ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

চলন্ত বাসে তরুণীকে দল বেঁধে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৬

  • ► আদালতে চালকের স্বীকারোক্তি
    ► বাকি পাঁচজন তিন দিনের রিমান্ডে
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও সাভার
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও সাভার
শেয়ার
চলন্ত বাসে তরুণীকে দল বেঁধে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৬

ঢাকার কাছে সাভারের আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে এক তরুণীকে (২২) দল বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর বাসটির চালক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়ার সিঅ্যান্ডবি বাইপাস সড়কে ওই তরুণীর চিৎকার শুনে বাস থামিয়ে তাঁকে উদ্ধার ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গতকাল শনিবার মেডিক্যাল পরীক্ষার পর ভুক্তভোগী তরুণীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

টহল পুলিশ নিউ গ্রামবাংলা পরিবহনের বাসের চালক, হেলপার, সুপারভাইজারসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বাসটিও জব্দ করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রাজধানীর তুরাগ থানাধীন গুলবাগ ইন্দ্রপুর ভাসমান গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আরিয়ান (১৮), কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনা এলাকার আতিয়ারের ছেলে সাজু (২০), বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর গ্রামের শামসুল মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০), একই জেলার ধুনট থানার খাটিয়ামারী এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (২৪), একই এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সোহাগ (২৫) এবং নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার ধামঘর এলাকার জহুর উদ্দিনের ছেলে মনোয়ার (২৪)।

প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশের ভাষ্য, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই তুরাগ থানার কামারপাড়ায় ভাড়া বাসায় থেকে আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল-নবীনগর মহাসড়কে চলাচলরত পরিবহনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।

তাঁদের মধ্যে বাসচালক সুমন মিয়া (২৪) আদালতে অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

যেভাবে ঘটনা : আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, দুই সন্তানের জননী ওই তরুণী নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় স্বামীসহ বসবাস করেন এবং একটি তৈরি পোশাক কারখানায় হেলপার হিসেবে কাজ করেন। স্বামী রিকশাচালক। তাঁর বাড়ি লালমনিরহাট।

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ওই নারী তাঁর বোনের জন্য একটি মোবাইল ফোনসেট কিনে শুক্রবার সকালে মানিকগঞ্জের বেউতাঘাট এলাকায় বোনের বাসায় আসেন। ওই দিনই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য বাসে ওঠেন। রাত ৮টার দিকে আশুলিয়ার নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে এসে নামেন। এরপর নারায়ণগঞ্জে যাওয়ার জন্য অন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সে সময় ওখানে পূর্বপরিচিত আনোয়ার হোসেন ওরফে নাজমুল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়।

এ সময় হেলপারের ডাকাডাকিতে তাঁরা দুইজন রাত ৯টার দিকে টঙ্গীর স্টেশন রোড পর্যন্ত যাওয়ার জন্য নিউ গ্রামবাংলা মিনিবাসে ওঠেন। বাস গন্তব্যে যাওয়ার আগেই অন্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয় এবং অন্য কয়েকজন পরিবহন শ্রমিককে ওঠান বাসের শ্রমিকরা। এরপর বাসটি আব্দুল্লাহপুরের দিকে না গিয়ে উল্টোদিকে আশুলিয়ার দিকে ফিরে আসতে থাকে। বাসটি আশুলিয়ার গরুর হাট এলাকা হয়ে কলমার দিকে আসার সময় তরুণীকে দল বেঁধে ধর্ষণ করেন বাসের চালক সুমন, সহকারী মনোয়ার ও সুপারভাইজার সাইফুল ইসলামসহ ছয়জন। এ সময় সঙ্গী নাজমুল বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে মারধর করা হয়। বাসটি নবীনগর বাসস্ট্যান্ডের অদূরে গলফ ক্লাবের কাছে পৌঁছলে ওই নারী ও তাঁর সঙ্গী চিৎকার করলে মহাসড়কে টহলরত সাভার হাইওয়ে পুলিশ গাড়িটি আটক করে। রাতেই ওই তরুণী মামলা করেন। গতকাল সকালে গ্রেপ্তারকৃত ছয়জনকে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

হাসপাতালে ভুক্তভোগী তরুণী : গতকাল দুপুরে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ওই তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়। এ বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সেলিম রেজা সাংবাদিকদের বলেন, ভুক্তভোগী নারীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হতে এবং অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি জানান, ওই তরুণী বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে রয়েছেন।

বাসচালকের স্বীকারোক্তি, পাঁচজন রিমান্ডে : তরুণীকে দল বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার ছয়জনকে গতকাল ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচার বিভাগীয় হাকিম আদালতে সোপর্দ করা হয়। আমাদের আদালত প্রতিবেদক জানান, তাঁদের মধ্যে বাসচালক সুমন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার জন্য আদালতে আবেদন করেন। আদালত সুমনের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

একই সঙ্গে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও রহস্য উদঘাটনের জন্য বাকি আসামি আরিয়ান, সাজু, সোহাগ, মনোয়ার ও সাইফুলের পাঁচ দিন করে রিমান্ড চান তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর শুনানি শেষে তাঁদের প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক শাহজাদী তাহমিদা। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা (জিআরও) পুলিশ পরিদর্শক মেসবাহ উদ্দীন বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২০১৭ সালে টাঙ্গাইলের মধুপুর এলাকায় চলন্ত বাসে এক তরুণীকে দল বেঁধে ধর্ষণের পর তাঁকে ঘাড় মটকে হত্যা করে রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়ার ঘটনা সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ