আমের জন্য অপেক্ষা

  • ♦ জুনের আগের আম অপরিপক্ব
  • ♦ সাতক্ষীরার আম কিছুটা আগে
রোকন মাহমুদ
রোকন মাহমুদ
শেয়ার
আমের জন্য অপেক্ষা

গোপীবাগ বাজারে ভ্যানে করে আম নিয়ে বসেছেন আহমেদ আলী। জানতে চাইলে জাতের নাম বলেন সাতক্ষীরার গোবিন্দভোগ। দামও কিছুটা বেশি বলেন। দোকানের পাশে মিনিট দশেক দাঁড়িয়ে অন্তত ১০ জনকে দেখা গেল, আম দেখে কয়েক সেকেন্ড নেড়েচেড়েই চলে গেলেন।

এমন একজন স্থানীয় বাসিন্দা সগির আহমেদ। জানতে চাইলে বলেন, ‘এখনো জ্যৈষ্ঠ মাস শুরু হয়নি, পরিপক্ব আম কী করে আসে। আমার মনে হচ্ছে, কোনো কিছু দিয়ে পাকানো হয়েছে। তাই কেনার সাহস পেলাম না।
’ বিক্রেতা অবশ্য পাইকারি বাজারে দেদার বিক্রির কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ঘাটে (পাইকারি বাজার) ভূরি ভূরি আম আসতেছে। এত আম কৃত্তিমভাবে পাকাইব ক্যামনে।’

গোপীবাগের মতো মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, খিলগাঁও, গুলশানসহ রাজধানীর প্রতিটি বাজারেই এখন পাওয়া যাচ্ছে পাকা আম।

গোবিন্দভোগ, গোপালভোগসহ কয়েক জাতের আম ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আমের অর্ডার নিচ্ছে বিভিন্ন অনলাইন বিক্রেতারাও। কোথাও কোথাও হিমসাগর নামেও আম বিক্রি হচ্ছে। স্থায়ী দোকানগুলোতে কিছু ভালো ও দৃষ্টিনন্দন আমের দেখা পাওয়া গেলেও ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে বিক্রি হওয়া বেশির ভাগ আমের কোথাও না কোথাও পচা দেখা গেল। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, সব ফলই প্রথম নামলে নতুন হিসেবে মানুষ আগ্রহ করে কেনে।
দামও ভালো পাওয়া যায়। কিন্তু আমের বিক্রি সেই হিসেবে খুবই কম। অনেকে নেড়েচেড়ে দেখে, কিন্তু কেনে না। এতে অনেকেরই লোকসান গুনতে হচ্ছে।

আম গবেষণা কেন্দ্র বলছে, সময়মতো এবার বৃষ্টি না হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ উত্তরবঙ্গের আমের জন্য জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মে মাসের শেষ নাগাদ কিছু আম আসতে পারে। তবে আমের মৌসুম শুরু হতে জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যান তত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের (আম গবেষণা কেন্দ্র) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হরিদাস চন্দ্র মহন্ত কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অক্টোবর  থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এবার সাত মাস খরা ছিল। প্রথম বৃষ্টি হয় ৩ মে। এই অনাবৃষ্টির কারণে এবার আম পরিপুষ্ট হতে সময় বেশি লাগবে। ফলে এবার আম নামানোর সময় পিছিয়ে যাবে। জুনের প্রথম সপ্তাহের আগে এ অঞ্চলের পরিপুষ্ট আম নামানো সম্ভব নয়।’

তাঁর দেওয়া তথ্য মতে প্রথমে গোপালভোগ, তারপর মহান্দা, গোবিন্দভোগ, হিমসাগর, আম্রপালি, ক্ষীরসাপাত, ফজলি, আশ্বিনা ইত্যাদি আম পর্যায়ক্রমে বাজারে আসবে। প্রতিটি জাতের আম বাজারে আসতে মাঝখানে ১০ থেকে ১৫ দিন ব্যবধান হবে।

এখন বাজারে বিক্রি হওয়া আমের মান বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাতক্ষীরার আম কিছুটা আগে আসে এটা ঠিক। তাই বলে এত আগে নামানোটা সন্দেহের বিষয়। অনেকে বেশি দাম পাওয়ার আশায় পরিপক্ব হওয়ার আগে কিংবা মোটামুটি পরিপক্ব হলেই গাছ থেকে পেড়ে কৃত্রিমভাবে পাকিয়ে বাজারজাত করে। এ ক্ষেত্রে কার্বাইড ব্যবহার করে তারা। এসব আম স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।

উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির কারণে পিছিয়ে গেলেও উল্টো চিত্র সাতক্ষীরায়। গতবারের তুলনায় দিন দশেক আগেই গাছ থেকে আম নামানোর অনুমোদন দিয়েছে সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তারা বলছে, যাচাই-বাছাই করে গত ১ মে থেকে এ অঞ্চলের আম নামানোর অনুমোদন দেওয়া হয়। এপ্রিলের ২৭ তারিখেই তারা এই অনুমোদন দেয় বলে জানা যায়। এ অঞ্চল থেকে এরই মধ্যে দেশের ও বিদেশের বাজারে গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, গোলাপখাসসহ কয়েক জাতের আম বাজারজাত হচ্ছে। সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর ১৩ হাজার ১০০ চাষি পাঁচ হাজারের বেশি বাগানে চার হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ করেছেন। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪০ হাজার মেট্রিক টন।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুল আসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সাতক্ষীরা অঞ্চলের আম একটু আগেই বাজারজাত করা যায়। গত বছর ১০ মের দিকে বাজারজাতের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এবার ১০ দিন আগেই গাছ থেকে আম নামানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটা ঠিক যে অনাবৃষ্টির কারণে আমের বৃদ্ধি কিছুটা কম হয়, তবে উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় আমাদের সে সমস্যায় পড়তে হয়নি। তা ছাড়া অনেকে সেচের মাধ্যমে পানি দিয়েছে। ফলে আমের বৃদ্ধি সময়মতোই হয়েছে। আমরা যাচাই-বাছাই করে ১ মে থেকে আম হার্ভেষ্টের অনুমোদন দিয়েছি। তবে এ এলাকার হিমসাগর নামানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ২১ মের পর থেকে।’

জানা যায়, চলতি মৌসুমে ল্যাংড়া আম ১ জুন থেকে পাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সাতক্ষীরায়। রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের চেয়ে অন্তত ১৫ দিন আগে হার্ভেস্টিংয়ের সুবিধা থাকায় সাতক্ষীরার আম রপ্তানিতে বিশেষ গুরুত্ব পায়। মাটি ও আবহাওয়াজনিত কারণে অন্যান্য জেলার তুলনায় কয়েক বছর ধরেই সাতক্ষীরার ল্যাংড়া, হিমসাগর ও আম্রপালি আম রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। গত ৮ মে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেরেলকাতা ইউনিয়নের পুটুনি এলাকার চাষি দাউদ মোল্লার বাগানের গোবিন্দভোগ আম পেড়ে প্রক্রিয়াজাত করার মাধ্যমে চলতি মৌসুমে বিদেশে আম রপ্তানি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন সাতক্ষীরা প্রতিনিধি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ