আমের নতুন রাজধানী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া নওগাঁয় দুই বছর বয়সী আমগাছে দেখা দিয়েছে আগাম মুকুল। জেলার বরেন্দ্রভূমি সাপাহার ও পোরশা উপজেলায় এই চিত্র দেখা গেছে। অবশ্য পাঁচ-ছয় বছর বয়সী গাছে এখনো সেভাবে মুকুল আসেনি। নতুন বাগানে আগাম মুকুল আসায় বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। প্রত্যাশিত উৎপাদন হলে এবার দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও আম রপ্তানি সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
বরেন্দ্র এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নতুন আমগাছগুলো মুকুলে ছেয়ে গেছে। কৃষি শ্রমিকরা গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। চাষিরা জানান, দুই বছর আগে যেসব বাগান তৈরি হয়েছে, গত বছর সেসব গাছের মুকুল ভেঙে দেওয়া হয়। এবার সেসব গাছের ফল নেওয়া হবে। সে কারণে এবার মুকুলের যত্ন নেওয়া হচ্ছে।
সাপাহার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মুজিবুর রহমান বললেন, বিভিন্ন বাগানের আমগাছে এবার আগাম মুকুল ফুটেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মুকুল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। বর্তমানে মুকুলের পরিচর্যায় উকুননাশক এভোমেট্রিন ও ছত্রাকনাশক মেনকোজেব বালাইনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চলতি মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে আমের ফলন প্রতি হেক্টরে ১৫ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে।
মুজিবুর রহমান জানান, গত বছর সাপাহার উপজেলায় আট হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের চাষ হয়। আমের বাজারদর ভালো থাকায় লাভবান হন চাষিরা। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর উপজেলার ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হচ্ছে। উদ্যোক্তারা নতুন নতুন আমবাগান তৈরি করছেন। এবার নতুন করে ৭৫০ হেক্টর জমিতে আমগাছ লাগিয়েছেন চাষিরা। এসব গাছের মধ্যে আম্রপালি, বারি-৪, হিমসাগরসহ বিভিন্ন জাত আছে।
একাধিক আমচাষির সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সব বাগানেই মুকুল দেখা যাবে। মুকুল যাতে ঝরে না পড়ে সে জন্য পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হচ্ছে। পাশাপাশি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী বালাইনাশক ব্যবহার করছেন তাঁরা।
মন্তব্য