মানুষের দান করা জমিতে একসময় গড়ে উঠেছিল আঁকাবাঁকা গ্রামীণ সড়ক। কারো ঘরের পাশ দিয়ে, কারো উঠান ঘেঁষে ওই সব সড়ক যুক্ত হয়েছে ইউনিয়নে; ইউনিয়নের সড়ক গিয়ে ঠেকেছে উপজেলা হয়ে জেলায়। তেমন কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই ব্যক্তি বা পাড়ার প্রয়োজন মেটাতেই ছিল ওই সব গ্রামীণ সড়ক। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সময় পেরিয়েছে প্রায় পাঁচ দশক।
১২ ফুটের নিচে না প্রয়োজনে চার লেন
- বদলে যাবে গ্রামীণ সড়ক
আরিফুর রহমান

বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাংক ঘোষিত মধ্যম আয়ের দেশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। জাতিসংঘ ঘোষিত স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ারও স্বপ্ন দেখছে।
পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে দেশে নতুন যেসব গ্রামীণ সড়ক হবে, সেগুলো চার লেন করার পাশাপাশি বিটুমিনাস কার্পেটিং, বেস ও সাববেসেও পরিবর্তন আনা হবে। এসব সড়ক করতে প্রয়োজনে সরাসরি জমি অধিগ্রহণও করতে পারবে এলজিইডি। আঁকাবাঁকা সড়ক পরিবর্তন করে সোজা করা হবে। বিদ্যমান যেসব সড়ক আছে এবং ভবিষ্যতে যেসব সড়ক নির্মিত হবে, সেসব ক্ষেত্রে নতুন নকশা বাস্তবায়িত হবে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
এলজিইডি থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা পর্যায়ে যেসব সড়ক রয়েছে, সেগুলোর দায়িত্ব সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ)। উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ের সড়কগুলোর দায়িত্ব এলজিইডির। সারা দেশে এখন তিন লাখ ৫৪ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ৩৭ হাজার কিলোমিটার উপজেলায়, ৪২ হাজার কিলোমিটার ইউনিয়ন এবং দুই লাখ ৭৫ হাজার কিলোমিটার গ্রামের সড়ক। পরিকল্পনা কমিশন থেকে জারি হওয়া গেজেট ‘সড়কের নকশা কাঠামো’ দিয়ে এত দিন চলে আসছে এসব সড়কের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। এলজিইডি কী করতে পারবে, আর কী করতে পারবে না, তা এ কাঠামোর মধ্যেই স্পষ্ট বলা আছে। সেই সড়কের নকশা কাঠামো হালনাগাদ করে নতুন প্রস্তাবনা তৈরি করেছে এলজিইডি। বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা শেষ করে প্রস্তাবনাটির এরই মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনও মিলেছে। সড়কের নকশা কাঠামো পরিকল্পনা কমিশন থেকে গেজেট হওয়ার অপেক্ষায়। গেজেট জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন কাঠামো নিয়ে কাজ শুরু করবে এলজিইডি। যদিও এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ে নতুন কাঠামোটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সেই আলোকে নতুন করে সড়কের নকশা তৈরি করতে বলা হয়েছে।
প্রস্তাবিত সড়কের নকশা কাঠামোটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গ্রাম পর্যায়ে এত দিন যেসব সড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল, সেগুলো সর্বনিম্ন ১০ ফুট চওড়ার। ইউনিয়ন পর্যায়েরগুলো ছিল ১২ ফুট চওড়ার। আর উপজেলা পর্যায়ে সড়কগুলো নির্মাণ করা হয়েছে ১৮ ফুট চওড়া মধ্যে। এর বেশি চওড়া সড়ক এলজিইডি করতে পারে না। প্রস্তাবিত কাঠামোতে ১০ ফুটের সড়ক রাখা হয়নি। অর্থাত্ নতুন নকশাটি পাস হওয়ার পর গ্রাম পর্যায়ে আর ১০ ফুটের সড়ক নির্মাণ করা হবে না। সর্বনিম্ন সড়ক হতে হবে ১২ ফুট চওড়ার। যানবাহনের সংখ্যা ও চাপের ওপর নির্ভর করে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে সড়ক হবে ১৮, ২০, ২২, ২৪ ও ৩৬ ফুট চওড়ার। অর্থাত্ চার লেন পর্যন্ত সড়কও করতে পারবে এলজিইডি, যেটা এখন শুধু সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর করতে পারে। নতুন নকশাটি পাস হলে এলজিইডিও চার লেনের সড়ক বাস্তবায়ন করতে পারবে। তবে তা শুধু প্রয়োজন ও চাহিদার ওপর ভিত্তি করে করা হবে। একই সঙ্গে জলবায়ু সহিষ্ণু সড়কও নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে একটি সড়কের বেস (কার্পেটিংয়ের নিচের অংশ) হয় ১৫০ থেকে ২২৫ মিলিমিটারের মধ্যে, সাববেস (বেসের নিচের অংশ) হয় ১৫০ থেকে ৩০০ মিলিমিটারের মধ্য। নতুন প্রস্তাবে বলা হয়েছে সড়কের বেস হবে ২০০ থেকে ২২৫ মিলিমিটার। সাববেস হবে ২০০ থেকে ২৭৫ মিলিমিটার।
গ্রামীণ সড়কের কাঠামো পুরোপুরি পরিবর্তনের প্রয়োজন কেন হলো এমন প্রশ্নের জবাবে এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মীর তানভীর হোসাইন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দেশে দ্রুত নগরায়ণ ঘটছে। গ্রাম ও ইউনিয়ন পর্যায়ে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছে। গ্রামে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়েছে। গাজীপুর, চট্টগ্রাম নারায়ণগঞ্জসহ অনেক ইউনিয়নে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। নতুন নতুন স্থলবন্দর হচ্ছে। কিন্তু আমাদের সড়ক তো সেই ১০ ফুটেই রয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘গ্রাম পর্যায়ে অসংখ্য ইটভাটা রয়েছে। সেখানে ভারী যানবাহন যাচ্ছে। এতে গ্রামীণ রাস্তা সেই ভার নিতে পারছে না। ফলে অল্প সময়ে রাস্তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এসব দিক বিবেচনা করে আমরা সড়কের নকশা কাঠামোটি হালনাগাদ করছি।’
এলজিইডি সূত্র বলছে, ২০১৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলজিইডির আওতাভুক্ত সড়কের আকার, রাস্তার ভার নেওয়ার ক্ষমতা বাস্তবতার নিরিখে পর্যালোচনা করে বিদ্যমান গাইডলাইন পুনর্গঠনের নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে পরের বছর সড়ক পুনর্গঠনের পাশাপাশি নকশা কাঠামো হালনাগাদ করার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সঙ্গে চুক্তি সই করে এলজিইডি। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে সড়কের নকশা কাঠামোটি তৈরি করে বুয়েট। সেটি পরে পাঠানো হয় যুক্তরাজ্যের ট্রান্সপোর্ট রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে। সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সব পক্ষের সঙ্গে আন্ত মন্ত্রণালয় সভা শেষ করে কাঠামোটি চূড়ান্ত করে এলজিইডি, যেটি এখন গেজেট জারির অপেক্ষায়।
সম্পর্কিত খবর

জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল বারকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকের মামলায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, আবুল বারকাতের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা থাকায় ধানমণ্ডির ৩ নম্বর সড়কের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আবুল বারকাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন। পাশাপাশি তিনি হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অবৈতনিক প্রধান উপদেষ্টা।
অ্যাননটেক্স গ্রুপের নামে ২৮৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল বারকাত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের মামলার অন্য আসামিরা হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান, সাবেক সহকারী পরিচালক ইসমত আরা বেগম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালাম আজাদ, সাবেক পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দিপু, আর এম দেবনাথ, মো. আবু নাসের, সঙ্গীতা আহমেদ, নিতাই চন্দ্র নাথ এবং অ্যাননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনূস বাদল।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আতিউর রহমান, আবুল বারকাত এবং তাঁর সহযোগীরা বিভিন্ন অনৈতিক উপায়ে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তবে ২০২২ সালে ঋণ অনিয়ম নিয়ে দুদকের তদন্তে পর্যাপ্ত প্রমাণ না পাওয়ায় তখন মামলার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা হয় আবুল বারকাতকে। ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি পাঁচ বছর এই পদে দায়িত্ব পালন করেন।

বাঁশ শিল্পের প্রদর্শনী


যানজট


চট্টগ্রামে নারীকে ১১ টুকরা করে হত্যা স্বামী পলাতক
- দেশজুড়ে অপঘাতে মৃত্যু ৮
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

চট্টগ্রামে এক নারীকে ১১ টুকরো করে স্বামী পালিয়ে গেছে। এছাড়া দেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের অপঘাতে ৮ ব্যক্তি মারা গেছেন। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন:
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটির এক বাসায় ফাতেমা বেগম (৩২) নামের এক নারীকে ১১ টুকরা করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী মো. সুমনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মোহাম্মদ মাহফুজ হাসান সিদ্দিকী কালের কণ্ঠকে বলেন, ১০ বছর আগে ফাতেমার সঙ্গে সুমনের বিয়ে হয়েছিল।
রাউজান : চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো. সেলিম উদ্দিনকে গুলি করে হত্যার পাঁচ দিনের মাথায় এবার তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবদলকর্মী দিদারুল আলম নুংকুর (৪০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার পশ্চিম বেতবুনিয়ার লুঙ্গিপাড়া এলাকার পাহাড়ি চরা থেকে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়। বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর প্রায় সাড়ে ১৫ ঘণ্টার পর তার এ মরদেহ উদ্ধার হয়। নুংকুর বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সমশের পাড়ায়। তিনি মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
যশোর : যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ঘোষনগর গ্রামে স্টিলের বাক্সের ভেতর থেকে সুচিত্রা দেবনাথ (৫৮) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে নিজ ঘরের কাপড়ের বাক্সে লুকিয়ে রাখা হয় বলে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী তপন দেবনাথকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ৯ জুলাই রাত ১১টার দিকে। নিহত সুচিত্রা দেবনাথ বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের ঘোষনগর গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় তপন দেবনাথকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা থেকে ঢেনা মুর্মু (৫৫) নামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক ব্যক্তির পানিতে ভাসমান প্রায় অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি নাচোল সদর ইউনিয়নের পীরপুর সাহানাপাড়া গ্রামের বুদ্ধাই মুর্মুর ছেলে। স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ঢেনা মুর্মু গত সোমবার (৭ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে একই ইউনিয়নের প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরের ঝিকরা গ্রামে তাঁর নাতনির বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরে বুধবার (৯জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝিকড়া গ্রামসংলগ্ন একটি বিলের কচুরিপানার মধ্যে ঢেনার ভাসমান মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় মাদকাসক্ত ছেলে মাহাবুর ইসলাম বাবু (২৮) মারধর ও ইট দিয়ে আঘাত করে মা হেনা বেগমকে আহত করে। স্ত্রীকে রক্ষা করতে গেলে বাবা শিশ মোহাম্মদকে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টার পর স্বজন ও প্রতিবেশীদের প্রহারে বাবু নিহত হন। নিহত বাবুর বাড়ি রানীহাটী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের রামচন্দ্রপুরহাট বগিপাড়া গ্রামে। অভিযোগ রয়েছে, বাবু মাদক সেবনের টাকার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে অত্যাচার করে আসছিল।
পীরগঞ্জ : রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় আখিরা নদী থেকে আক্তার প্রধান সুজন (৩৬) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আখিরা নদীতে ভাসমান অবস্থায় কাপড়বিহীন লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত আক্তার প্রধান সুজন উপজেলার থানাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহগী ইউনিয়নের হাটুলিয়া গ্রামের বসতঘর থেকে এক তরুণের গলা কাটা ও ক্ষতক্ষিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই সময় লাশটি ছিল খাটের ওপর মশারির নিচে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে রাতে বন্ধুদের নিয়ে ওই তরুণ মা-বাবাহীন ঘরে আড্ডায় মত্ত ছিল। নিহত মো. রাকিবুল ইসলাম (১৯) ওই গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাটুলিয়া গ্রাম থেকে জুবায়ের (১৯, রাকিব মিয়া (২১) ও কাউসার (১৮) নামে তিন তরম্নণকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।
কালিয়াকৈর : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শালবনের ভেতর থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বড় গোবিন্দপুর বিন্নার চালা ফুটবল খেলার মাঠের পাশে শাল বনের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ। নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। তার বয়স আনুমানিক (৪০)। তার পরনে জিন্সের প্যান্ট ও খয়েরি রঙের টি শার্ট ছিল।
টঙ্গী : ফ্লাইওভার থেকে টঙ্গীতে নামার সময় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত মাহফুজুর রহমান (২১) বরিশাল সরকারি হাতেম আলী কলেজে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী। বুধবার (৯ জুলাই) রাত ১২ টার পর ঢাকা-ময়মনসিংহগামী মহাসড়কের আব্দুল্লাহপুর ফ্লাইওভার থেকে টঙ্গীর সেনা কল্যাণ ভবনগামী সংযোগ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাহফুজুর রহমান বরিশাল সদর উপজেলার হায়াতসার গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ব্লু ফ্যাশনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।