<p>দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং ফেসবুকে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য লেখার অভিযোগে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এবং বিএমএর সহসভাপতি (খুলনা বিভাগ) ও খুলনা শাখার সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলমকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে কেন স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করা হবে না, তা আগামী সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।</p> <p>ডাঃ বাহারুল আলম একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি খুলনা শাখার সভাপতি এবং গণহত্যা বিষয়ক আর্কাইভ ‘উনিশ শ একাত্তর গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’-এর ট্রাস্টি সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি একাধিক সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।</p> <p>গত বুধবার রাতে আওয়ামী লীগ খুলনা জেলা শাখার এক সভায় তাঁকে সাময়িক বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে আওয়ামী লীগ খুলনা জেলা শাখার সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ সভাপতিত্ব করেন।</p> <p>এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাঃ বাহারুল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ফেসবুকের যে বক্তব্যের (স্ট্যাটাস) উদাহরণ দিয়ে আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাকে আগে এই বিষয়ে কোনো অভিযোগ করা বা জানতে চাওয়া হয়নি। সভায় বহিষ্কার বা আমার বিষয়ে কোনো আলোচ্যসূচি ছিল না। সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিকভাবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলের আগামী  সম্মেলনে আমি যাতে কোনো প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে না পারি, এ কারণে আমার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’</p> <p>ডাঃ বাহার দাবি করেন, ফেসবুকে তিনি দল, সরকার বা রাষ্ট্রবিরোধী কিছু লেখেননি। দলের সভায় বহিষ্কারসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বা তাঁকে কারণ দর্শানোসংক্রান্ত কোনো নোটিশ তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাননি বলে জানান।</p> <p>ওই সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, দলের মধ্যে প্রয়াত সুজা ভাইয়ের অনুসারী ডাঃ বাহার যাতে দলীয় ফোরামের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় না আসতে পারেন, সে কারণে পরিকল্পিতভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ খুলনা জেলা শাখার সম্মেলনে ডাঃ বাহার সভাপতি পদের পদপ্রার্থী বলে গুঞ্জন রয়েছে।</p> <p>আওয়ামী লীগের ওই সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের খুলনা জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী, সহসভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য মোল্যা জালাল উদ্দিন, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী বাদশা মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি, সহসভাপতি ও পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী, সহসভাপতি বি এম এ সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, ত্রাণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিমাই চন্দ্র রায়, দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরিদ আহম্মেদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক মিজানুর রহমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হালিমা ইসলাম, উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ আলম, সদস্য অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র নাথ মণ্ডল, অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান বাবুল প্রমুখ।</p> <p> </p>