একজন অধ্যাপক অজয় রায়, অন্যজন অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। একজনের ছেলে ড. অভিজিৎ রায়, অন্যজনের ছেলে ফয়সল আরেফিন দীপন। ছয় বছর আগে কয়েক মাসের ব্যবধানে মুক্তবুদ্ধি, মুক্তচিন্তা চর্চার কারণে লেখক অভিজিৎ ও প্রকাশক দীপনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। ছেলে খুন হওয়ার পর ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়লেও দুজনের বাবার কথাবার্তা, আশাবাদ, পরিস্থিতি মোকাবেলা ও পদক্ষেপগুলো সমাজের জন্য অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
দুই বাবার লড়াইয়ের গল্প
নিজস্ব প্রতিবেদক

দীপন খুন হওয়ার পর আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছিলেন, ‘দেশে সমাজে সবার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।’ আর অভিজিৎ খুন হওয়ার পর অজয় রায় বলেছিলেন, ‘সৃষ্টিশীল মানুষদের, উদারনৈতিক মানুষদের রক্ষা করতে হবে, না হলে বাংলাদেশ হেরে যাবে।’ তাঁরা সব সময়ই দেশ ও নতুন প্রজন্মের জন্য সুন্দর আগামীর প্রত্যাশা করেছেন। শুধু এই দুই বাবাই নন, তাঁদের দুই পরিবারই যে অসীম ধৈর্য, সাহসিকতা ও মানবিকতা নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে, তা থেকে শিক্ষা নেওয়ার আছে।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে বের হওয়ার সময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে জঙ্গিরা কুপিয়ে হত্যা করে বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক অভিজিৎকে। এই হত্যাকাণ্ডের মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পাঁচ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। আর ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় এর কর্ণধার দীপনকে।
যদিও অজয় রায় তাঁর সন্তান অভিজিৎ হত্যার বিচারের রায় দেখে যেতে পারেননি। ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি মারা গেছেন। তবে দীপনের বাবা আবুল কাসেম ফজলুল হক তাঁর ছেলে হত্যার বিচারের রায় পাওয়ার পর শুধু নিজ সন্তানের কথা নয়, চিন্তা করেছেন দেশের বৃহত্তর স্বার্থ। তিনি জঙ্গিবাদ নির্মূলে দ্রুত সব মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি রায়ের পর আবুল কাসেম ফজলুল হক কালের কণ্ঠকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘দীপন হত্যা শুধুই একটি হত্যাকাণ্ড ছিল না, চিন্তার স্বাধীনতার ওপর একটি বড় আঘাত। চিন্তার স্বাধীনতাকে বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, করছে। এ কারণে একটি মামলা শেষ করলেই হবে না। এ রকম সব কটি মামলাই যতটা সম্ভব দ্রুত নিষ্পত্তি করা দরকার। আইনের শাসনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা যে জঙ্গিবাদের অপসারণ চাইছি, সেই জঙ্গিবাদ বিলুপ্ত হতে পারে কেবল রাজনীতি ও সংস্কৃতির একটি উন্নততর বাস্তবতার মধ্য দিয়ে। রাজনীতির মান উন্নত হওয়া উচিত। রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের ভেতর থেকেই উন্নত হতে হবে। দেশে এবং সব দেশেই সত্যিকার গণতন্ত্র, জনগণের গণতন্ত্র, সর্বজনীন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাহলে অপরাধ কমবে, জঙ্গিবাদও বিলুপ্ত হবে। শুধু জঙ্গিবাদীদের শাস্তি দিয়ে এই অপরাধপ্রবণতা শেষ করা যাবে না।’
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ছেলের লাশ দেখতে গিয়ে আবুল কাসেম ফজলুল হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘যারা অভিজিৎকে হত্যা করেছে, তারাই দীপনকে হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই না। কেননা বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক, সম্পূর্ণ সাংস্কৃতিক। বিচার চেয়ে কী হবে? একজনের ফাঁসি দিয়ে কী হবে? না দিলেই বা কী হবে? হয়তো নিয়ম অনুযায়ী আমাকে একটি মামলা করতে হবে। কিন্তু এর বিচার আমি চাই না।’
তবে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতের রায় জানার পর আবুল কাসেম ফজলুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিচারের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই এই রায় ঘোষণা করা হয়েছে। সন্দেহাতীতভাবেই প্রমাণিত হয়েছে আসামিরা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।’
অভিজিৎ হত্যার পর ২০১৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অজয় রায় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘এই বয়সে ছেলেহারা এক বাবার পক্ষে আর কী-ই বা চাওয়ার আছে। আমার ছেলে তো কারো কোনো ক্ষতি করেনি। শুধু সে মুক্তচিন্তার মানুষ ছিল। এটাই কি তার অপরাধ? খুনিরা ধর্মের নামে আর কত বাবার বুক খালি করবে?’
২০১৫ সালের মার্চে এক সাক্ষাৎকারে অজয় রায় বলেছিলেন, ‘আমি তো অ্যাক্টিভিস্ট। আমি তো রাস্তায় বায়ান্নর আন্দোলন করেছি, উনসত্তরের গণ-আন্দোলন করেছি, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বন্দুক হাতে যুদ্ধ করেছি। অভিজিৎ তো সেই রকম না। সে রাস্তায় নামেনি। সে লেখালেখির মাধ্যমে, ব্লগের মাধ্যমে—সে কলমযোদ্ধা—এটা অমিল আমাদের। এই কারণে যে তাকে হত্যা করা হবে বা হতে পারে আমার কল্পনায়ও আসেনি।’
তিনি বলেছিলেন, “ভেবেছিলাম, তার লেখালেখির কারণে মৌলবাদীরা বড়জোর তাকে ধরে দু-একটা চড়থাপ্পড় মারতে পারে, হুঁশিয়ার করে দিতে পারে, ‘খবরদার এসব আর লিখবে না, আজকে তোমাকে ছেড়ে দিলাম পরে আর ছাড়ব না’। কিন্তু তারা যে ডিটারমিন হয়ে আছে, একজন থিওরিটিক্যাল যিনি মুক্তমনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ, লেখালেখির মধ্যে, তাকে কেন হত্যা করতে হবে? সে তো কলমযোদ্ধা, সে তো হাতে তরবারি নিয়ে কোনো ফান্ডামেন্টালিস্টকে মারতে আসেনি। তবু তাকে কেন মারা হলো? ধর্মের নামে কেন তাকে মারা হলো? এতে ধর্মের কোন মহান উদ্দেশ্য সাধিত হলো? এরা তো ইসলামের কলঙ্ক।”
ওই বছরেই আরেকটি সাক্ষাৎকারে অজয় রায় বলেছিলেন, ‘আমি সব সময় আশাবাদী মানুষ। আমার সংগ্রাম চলবে। যত দিন মুক্তচিন্তার মানুষদের, ব্লগারদের হত্যার সুবিচার না পাব, আমার সংগ্রাম চলবে। সৃষ্টিশীল মানুষদের, উদার মানুষদের রক্ষা করতে হবে, না হলে অভিজিতের মতো মানুষকে আমরা হারিয়ে ফেলব, না হলে বাংলাদেশ হেরে যাবে। যাতে অভিজিতের মতো মানুষরা, নীলাদ্রির মতো মানুষরা, দীপনের মতো মানুষরা না হারিয়ে যায়—এরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, এ ধরনের মানুষরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।’
সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা


কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত
- চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।
রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।
এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।
ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।
বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।
স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।
উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি ‘রাডার থেকে হারিয়ে যায়’, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।
১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।
সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স