<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কোরআন নাজিলের সূচনালগ্ন থেকে দীর্ঘকাল পর্যন্ত হস্তলিপির সাহায্যে এর সংকলনের কাজ অব্যাহতভাবে চলতে থাকে। একদল নিবেদিতপ্রাণ মুসলমান এ কাজটিকে নিজেদের জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেন। তাঁরা কোরআনের অসংখ্য কপি তৈরি করে মুসলিম বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রেরণ করতে থাকেন। ফলে মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কার হওয়ার বহু আগেই বিশ্বের আনাচকানাচে কোরআনের লাখ লাখ কপি পৌঁছে যায়। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কার হওয়ার পর ১৬৯৪ খ্রিস্টাব্দে বিখ্যাত প্রাচ্যবিদ </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">হিংক্যাল ম্যান</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> হামবুর্গ শহরে সর্বপ্রথম কোরআন মুদ্রণের কাজ সম্পন্ন করেন। অবশ্য কোনো কোনো ঐতিহাসিক লিখেছেন, এরও বহু আগে জনৈক প্রাচ্যবিদের বিশেষ উদ্যোগে আল-বান্দকিয়া নামক স্থানে কোরআন মুদ্রিত হয়েছিল। তবে তখন কে এই মুদ্রণকাজ সম্পাদন করেছিলেন, তা নিশ্চিত জানা যায়নি। এরপর মারাকি নামক আরেক প্রাচ্যবিদ ১৬৯৮ খ্রিস্টাব্দে পাডু শহরে কোরআন মুদ্রণ করেন।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কারো কারো মতে, বিশ্বের প্রথম মুদ্রিত কোরআন শরিফ ১৫৩৭ সালে ইতালির ভেনিসে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এসব মুদ্রণ খ্রিস্টানদের তত্ত্বাবধানে হওয়ায় তাদের মুদ্রিত এসব কপি মুসলিম বিশ্বে সমাদৃত হয়নি।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মুসলমানদের মধ্যে সর্বপ্রথম মাওলায়ে ওসমান (রহ.) কোরআন মুদ্রণের গৌরব অর্জন করেন। তিনি ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ার সেন্টপিটার্স শহরে ইসলামী ছাপাখানায় তা<span style="letter-spacing:.1pt"> সম্পন্ন করেন। তাঁর মুদ্রিত কপি মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক সমাদৃত হয়। ওপরন্তু প্রায় একই সময়ে কাজান শহরেও মুসলমানদের ছাপাখানায় কোরআন মুদ্রিত হয়েছিল বলে জানা যায়। ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে ইরানের তেহরান ও তিবরিজ শহরে আঞ্চলিক মুলমানদের উদ্যোগে কোরআন মুদ্রিত হয়। এ দিকে ১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দে লিপজিগ শহরে প্রাচ্যবিদ মিস্টার ফ্লুজিল কোরআন মুদ্রণ করেন। তাঁর মুদ্রিত কপি ইউরোপে ব্যাপক সমাদৃত হলেও মুসলিম বিশ্বে কোনো গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। এর কিছুকাল পর পাক-ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে অল্প সময়ের ব্যবধানে পর পর কয়েকবার কোরআন মুদ্রিত হয়। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে কোরআন মুদ্রিত হয় ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে। এরপর মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নিজের তত্ত্বাবধানে</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:.1pt"> নতুনরূপে কোরআন মুদ্রণ করেন, যা পুরো বিশ্বে ব্যাপক সমাদৃত হয়। তার পর থেকে পৃথিবীর সর্বত্র কোরআন মুদ্রণের কাজ অব্যাহতভাবে চলতে থাকে। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:.1pt">বর্তমানে বিশ্বে কোরআন শরিফের সবচেয়ে বড় ছাপাখানা হলো </span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:.1pt">‘</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:.1pt">বাদশাহ ফাহাদ কোরআন মুদ্রণ প্রকল্প</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:.1pt">’</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:.1pt">। ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন সৌদি বাদশাহ খাদিমুল হারামাইনিশ শরিফাইন ফাহাদ ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.) তা প্রতিষ্ঠা করেন। এটি দৈনিক ৫০ হাজার কপি কোরআন ছাপানোর ক্ষমতা রাখে। এ প্রকল্প থেকে শুধু মূল কোরআন শরিফই নয়, বরং বিভিন্ন ভাষায় কোরআনের অনুবাদ ও তাফসির ছেপে সংশ্লিষ্ট ভাষাভাষীদের অঞ্চলে বিতরণ করা হয়।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>