<p>আয়াতের অর্থ : ‘কাবাঘরের কাছে শুধু শিস ও করতালি দেওয়াই তাদের নামাজ, সুতরাং কুফরির জন্য তোমরা শাস্তি ভোগ কোরো। আল্লাহর পথ থেকে লোককে নিবৃত্ত করার জন্য অবিশ্বাসীরা তাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে, তারা ধন-সম্পদ ব্যয় করতেই থাকবে; অতঃপর তা তাদের মনস্তাপের কারণ হবে।...যারা কুফরি করে তাদেরকে বোলো, যদি তারা বিরত হয়, তবে যা অতীতে হয়েছে তা আল্লাহ ক্ষমা করবেন, তবে তারা যদি আবার অন্যায় করে, তবে পূর্ববর্তীদের দৃষ্টান্ত তো আছে।  (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৩৫-৩৮)<br /> আয়াতগুলোতে দ্বিনবিরোধী কাজের পরিণতি তুলে ধরা হয়েছে।</p> <p><strong>শিক্ষা ও বিধান</strong></p> <p>১. মসজিদে শিস দেওয়া ও হাততালি দেওয়া গর্হিত কাজ। বিশেষত যদি তা কোনো ইবাদতকারীর মনোযোগ নষ্টের উদ্দেশ্য হয়, তবে নিষিদ্ধ ও হারাম।<br /> ২. দ্বিনবিরোধী কাজে অর্থায়ন করা হারাম। এ জন্য ব্যক্তিকে দুনিয়া ও আখিরাতে লজ্জিত হতে হবে।<br /> ৩. পরকালে আল্লাহ পাপীদের পরিচয় প্রকাশ করে দেবেন এবং পাপের মাত্রা অনুসারে তাদের স্তরবিন্যাস করবেন। (জাদুল মাসির : ৩/৩৫৪)<br /> ৪. কোনো অমুসলিম মুসলমান হলে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা জায়েজ। যদিও অতীতে সে কুফর ও শিরকের মতো ভয়াবহ পাপ করে থাকে।<br /> ৫. পরকালে প্রতিটি পাপ মানুষের আক্ষেপের কারণ হবে। তবে তা সংশোধনের কোনো সুযোগ থাকবে না। (তাফসিরে আবু সাউদ : ৪/২০)</p>