আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে এমন ‘সম্ভাবনা’ ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এ জন্যই পবিত্র রমজান মাসকে নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছে দলটি। ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে ব্যাপক গণসংযোগ করছেন নেতাকর্মীরা। এতে ভোটারদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
ইফতার রাজনীতি
রমজানকে ভোটারের সান্নিধ্যের সুযোগ মনে করছে বিএনপি
হাসান শিপলু

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বর্ধিত সভায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে বিএনপি। নানা ইতিবাচক সাংগঠনিক কর্মসূচি পালন করে চলতি রমজান মাসে সেই নির্দেশনা কাজে লাগাতে চান নেতাকর্মীরা। দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বলেন, রমজানে মাঠের কর্মসূচি না থাকায় ইফতার মাহফিলকে কার্যত দলীয় কর্মসূচি হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্র জানায়, রমজানকে কেন্দ্র করে সাংগঠনিক পর্যায়ে যে পাঁচ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তাতে সাড়া দিয়ে সারা দেশে বিপুল সমাগম ঘটিয়ে তিন হাজারের বেশি ইফতার মাহফিল করা হবে। দলের নেতারা মনে করেন, ব্যাপকভিত্তিক ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন হবে। একই সঙ্গে বিএনপির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং নির্বাচনের দাবিতে জনমত তৈরি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে ইফতার মাহফিল।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী কালের কণ্ঠকে বলেন, আওয়ামী লীগের নির্যাতন, হামলা-মামলা ও গুম-খুনের কারণে বিগত ১৭ বছর নেতাকর্মীরা ইফতার মাহফিল ঠিকভাবে করতে পারেননি।
সম্প্রতি বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটকে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো পাঁচ দফা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রমজান মাসে দলের পক্ষ থেকে তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বাহুল্য পরিত্যাগ করে অনাড়ম্বরপূর্ণভাবে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরসহ (উত্তর ও দক্ষিণ) সারা দেশে ওয়ার্ড পর্যায়ে মসজিদ কিংবা বাজারসংলগ্ন খোলা জায়গায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
আগামী ২০ রমজানের মধ্যে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হবে জানিয়ে নির্দেশনায় বলা হয়, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ইফতার মাহফিল করতে হবে। বিএনপি নেতারা বলেন, মূলত এবার ইফতার মাহফিলের চেয়ে অভাবী মানুষের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
বিএনপির বর্ধিত সভায় তারেক রহমান জনগণের সমর্থন আদায়ে কর্মপন্থা তৈরি করতে তৃণমূলের নেতাদের প্রতি নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, ভোটারদের আস্থা অর্জনের জন্য তাদের কাছে যেতে হবে, তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে হবে।
তারেক রহমানের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে রমজানে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে ইফতার ও দোয়া মাহফিল করার নির্দেশ দেয় বিএনপি। দলের নেতারা মনে করেন, এর মাধ্যমে নির্বাচনের প্রাক-প্রস্তুতি সারতে পারবেন নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্ধিত সভায় দলের সাবেক সংসদ সদস্য, ২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রার্থী এবং ওই নির্বাচনের বিকল্প প্রার্থী হিসেবে যিনি প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন তাঁকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এই বিষয়টি উল্লেখ করে দলের একজন নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, সম্ভাব্য সব প্রার্থীকে নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে জনগণের আস্থা অর্জনে কাজ করতে বলা হয়েছে। সব প্রার্থী নির্বাচনের প্রাক-প্রস্তুতি হিসেবে রমজান মাসে জনগণের কাছে গেলে ভোটারদের কাছে বিএনপির এক ধরনের নিবিড় যোগাযোগ তৈরি হবে।
বিএনপির সহপল্লী উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, নোয়াখালী-৫ আসনের কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার অধীন দুই পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নে মোট ২১টি ইফতার মাহফিল হবে। সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে এসব ইফতার মাহফিল করার কারণে নেতাকর্মীদের সঙ্গে খেটে খাওয়া মানুষের যোগাযোগ তৈরি হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবীন বলেন, দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য ইফতার আয়োজন করছেন তাঁরা। মহানগরের প্রতিটি ইউনিটের বাজার, পাড়া-মহল্লায় ইফতারি বিতরণ, ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, গত ১৭ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামে দলের গুম-খুনের শিকার হওয়া এক হাজার ১৫০টি পরিবারের পাশে দাঁড়াবে বিএনপি। এর সঙ্গে এবার যুক্ত হবে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে দল, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নিহত ৫০০ নেতাকর্মীর পরিবার।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সংগঠনের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন বলেন, সারা দেশে প্রায় এক হাজার ৭০০ অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ উপহারসামগ্রী পাঠাবে বিএনপি। এরই মধ্যে এর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই এসব অসহায় পরিবারে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহারসামগ্রী পৌঁছানোর কার্যক্রম শুরু করা হবে।
সম্পর্কিত খবর

আজ রাজপথে নামছে বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ‘অপপ্রচার ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণভাবে আজ থেকে রাজপথে থাকবে বিএনপি। বিএনপি মনে করছে, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে জামায়াতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজপথ দখল করার চেষ্টা করছে বলে মনে করছে বিএনপি। এ জন্য রাজপথে বিএনপিও শক্তি ও জনসমর্থন দেখাবে।
এখন পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দিচ্ছে না দলটি।
মাঠে নামছে ছাত্রদল : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, গোপন তৎপরতায় দীর্ঘদিন ধরে অভ্যস্ত গুপ্ত সংগঠন কর্তৃক মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আজ রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে। গুপ্ত সংগঠন বলতে ইসলামী ছাত্রশিবির ও তাদের সহযোগী সংগঠনকে বোঝানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
ছাত্রদলের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শাহবাগ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সারা দেশের সব জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
কর্মসূচির বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘গুপ্ত সংগঠন হিসেবে সেসব সংগঠনকেই বোঝানো হয়েছে, যারা প্রকাশ্যে নিজেদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বদলে গোপনে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। গত ৫ আগস্টের পর একটি মুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও তাদের এহেন গুপ্ত কার্যক্রম এ দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে অসহনশীল করে তুলছে এবং রাজনৈতিক বিষয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে তুলছে। এ রকম কুচক্রী কার্যক্রমের বিরুদ্ধেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যেন দেশবাসীকে এসব বিভ্রান্তিকর বিষয়ে সচেতন করে তোলা যায়।’
গুপ্ত সংগঠন বলতে কাদের বোঝানো হচ্ছে জানতে চাইলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘ছত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর যারা ক্যাম্পাসগুলোতে মব সৃষ্টি করে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ নামে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করছে, তারাই গুপ্ত সংগঠন। ছাত্রশিবির এবং গুপ্তভাবে সংগঠন পরিচালনা করতে ছাত্রশিবিরকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে, আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় তারা।’

সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির মেয়াদ আরো দুই মাস বাড়ল
বিশেষ প্রতিনিধি

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরো দুই মাস (৬০ দিন) বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল রবিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে গত ১৩ মে থেকে তাঁদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতার মেয়াদ দুই মাস বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ গতকাল শেষ হয় ।
মেয়াদ বাড়ানোর আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের (কোস্ট গার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তারাসহ) ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’-এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। এর মেয়াদ হবে ১৪ মার্চ থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত। সারা দেশে তাঁরা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারি কার্যবিধি-১৮৯৮’-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন।
প্রথমে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের (সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তা) এই ক্ষমতা দেওয়া হয়। অর্থাৎ শুধু সেনাবাহিনী নয়, বিমান ও নৌবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদেরও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। তখন ৬০ দিনের জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।

শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ বিএনপির
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক পুলিশপ্রধান (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে গুমের অভিযোগ দিয়েছে বিএনপি।
গতকাল রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে এই অভিযোগ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য এবং তথ্য সেলের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন খান।
অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গুমের ঘটনায় ১১ জন ভুক্তভোগীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে লিখিত অভিযোগে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় এসব ভুক্তভোগীকে অপহরণের পর আয়নাঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। গত বছর ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পলায়নের পর মোহাম্মদ আলীকে হাত ও চোখ বেঁধে পূর্বাচলের শেষ প্রান্তে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফেলে আসা হয়। পাঁচ বছর তিন মাস ১৩ দিন পর তিনি মুক্তি পান।
তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১১ জন ভুক্তভোগীর নাম উল্লেখ করে আবেদনটি করা হয় বলে জানান সালাহউদ্দিন খান।
সালাহউদ্দিন খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা শেখ হাসিনাসহ ১৬ জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩০ থেকে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে ন্যায়বিচারের আশায় আবেদন করেছেন। ভুক্তভোগীরা বলেছেন, শুধু বিএনপি করার অপরাধে বিগত সরকারের নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাঁদের।

সোহাগের পরিবারের পাশে তারেক রহমান
বরগুনা প্রতিনিধি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে পুরান ঢাকায় নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মনি। গতকাল রবিবার বিকেলে তিনি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের সোহাগের গ্রামের বাড়িতে যান। তিনি স্থানীয় কাকচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তিনি নিহত সোহাগের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।