিকে দল হিসেবেও জাতীয় পার্টি পেছনের দিকে হাঁটছে। দলের রাজনৈতিক ভূমিকা এর অন্যতম কারণ।

আরেকটি কারণ হলো, এরশাদের রেখে যাওয়া সম্পদ নিয়ে পারিবারিক কলহ।

১৯৮২ সালে বিএনপি সরকারের রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করেন সে সময়ের সেনাপ্রধান এরশাদ। পূর্বসূরি জিয়াউর রহমানের মতোই তিনিও একটি দল গঠন করেন। ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি গঠিত জাতীয় পার্টির প্রথম চেয়ারম্যান হন এরশাদ। ১৯৯০ সালে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।

এরপর দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের নানা অভিযোগে তিনি গ্রেপ্তার হন। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে তাঁর দল ৩৫টি আসনে জয়লাভ করে। এর পর থেকে দলটির আসন কমলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাঁর মিত্রতা গড়ে ওঠে। ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ওই সরকারে জাতীয় পার্টির একজন মন্ত্রী ছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত মহাজোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করে। মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে আবার ক্ষমতার অংশীদার হয়। তবে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টি মহাজোট থেকে বেরিয়ে যায় এবং এককভাবে নির্বাচন করে। মহাজোটে না থাকলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির আসন সমঝোতা হয়। যদিও পরে সব আসনে সমঝোতা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। বিএনপি ও এর জোট ভোট বর্জন করে। ওই নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের আসনে বসে। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও দলটি এককভাবে নির্বাচন করে। তবে পর্দার আড়ালে তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আসন সমঝোতা হয়।

জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির ভূমিকার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. গিয়াসউদ্দিন মোল্লা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জাতীয় পার্টি সংসদে যথাযথ বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে পারছে এমনটা মনে করছি না। বড়জোর তারা একটি প্রেসার গ্রুপের মতো কাজ করছে। তারা সরকারের বিপক্ষে কোনো কঠোর অবস্থান নিতে পারছে না, এটা হতে পারে অন্তরালে ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের সঙ্গে স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো সমঝোতা। জাতীয় পার্টিকে প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকায় আসতে হলে তাদের বর্তমান অবস্থান ছাড়তে হবে। তাদের জনগণের আস্থায় আসতে হবে যে তারা প্রকৃত বিরোধী দল। এটা না করতে পারলে দলটির রাজনীতি বাঁচিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে।’

এরশাদ কারাগার থেকে বের হওয়ার পর জাতীয় পার্টিতে চারটি বড় ধরনের ভাঙন দেখা দেয় এবং পার্টির নেতাদের একটি বড় অংশ আবার তাদের পুরনো দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগে ফিরে যায়। এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টি ভাঙেনি। এরশাদ-পরবর্তীকালে দলের প্রথম কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর। এই সম্মেলন কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টিতে দুটি ধারার সৃষ্টি হয়। একদিকে ছিলেন এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ ও এরশাদের ছোট ভাই গোলাম মোহাম্মাদ (জি এম) কাদের। পরবর্তী সময়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে দলে নতুন পদ সৃষ্টি করে তাঁদের মধ্যকার বিরোধ মেটানো হয়।

তবে দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর আগে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে পারিবারিক কলহ। ট্রাস্টের বাইরে থাকা এরশাদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ কবজা করতে রওশনের সঙ্গে ‘ঐক্য’ গড়েছেন এরশাদের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়া বিদিশা। জাতীয় পার্টির একটি সূত্র বলছে, বিদিশা দলের বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে চাপে রেখে জাতীয় পার্টির সর্বোচ্চ ফোরামে প্রবেশ করতে চান এবং সংসদ সদস্য হতে চান। তিনি রওশনকে সামনে রেখে দলে ভাঙন ধরাতে চান। তা না হলে নিজেই জাতীয় পার্টি নামে নতুন দলও করতে পারেন।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফয়সাল চিশতি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জাতীয় পার্টি টিকে আছে, টিকে থাকবে। শেষ বয়সে এসে জাতীয় পার্টি ভাঙার দায় রওশন এরশাদ নেবেন না।’

জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ‘সময় ও রাজনীতির প্রয়োজনে জাতীয় পার্টির সৃষ্টি হয়েছিল। একই কারণে জাতীয় পার্টি এরশাদের আদর্শ ধারণ করে তাঁর নির্দেশিত পথে এগিয়ে যাবে। জাতীয় পার্টিকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, তবে জাতীয় পার্টি টিকে আছে।’

এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচি : দলের প্রতিষ্ঠাতার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় পার্টি ও পার্টির অঙ্গসংগঠনগুলো একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জাতীয় পার্টির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ বুধবার দুপুরে দলের কাকরাইলের কার্যালয়ে ১০ হাজার লোকের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার অর্থায়নে। এই কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন দলের চেয়ারম্যান। এর আগে ওই কার্যালয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করবেন নেতাকর্মীরা। বিকেল ৩টায় শ্যামপুর বালুর মাঠে  আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিবেন জি এম কাদের।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ