ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

নির্ধারিত দামের কমে মিলছে খোলা তেল

  • বোতলজাতে দর কমায়নি অনেক ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার

নির্ধারিত দামের কমে মিলছে খোলা তেল

খুচরা বাজারে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কমে মিলছে খোলা ভোজ্য তেল। একইভাবে কয়েকটি ব্র্যান্ডের বোতলজাত তেলও নির্ধারিত দামের চেয়ে কমে মিলছে। অবশ্য কিছু ব্র্যান্ডের বোতলজাত তেলের দাম সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি।

বিক্রেতাদের দাবি, সরকার দাম নির্ধারণের আগে থেকেই খুচরা বাজারে খোলা ভোজ্য তেল কমে বিক্রি হচ্ছিল।

শুধু কেজি আর লিটারের ভুল-বোঝাবুঝিতে ক্রেতারা বুঝতে পারেনি। হিসাব করলে সরকার ভোজ্য তেলের দাম বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি নির্ধারণ করেছে।

বাজারে অস্থিরতা তৈরি হওয়ায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সরকার ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ করে দেয়। খোলা সয়াবিনের দাম খুচরায় ১১৫ টাকা লিটার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

রাজধানীর সেগুনবাগিচা, মালিবাগ, মুগদাসহ খুচরা বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, সেখানে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১২৩-১২৭ টাকা কেজি দরে। এক লিটার সমান প্রায় ৯৬০ গ্রাম, অর্থাৎ এক কেজির কম। রাজধানীর মুগদা বাজারের এক দোকানে বোতলজাত সয়াবিনের এক লিটারের বোতল মেপে দেখা যায় ৯৩৬ গ্রাম। বিক্রেতা জানালেন, বোতল ছাড়া ৯০০ গ্রাম তেল পাওয়া যাবে।

সে হিসাবে খোলা সয়াবিন তেলের লিটারের দাম আসে ১১০ থেকে ১১৪ টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সপ্তাহে সরকার যখন তেলের দাম নির্ধারণ করে, তখন খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১২৩ থেকে ১২৫ টাকা কেজি। অর্থাৎ ১১২ টাকা ৫০ পয়সা লিটার। বিক্রেতারা বলছেন, সরকার নির্ধারণ করার পর অনেকে কেজিতে দুই টাকা বাড়িয়ে নির্ধারিত দামে বিক্রি করছেন।

বাজারে খোলা পাম সুপার তেল বিক্রি হচ্ছে ১০৫-১০৭ টাকা লিটার দরে।

খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম ১০৪ টাকা লিটার। পাম লুজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১০৫ টাকা লিটার।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে খোলা তেল বিক্রি হয় কেজি দরে। লিটার দরে নয়। কিন্তু সরকার এ ক্ষেত্রে দাম বেঁধে দিয়েছে লিটারে। সে হিসাবে সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম বাজারদরের চেয়ে বেশি।

মুগদা বাজারের ফরিদগঞ্জ জেনারেল স্টোরের মালিক মইজ উদ্দীন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি খোলা সয়াবিন ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। সে হিসাবে ১১২ টাকা লিটার। নির্ধারিত দামের মধ্যেই রয়েছে। গত ১৫ দিন এই দামেই বিক্রি করছি। পাইকারি থেকে কেনার পর নানা খরচ দিয়ে এর চেয়ে কমে বিক্রি করা যায় না। আমার কেনাতেই ১২৩ টাকা কেজি বা ১১০ টাকা লিটার পড়ছে। তেল বিক্রিতে খুব একটা লাভ হচ্ছে না।’

তবে বোতলজাত সয়াবিন সরকার নির্ধারিত দামে নামায়নি অনেক ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। প্রতিটি ব্র্যান্ডের বোতলের গায়ের মূল্য ১৩৫ টাকা। সরকার খুচরায় দাম বেঁধে দিয়েছে ১৩৫ টাকা লিটার। বাজারে পাঁচ লিটারের সয়াবিনের জার পাওয়া যাচ্ছে ব্র্যান্ডভেদে ৫৯০ থেকে ৬৫০ টাকায়। এ ক্ষেত্রে সরকার দাম বেঁধে দিয়েছে ৬৩০ টাকা। গায়ের মূল্য ৬৫০ থেকে ৬৮৫ টাকা পর্যন্ত লেখা রয়েছে।

পাইকারি ভোজ্য তেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মওলা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম কমতির দিকে। মার্চে মৌসুম পুরোপুরি শুরু হলে আরো কমে আসবে। অনেক কম্পানি দাম বেশি হওয়ায় আমদানি বন্ধ করে দিয়েছিল। তারা আবার আনা শুরু করলে দেশে আরো কমে আসবে।’

ভোজ্য তেল ছাড়া পরিবর্তন আসেনি অন্যান্য পণ্যেও। বড় দানার মসুর ডাল ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট দানার ১০০-১৪০ টাকা কেজি। ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। চিনির দামও কমেনি, বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে।

দেশি পেঁয়াজ আগের মতোই ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা-রসুনের দাম স্থির রয়েছে ৭০-১২০ টাকা কেজিতে। তবে আলুর দাম নেমেছে আরেকটু। বাজারে এখন ১৪-২০ টাকা কেজি দরে আলু পাওয়া যাচ্ছে। টমেটো, বেগুন, পেঁপে, শালগমসহ প্রায় সব ধরনের সবজিই মিলছে প্রতি কেজি ২০-৪০ টাকার মধ্যে।

ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে কিছুটা কমে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা ডজন। গত সপ্তাহে ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা ডজন। তবে কেজিতে আরো ১০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। প্রতি কেজি ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। মাসখানেক আগেও ১৩০ টাকায় পাওয়া যেত। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২৬০-২৮০ টাকা দরে। গরুর মাংস কেজি ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ