<p align="left" class="2col" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.25pt">আগামী বাজেটে সহজ ও ব্যবসাবান্ধব আয়কর ব্যবস্থা, আয়কর ও ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধি, করব্যবস্থার সম্পূর্ণ অটোমেশন, স্থানীয় শিল্পায়ন উৎসাহিতকরণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণের ওপর জোর দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। গতকাল বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় আগামী অর্থবছরের জন্য এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের কাছে বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের জন্য এনবিআরের কাছে আয়কর, মূসক ও শুল্ক সংক্রান্ত মোট ৪০টি প্রস্তাব পেশ করেছে ঢাকা চেম্বার। ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী দেশে টিনধারী রয়েছেন প্রায় এক কোটি, যেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ৩২ লাখ করদাতা রাজস্ব প্রদান করেছেন। এ সময় প্রত্যক্ষ কর বৃদ্ধির লক্ষ্যে করজাল বাড়ানোর ওপর জোরারোপ করেন। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.25pt">ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, আয়কর অধ্যাদেশের ৭০ ধারা মোতাবেক ব্যাবসায়িক ক্ষতি শুধু ব্যবসা হতে আয়ের সঙ্গে সমন্বয় করা যাবে, এ প্রসঙ্গে ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশের ৩৭ ধারা পুনর্বহালের সুপারিশ করেন। তিনি বলেন, এতে করে ব্যবসায়ীদের ওপর করের বোঝা কিছুটা হলেও লাঘব হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রভিডেন্ট তহবিল, গ্র্যাচুইটি তহবিল, সুপার এনুয়েশন তহবিল এবং পেনশন তহবিল হতে উদ্ভূত আয়ের ওপর সরকারি কর্মচারীদের অনুরূপ করমুক্ত ঘোষণা করার প্রস্তাব করেন আশরাফ আহমেদ। এ ছাড়া বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধের ক্ষেত্রে আয়কর আইন অনুযায়ী উৎস কর কর্তনযোগ্য হওয়ায় এ ধরনের ঋণের ব্যয় বৃদ্ধি পাবে এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ ও ঋণপ্রবাহ হ্রাস পাবে। এমতাবস্থায় তিনি বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধের ক্ষেত্রে উৎস কর বাতিলের প্রস্তাব করেন। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="1col" style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.25pt">জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ, স্থানীয় শিল্পায়ন সম্প্রসারণ ও বাজার সংরক্ষণ এবং টেকসই পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে এনবিআর রাজস্ব নীতিমালা প্রণয়ন করে থাকে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হলে এনবিআরকে তা জানানোর জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যান আহবান জানান। এসবের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনের মাধ্যমে ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে বরাবরের মতো এনবিআর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।</span></span></span></p>