বাজারে প্রচলিত ব্যাংক নোটগুলোর মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ নোটের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সাধারণের চোখে হয়তো তা ধরা পড়ে না, কিন্তু মো. রবিউল ইসলামের চোখ এড়ানো মুশকিল। কারণ তিনি ব্যাংক নোটের সংগ্রাহক। তাইতো তাঁর কাছে চলে আসে একই মূল্যমানের টাকার একই নম্বরযুক্ত দুটি নোট।
সংগ্রহ
রবিউলের দুনিয়া কয়েন আর নোটে
আজিজুল পারভেজ

রবিউল ইসলামের বাড়ি খুলনা শহরের গোবরচাকা এলাকায়। পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী। দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরার এমসিএমএল ও বিআইসিএলের হেড অব ডিভিশন (অ্যাকাউন্টস)।
স্কুলজীবন থেকেই সংগ্রহের নেশা রবিউলের।
কয়েনের প্রচলন শুরু আড়াই হাজার বছর আগে। ভারতবর্ষের সেই মগধ সাম্রাজ্যের (খ্রিস্টপূর্ব ৫৪৪-৩২১) মৌর্য যুগের কয়েন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় ও সাম্রাজ্যের দুর্লভ সব কয়েন রয়েছে রবিউলের সংগ্রহে। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কয়েন রয়েছে বাংলার সুলতানি আমলের। ঐতিহাসিকদের কাছে ওই সব মুদ্রার গুরুত্ব এই কারণে বেশি যে সুলতানি আমলের সাড়ে তিন শ বছরের ইতিহাস লিপিবদ্ধ হয়েছে সে সময়ের মুদ্রায় থাকা শাসকের নাম ও সালের ভিত্তিতে। মুসলিম শাসকদের সে সময়ের মুদ্রাগুলো মুদ্রিত হতো আরবি হরফে। তবে দুজন শাসক ছিলেন হিন্দু। তাঁদের সময়ের মুদ্রাগুলোর হরফ ছিল বাংলা। সে আমলের অনেক দুর্লভ মুদ্রার সঙ্গে ১৪১৭-১৮ খ্রিস্টাব্দের সেই দুর্লভ মুদ্রাও আছে রবিউলের সংগ্রহে। আরো আছে গুপ্ত যুগ, মোগল সাম্রাজ্য ও ব্রিটিশ আমলের দুর্লভ কয়েন।
বিষয়ভিত্তিক কয়েনের মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ-ভারতীয় মুদ্রা, বিভিন্ন আকারের রঙিন মুদ্রা, দ্বি-ধাতু মুদ্রা, ছিদ্রযুক্ত মুদ্রা, বিলুপ্ত দেশের মুদ্রা। আছে বিশ্বের ৩০টি দেশ থেকে প্রকাশিত প্রিন্সেস ডায়ানার ছবিযুক্ত মুদ্রা।
একইভাবে ব্যাংক নোটের প্রচলন শুরুর সেই ১৭৯২ সালের ফ্রান্সের নোট থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক ব্যাংক নোট আছে রবিউলের সংগ্রহে। যেমন—বিভিন্ন দেশের এক মূল্যমানের ৭৫০ প্রকার নোট আছে। পলিমার নোট আছে ৩০০ প্রকার। রয়েছে বাংলাদেশের আটটি মূল্যমানের নোটের সবগুলোর সলিড নম্বরের নোট। স্বাক্ষরভিন্নতা, নকশাভিন্নতা অনুযায়ী আছে সব নোট। ত্রুটিপূর্ণ নোটও আছে অনেক।
রবিউল ইসলামের এই সমৃদ্ধ সংগ্রহ নিয়ে এরই মধ্যে দশটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার জিপিও, জাতীয় চিত্রশালা ও দৃক গ্যালারিতে হয়েছে দুটি করে প্রদর্শনী। অন্য প্রদর্শনীগুলো হয়েছে যশোর সেনানিবাস, খুলনা সেনানিবাস ও খুলনা কলেজিয়েট স্কুলে।
রবিউল ইসলাম সর্বশেষ চলতি মাসে প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের ধাতব মুদ্রার ক্যাটালগ ‘কয়েনস অব বাংলাদেশ’। এতে রয়েছে বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত সব প্রচলিত ও স্মারক ধাতব মুদ্রার বিস্তারিত তথ্য। চার রঙে অফসেট ম্যাট কাগজে মুদ্রিত এই ক্যাটালগে বাংলাদেশের ২৮ প্রকার প্রচলিত মুদ্রা এবং ১৬ প্রকার স্মারক মুদ্রা ও সচিত্র তথ্য রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মুদ্রার প্রকাশ সাল, ধাতুর ধরন, এপিঠ-ওপিঠের বর্ণনা, ওজন, ব্যাস, পুরুত্ব, আকৃতি ও প্রান্ত সম্পর্কিত তথ্য। ৪৮ পৃষ্ঠার ক্যাটালগটির মূল্য রাখা হয়েছে ১২০ টাকা।
রবিউল ইসলাম বলেন, ক্যাটালগটি কয়েন সংগ্রাহকদের জন্য খুবই সহায়ক হবে। একেকটি কয়েন কোন কোন সালে প্রকাশ হয়েছে তা এতে দেওয়া আছে। তা দেখে তাঁরা নিজেদের সংগ্রহকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন।
রবিউল ইসলাম তাঁর সংগ্রহের ভাণ্ডার সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। সে লক্ষ্যে নিজের সমৃদ্ধ সংগ্রহ নিয়ে তিনি একটি ওয়েবসাইট (robiscollection.blogspost.com) খুলেছেন। সেখানে রয়েছে ১৫ হাজার ইমেজ। যে কেউ ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন সেসব।
সম্পর্কিত খবর

স্বস্তির জয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ
সাইদুজ্জামান, ডাম্বুলা থেকে

ক্রিকেট ম্যাচ, তার ওপর রবিবার। গতকাল তাই উদ্দাম পার্টির প্রস্তুতি ছিল রনগিরি ডাম্বুলা স্টেডিয়ামের উপড়ে পড়া গ্যালারির। ম্যাচ শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকে ডিজের মিউজিক, দর্শকদের ড্রাম পেটানো আর ট্রাম্পেটের চড়া সুরে কান পাতা দায়। সেই পার্টিই মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে যায় দারুণ ক্ষিপ্রতায় কুশল মেন্ডিসকে শামীম হোসেন রান আউট করতেই।
বিশ ওভারের ক্রিকেটে ছন্দ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুতলয়ের ক্রিকেটে ছন্দের সেই গাড়ির স্টিয়ারিং হাতে পেয়ে আর পেছনে তাকায়নি বাংলাদেশ দল।
অবশ্য ম্যাচজুড়েই শামীমের প্রতিপত্তি দেখা গেছে।
কিন্তু সে ধারণা ভুল প্রমাণ করেছেন লিটন ও শামীম। অধিনায়কের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়ে তাওহিদ ফেরেন, একই ওভারে তাঁর সঙ্গে ড্রেসিংরুমে যোগ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই ধাক্কায় অবশ্য কাবু হওয়ার অবস্থায় নেই শামীম। আগের ম্যাচে ৫ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকা এই বাঁহাতি শুরু থেকে চড়াও হন লঙ্কান বোলারদের ওপর। ওদিকে অধিনায়কও থিতু হয়ে গেছেন উইকেটে। তাঁরা জুটি বেঁধে ছোটান রানের গতি। পঞ্চম উইকেট জুটিতে লিটন ও শামীম মিলে তোলেন ৭৭ রান, তা-ও মাত্র ২১ বলে! ১৩ ম্যাচ পর ফিফটির দেখা পান লিটন, যা তাঁর ক্যারিয়ারের দ্বাদশ পঞ্চাশ পেরোনো ইনিংস। এক বাউন্ডারি আর পাঁচ ছক্কায় ৫০ বলে ৭৬ রান করে যখন আউট হন অধিনায়ক, ততক্ষণে লড়াইয়ের জন্য আশাব্যঞ্জক পূঁজি এক রকম হয়ে গেছে বাংলাদেশের। শেষ ওভারে স্ট্রাইক পেতে মরণপণ দৌড়েও ক্রিজে পৌঁছাতে পারেননি শামীম। তাতে ২৭ বলে তাঁর ৪৮ রানের ইনিংস পঞ্চাশ ছুঁতে না পারার আক্ষেপে শেষ হয়েছে। অবশ্য তাঁর মনে কোনো আক্ষেপ নেই, ‘দল জিতেছে। তাতে অবদান রাখতে পেরেছি। এতেই আমি খুশি।’ শামীম আরো খুশি ১৬ জুলাই কলম্বোয় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা নয়, জয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
ম্যাচ শুরুর আগের রনগিরি ডাম্বুলা স্টেডিয়ামের চালচিত্র না বললেই নয়। হাজার তিরিশেক দর্শকের ঠাঁই হয় এ মাঠে। তবে দুই দিন ধরে টিকিটের জন্য আহাজারি শোনা যাচ্ছিল, তাতে বোঝাই যাচ্ছিল যে পর্যাপ্ত আসন নেই। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় খেলা শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে গ্যালারি ভরে গেছে। বরাবরের মতো গ্যালারি লাগোয়া গাছেও চড়ে বসেন বিনা টিকিটের দর্শক। তাই বলে সিঁধ কেটে বিনা টিকিটের দর্শক ঢোকে ডাম্বুলায়, সেটি অজানা ছিল। গতকাল সেটিও দেখা হলো, বাংলাদেশ ইনিংসের ব্যাটিং পাওয়ার প্লে চলাকালে ভিআইপি স্ট্যান্ডের দিককার কাঁটাতারের বেড়ার নিচের মাটি সরিয়ে অন্তত শ খানেক টিকিটহীন দর্শক ঢুকে পড়লেন স্টেডিয়াম চত্বরে। বিনা বাধায় যোগ দিলেন গ্যালারির উৎসবে। নিজ দলের ব্যাটিং ভরাডুবিতে ক্ষণে ক্ষণে লাউড স্পিকার থেমেছিল বটে। তবে পুরোপুরি থামেনি। পুরস্কার বিতরণীর পরও কিছু দর্শককে দেখা গেছে হাসিমুখে সেলফি তোলায় ব্যস্ত। কয়েকজন তো বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বলেও গেলেন, ‘ওয়েল প্লেইড বাংলাদেশ!’

অবৈধ ব্যাটারির রিকশা জব্দে অভিযান শুরু

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবৈধ ব্যাটারির রিকশার দাপট বেড়েছে। সেগুলো জব্দে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গতকাল মালিবাগে অবৈধ ব্যাটারির রিকশা জব্দ করে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি : ফোকাস বাংলা
।
মানবতাবিরোধী অপরাধ
বেরোবির সাবেক ভিসিসহ ২৪ আসামির আত্মসমর্পণে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য মো. হাসিবুর রশীদসহ পলাতক ২৪ আসামিকে আত্মসমর্পণের জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারকে বাংলা-ইংরেজি দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিতে বলা হয়েছে। আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গতকাল রবিবার এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দুই বিচারক হলেন মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।
শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘এর আগে ১০ জুলাই এই মামলার ২৬ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
পরে ট্রাইব্যুনাল আগামী ২২ জুলাই পরবর্তী শুনানির তারিখ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেন। যে দুজন আসামি অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন তাঁরা হলেন রাফিউল হাসান রাসেল ও মো. আনোয়ার পারভেজ।
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় মোট ৩০ জন আসামি। এর মধ্যে চারজনকে এদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ১৬ জুলাই ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল-২। এই মামলার শুনানি করেন প্রসিকিউটর মো. সাইমুম রেজা তালুকদার। শুনানিতে তিনি বলেন, পলাতক আট আসামির গ্রেপ্তার বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় প্রয়োজন। তখন ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৬ জুলাই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। আদেশের সময় মামলার ১৬ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার আটজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

হত্যা মামলায় জামিন
আমি রাজনীতি বুঝি না : অপু বিশ্বাস
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই আন্দোলনের সময় রাজধানীর ভাটারা থানার এনামুল হক নামের এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আত্মসমর্পণ করে অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস জামিন পেয়েছেন। গতকাল রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। শুনানি চলাকালে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন অভিনয়শিল্পী। এটাই আমার পেশা।
এদিন অপু বিশ্বাস আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় তিনি মুখে কালো মাস্ক, মাথায় সাদা ওড়না ও বোরকা পরেছিলেন। তাঁর আইনজীবী আব্দুল মান্নান খান জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
এরপর অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন অভিনেত্রী। অভিনয় করার জন্য অনেক কিছু করতে হয়েছে। আমি রাজনীতি বুঝি না। রাজনীতি করিও না। করতেও চাই না।’ এ সময় আইনজীবীরা আহা আহা সাধু বলতে থাকেন। অনেক আইনজীবী উত্তেজিত হয়ে বলেন, অপু বিশ্বাস এমপি হতে চেয়েছিলেন। শেখ হাসিনার দোসর তিনি। এ সময় অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি অভিনেত্রী। আমাকে যে পোশাক দেওয়া হয়, সে পোশাক পরে অভিনয় করতে হয়। অভিনয় এমনই। ওই সময় আমি খারাপ অবস্থায় ছিলাম। পারিবারিক ঝামেলা চলছিল। আমার একটা বাচ্চা আছে।’ এ সময় অপু বিশ্বাসের চোখ ছলছল করতে দেখা যায়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে অপু বিশ্বাস গত ২ জুন হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান। পরে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মো. ওয়াহিদুজ্জামানের আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিননামা দাখিল করেন তিনি।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, জুলাই আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই ভাটারা থানার সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের ওপর গুলি চালানো হয়। এনামুল হকের পায়ে গুলি লাগে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার শ’ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি করেন তিনি। মামলায় অপু বিশ্বাস, আশ্না হাবিব ভাবনা, নুসরাত ফারিয়া, অভিনেতা জায়েদ খানসহ ১৭ জন তারকাকেও আসামি করা হয়। মামলায় এসব অভিনেতা-অভিনেত্রীকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে এই মামলায় গত ১৮ মে গ্রেপ্তার হন আরেক চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। পরদিন তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২০ মে জামিন পান তিনি।