কয়েক দিন আগে রাজধানী ঢাকার তুরাগ থানার রানাভোলা এলাকার একটি বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়। এতে নিঃস্ব হয়ে যায় শতাধিক মানুষ। এই অসহায়দের ঘরে একটু হলেও ঈদের আনন্দ ফিরিয়ে দিল বসুন্ধরা গ্রুপের ঈদ উপহার। গতকাল মঙ্গলবার তাদের ছাড়াও রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন এলাকার (দ্বিতীয় দফা) তিন শতাধিক মানুষের হাতে বসুন্ধরার উপহার তুলে দেন কালের কণ্ঠ শুভসংঘের বন্ধুরা।
বসুন্ধরার উপহার
ঈদের আগে খুশির জোয়ার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

ত্রিশালে উপজেলা শুভসংঘের আয়োজনে গতকাল তৃতীয় দিনের মতো বসুন্ধরার ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ত্রিশাল আসনের সংসদ সদস্য রুহুল আমিন মাদানী বলেন, ‘সরকার করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি অসহায়দের সহায়তা করে যাচ্ছে।
কালের কণ্ঠ ত্রিশাল প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ত্রিশাল থানার ওসি মাইন উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এ এন এম শোভা মিয়া আকন্দ, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাছান শহীদ সোহেল, ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আ ন ম ফারুক, ত্রিশাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তফা সরকার, সাবেক সভাপতি খোরশিদুল আলম মজিব, ত্রিশাল নিউজ ক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম শামীম, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য আপেল মাহমুদ, ত্রিশাল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম, ত্রিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এইচ এম জোবায়ের হোসেন, প্রেস ক্লাবের মতিউর রহমান সেলিম, ফয়জুর রহমান ফরহাদ, মামুনুর রশীদ প্রমুখ।
রাজধানীর উত্তরায় আগের দিন শুভসংঘ বন্ধুদের বিতরণ করা টোকেন নিয়ে গতকাল অসহায় মানুষজন হাজির হয় আইইউবিএটির গেটের সামনে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আইইউবিএটির মিলনায়তনে তাদের হাতে খাদ্যসামগ্রীর ব্যাগ তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইইউবিএটির শিক্ষক প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম, শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদেকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক রানা মিত্র, সামনান ওলী প্রমুখ। এ ছাড়া দক্ষিণখান ও উত্তরখান থানার অসহায় মানুষের মাঝে বসুন্ধরার ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়। উপহার বিতরণ করেন দক্ষিণখান থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফারুক আহমেদ ও উত্তরখান থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মেহেদী হাসান উজ্জ্বল।
নরসিংদীতে কর্মহীন হয়ে পড়া ও দুস্থ ৩০০ পরিবার পেয়েছে বসুন্ধরার ঈদ উপহার। দুপুরে পৌর এলাকার বিআরটিসি মাঠে নরসিংদী জেলা শুভসংঘের সহযোগিতায় উপহারসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ সময় শুভসংঘের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মাহবুবুর রহমান, নরসিংদী জেলা শাখার উপদেষ্টা রাসেল বিন হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা এম এ বাশার বাচ্চু, নরসিংদী সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. আমিরুল হক শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার সদর ও তেওতা ইউনিয়নে পাঁচ শতাধিক দুস্থ ও কর্মহীন মানুষকে বসুন্ধরা গ্রুপ খাদ্য সহায়তা দেয়। ইউএনও বি এম রুহুল আমীন রিমনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপকারভোগীদের হাতে এ সহায়তা তুলে দেন জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস। উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুনা আক্তার, তেওতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, ইউনুস আলী মাস্টার, শরৎ বাবু, যুবলীগ নেতা নুরে আলম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ আপৎকালসহ বিভিন্ন সময়ে অসহায় মানুষের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। সরকারি সহায়তার পাশাপাশি এসব বড় গ্রুপ আছে বলেই দেশের মানুষ ভালো থাকে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার এক প্রবাসীর পরিবার ‘অভুক্ত’ থাকা নিয়ে কালের কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হলে অনেকেই এগিয়ে আসে। এবার পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। গতকাল রাধানগরে শুভসংঘের সহযোগিতায় ওই পরিবার, পত্রিকা হকার, গৃহকর্মী, দিনমজুরসহ দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়। আখাউড়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুন্নবী ভূঁইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মিনহাজুল আবেদীন খাদেম হান্নান, সাবেক সহসভাপতি কাজী মফিকুল ইসলাম সুহিন, সহসভাপতি জুটন বনিক, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক মো. ফজলে রাব্বী, আশীষ সাহা, ব্যবসায়ী মো. ইয়াছিন চৌধুুুরী, মো. মামুন আল ফয়সল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কালের কণ্ঠ’র ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবু বিতরণ কাজের সমন্বয় করেন। এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে ২০ অটিজম শিশু ও পাঁচজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মাঝে শুভসংঘের সহযোগিতায় বসুন্ধরার খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের আহ্বায়ক মো. মনির হোসেন, জাগ্রত যুব সংগঠনের সমন্বয়ক অন্তর খান, শুভসংঘের সভাপতি হেদায়েতুল আজিজ মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সোমবার কসবার অনন্তপুর গ্রামের গাজী মিয়া পান বসুন্ধরার খাদ্য সহায়তা।
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ফুলপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে ৩০৬ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, বিধবা, গৃহ, হোটেল ও দোকানের কর্মী, ভিক্ষুক, রিকশাচালক, পত্রিকার হকার, পুরোহিত, ছিন্নমূল মানুষের মাঝে বসুন্ধরা গ্রুপের ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া উপজেলার নগুয়া বাজারসংলগ্ন খাসজমিতে গড়ে তোলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের (শেখ হাসিনা পল্লী) ৪৪ জনই পেয়েছে বসুন্ধরার ঈদ উপহার। শুভসংঘ আয়োজিত এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল খালেক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল করীম রাসেল, ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া পারভীন লাকী, ইউএনও শীতেষ চন্দ্র সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, থানার ওসি ইমারত হোসেন গাজী, কলেজের অধ্যক্ষ রওশন আরা বেগম, কাউন্সিলর তাসনোভা নাসরীন নিশু, নিশিত কুমার মিঠুন, শুভসংঘের উপদেষ্টা কামরুল হাসান কামু ও শাফায়েত জামিল সাজু, সভাপতি আশরাফ হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান পান্না, ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, শুভসংঘের শিখা রানী সরকার বিউটি, মাকসুদা পারভীন, দিদারুল ইসলাম, সোলাইমান কবীর বিশ্বাস, মেজবাহ উদ্দিন, সোহেল রানা, শেখ রাসেল, আয়েশা আক্তার, ফাতেমা আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস স্বর্ণা, আলমগীর হোসেন, সাকিব মিয়া, আলমগীর ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন, আশিকুর রহমান ট্রনিক, ইকবাল হোসেন, আশা, সৌরভী ও তানিয়া। এর আগে বসুন্ধরার চেয়ারম্যানের জন্য ও করোনা থেকে রক্ষা পেতে মোনাজাত এবং মাস্ক বিতরণ করা হয়। আতাউল করিম রাসেল বলেন, ‘করোনার দুঃসময়ে বসুন্ধরা ফুলপুরেও অসহায়দের মুখে হাসি ফোটাল। শুভসংঘের কার্যক্রম খুবই ভালো। শুভসংঘের প্রতিটি কাজে আমাকে পাবেন।’
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন কালের কণ্ঠ’র নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা এবং প্রতিনিধি, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মানিকগঞ্জ (আঞ্চলিক), ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) ও ফুলপুর (ময়মনসিংহ)]
সম্পর্কিত খবর

তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে পাট চাষ

তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে করা হয়েছে পাট চাষ। সেই পাট কেটে মহিষের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পানিতে জাগ দেওয়ার জন্য। গতকাল রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্নেয়া ইউনিয়নের চর বাঘমারা থেকে তোলা। ছবি : মো. আসাদুজ্জামান
।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী মুগদা হাসপাতালে

খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ এলাকার আড়াই বছর বয়সী নূরজাহান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল তোলা। ছবি : মঞ্জুরুল করিম
।
২২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা খেলাফত মজলিসের
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২৩টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির আমির মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দলটি আগামী জাতীয় সংসদে নিম্নকক্ষে আংশিক আনুপাতিক ও উচ্চকক্ষে পূর্ণ আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক দ্বিকক্ষীয় সাংবিধানিক কাঠামোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দলের নেতারা বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেওয়া আত্মঘাতী। এতে ফ্যাসিবাদের দোসররা আরো উৎসাহী হচ্ছে। আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, তবে ফ্যাসিবাদ ফের মাথা চাড়া দেবে।
গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী শৈথিল্য দেখালেও পরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে দুষ্কৃতকারীরা দ্রুত প্রতিহত হয়েছে, যা প্রশংসনীয়। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন ও মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা ফয়সাল আহমদ। এ ছাড়া ছিলেন মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা হারুনুর রশীদ, মাওলানা রুহুল আমীন খান, মাওলানা হাসান জুনাইদ, মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনী, মাওলানা জয়নুল আবেদীন ও মাওলানা মুহসিন বেলালী।

রামেকে ইন্টার্ননির্ভর চিকিৎসায় ঝুঁকিতে মুমূর্ষু রোগীরা
রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী

পাবনার ঈশ্বরদী এলাকার ওয়াহেদুজ্জামান (৭১) জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে পরিবারের সদস্যরা গত ১৩ জুলাই সন্ধ্যার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। রোগীকে জরুরি বিভাগ থেকে পাঠানো হয় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে (মেডিসিন ওয়ার্ড)। ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাঁকে ভর্তি করে নেন।
পরের দিন ১৫ জুলাই সকালের দিকে রোগী কিছুটা সুস্থ বোধ করলে তাঁকে ছুটি দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু দুপুর গড়াতে না গড়াতেই রোগী আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এটি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতিদিনের চিত্র। চিকিৎসকসংকটে দিনের প্রায় ১৮ ঘণ্টাই ইন্টার্ন চিকিৎসকনির্ভরতার মাধ্যমে চলছে এই হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা।
খুব জরুরি প্রয়োজনে ফোনে পরামর্শ নেওয়া হয় অভিজ্ঞ ডাক্তারদের। এর বাইরে এফসিপিএস ডিগ্রিধারী বা এফসিপিএস করছেন এমন মধ্যম মানের চিকিৎসকরা থাকেন ভর্তির দিন ধার্য থাকা ওয়ার্ডগুলোতে। এ ছাড়া দিনের ২৪ ঘণ্টা প্রতিটি ওয়ার্ডেই চার থেকে ছয়জন করে পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করতে হয় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের। এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই ইন্টার্নদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।
পাবনার ঈশ্বদীর রোগী ওয়াহেদুজ্জামানের ছেলে হামিম আবেদীন বলেন, ‘রামেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসক দিনে একবার করে আসার কারণে আমার বাবার সমস্যাগুলো জটিল হয়ে গিয়েছিল, যা ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বুঝে উঠতে পারেননি।’
ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করি রোগীর সেবা দেওয়ার। কিন্তু যে পরিমাণ রোগীকে চিকিৎসা দিতে হয়, সে পরিমাণ ইন্টার্ন চিকিৎসকও নেই।’
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ বলেন, ‘হাসপাতালে পর্যাপ্ত আনসার সদস্যও নেই। অন্যদিকে যেসংখ্যক রোগী ভর্তি হচ্ছে, সেসংখ্যক অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসাসামগ্রী ও ওষুধপথ্যও আমরা দিতে পারছি না। কারণ সব কিছু বরাদ্দ হচ্ছে ৫০০ শয্যার বিপরীতে। কিন্তু এখানে শয্যাই আছে এক হাজার ২০০টি। এর বাইরেও অতিরিক্ত আরো দুই থেকে আড়াই হাজার রোগীকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে আমাদের নানাভাবে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’