ঢাকা, সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫
৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৮ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫
৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৮ মহররম ১৪৪৭
প্রজ্ঞাপন জারি

সব গ্রেডে মেধায় ৯৩% চাকরি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সব গ্রেডে মেধায় ৯৩% চাকরি

সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা আধাস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্বশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরির সব গ্রেডে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে ৯৩ শতাংশ। বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ হবে কোটার ভিত্তিতে। গতকাল মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে—‘সরকার এই মর্মে আদেশ জারি করিতেছে যে সমতার নীতি ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর প্রজাতন্ত্রের কর্মে প্রতিনিধিত্ব লাভ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, অর্থাৎ সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা আধাস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্বশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকুরিতে বা কর্মে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সকল গ্রেডে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে ৯৩ শতাংশ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও  বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট কোটার শূন্যপদসমূহ সাধারণ মেধাতালিকা হতে পূরণ করা হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-১ শাখা এর বিগত ৪ অক্টোবর ২০১৮ তারিখের পরিপত্রসহ পূর্বে জারীকৃত এসংক্রান্ত সকল পরিপত্র/প্রজ্ঞাপন/আদেশ/নির্দেশ/অনুশাসন রহিত করা হইল। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

গতকাল বিকেলে রাজধানীর গুলশানে আইনমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে কোটাসংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল ইসলাম চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

এ সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আপিল বিভাগের দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলন বদলানোর ক্ষমতা আমাদের নাই।

এর বাইরে যাওয়ার সরকারের কোনো অভিপ্রায়ও নাই। তাই আদালত যেভাবে রায় দিয়েছেন আমরা সেভাবেই প্রজ্ঞাপন জারি করেছি। আপিল বিভাগ রায়ে বলেছেন, নির্বাহী বিভাগ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এর পরও রায় অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি একজন আইনজীবী হিসেবে মনে করি, আদালত যে রায় দিয়েছেন, সেটায় পরিবর্তন আনা উচিত নয়। এ জন্য আমরা আদালতের রায়ে হাত দিইনি।
এই মুহূর্তে আদালতের রায়ে হাত দিলে আইনের শাসনের প্রতি মারাত্মক ভুল হবে। তাই এটা আমরা করিনি। তবে পরবর্তী সময়ে সংশোধনের সুযোগ আছে। যদি প্রয়োজন মনে করা হয়, তাহলে পরবর্তী সময়ে সংশোধন হতে পারে।

কোটাসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন কবে কার্যকর হবেএমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপনে স্পষ্ট বলা আছে, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। জনপ্রশাসনমন্ত্রী বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। কারণ আদালতও এ আদেশ দ্রুত বাস্তবায়নের কথা বলেছেন। সর্বোচ্চ আদালত বিচক্ষণ রায় দিয়েছেন। কোটাসংক্রান্ত আইন পাসের বিষয়ে তিনি বলেন, কোনো দিন কোটাসংক্রান্ত আইন ছিল না। এটা রাষ্ট্রের পলিসির বিষয়। তাই পরিপত্র এবং প্রজ্ঞাপন দিয়েই বলা হতো।

নারী কোটার বিষয়ে তিনি বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের মধ্যে নারীরাই বলেছেন, তাঁরা (নারীরা) অত্যন্ত ক্ষমতাবান হয়েছেন। আদালত যদি আন্দোলনকারীদের দাবি বিবেচনা করে থাকেন, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। তিনি বলেন, আগে যে সহিংসতা হয়েছে, সেটা তদন্তের জন্য এক সদস্যবিশিষ্ট একটি বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি কাজ করছেন। পরিস্থিতি একটু শান্ত হলে তিনি স্থানগুলো ঘুরে দেখবেন। এই যে সহিংসতা হয়েছে, এতে যাঁরা সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসার ব্যাপারে সরকার দেখভাল করবে। মামলার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কথা আছেএ জন্য মামলার তথ্যাদি যদি তাঁরা (শিক্ষার্থীরা) আমাদের দেন, তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মামলাগুলো অবশ্যই আমরা দেখব। শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এবং সব শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে সরকার। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা কোটাবিরোধী আন্দোলন করছিলেন। সরকার কোটা সংস্কার করেছে। এখন তাঁদের নিজ নিজ স্থানে ফিরে যেতে আহ্বান করব। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে আমরা সচেষ্ট। এ জন্য আশা করতে পারেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে যাবে।

তবে প্রজ্ঞাপন জারির পর কোটাবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের একাংশ তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না করেই প্রজ্ঞাপন জারির সমালোচনা করেছে। এ ছাড়া তারা কয়েকটি দাবিও তুলে ধরেছে।

 

শিক্ষার্থীদের নিহতের সংখ্যা অ্যাসেসমেন্ট করছি : শিক্ষামন্ত্রী

এই আন্দোলনে এখন পর্যন্ত কতজন মারা গেছে এবং যারা মারা গেছে তাদের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কতএমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীর সংখ্যাটা নিরূপণ (নিহতের সংখ্যা) করা যাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার পর। এর আগেই আমরা একটা অ্যাসেসমেন্ট করছি। আমরা এখন দেখছি যে কিছুটা আছে তথ্য, কিছুটা আছে অপতথ্য, কিছুটা আছে গুজব। এই যে তথ্যে বিভ্রাট, সেটাকে ব্যবহার করেই জনমনে সার্বক্ষণিক এক ধরনের আবেগ-উত্তেজনা বা সেটাকে ব্যবহার করে নাশকতামূলক কাজগুলোর ক্ষেত্রে জাস্টিফিকেশন করা হয়েছিল। সুতরাং এই পরিস্থিতি বর্তমানে পরিবর্তন হওয়ার পরই আমাদের পক্ষে সঠিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হবেআসলে কারা কারা শিক্ষার্থী ছিলেন এবং শিক্ষার্থী কোন কোন প্রতিষ্ঠানের ছিলেন। এই মুহূর্তে নিরূপণ করা খুবই কঠিন।

হল খুলে দিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছেএ ব্যপারে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ রকম কোনো আলটিমেটাম আমরা পাইনি।

 

বিএনপি-জামায়াত-শিবির এই আন্দোলনে পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা করেছে

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, যেহেতু শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সহিংসতা ঢোকানোর পরিকল্পনা তারা (বিএনপি-জামায়াত-শিবির) আগে থেকেই করেছে, কাজেই তাদের প্রস্তুতি ছিলতারা ডাটা সেন্টার জ্বালিয়ে দেবে, দেশকে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। ইন্টারনেটের অনুপস্থিতিতে আমরাও (সরকার) তো বিপদে পড়েছি। আমরা কিন্তু গ্লোবালি যোগাযোগ করতে পারিনি। আমরা যখন পারিনি, তখন তাদের যে সিন্ডিকেট এবং মিস ইনফরমেশন (ভুল তথ্য)আপনারা চেনেন তারা কারা, তারা কিন্তু বিদেশ থেকে মিস ইনফরমেশনটা ছড়িয়েছে। যেহেতু তারা জানত তাদের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে ইন্টারনেটবিচ্ছিন্ন করবে, তারা কিন্তু ব্যাক-আপ রেখেছিল। তারা কিন্তু এগুলো পাঠিয়েছে। এটারই প্রতিফলন দেখছেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়া ভুল তথ্যগুলো এই কারণে দিচ্ছে। আমি একটু আগে দেখলাম ওয়ান সাইডেড (একপক্ষীয়)  একটি ভুল তথ্য তারা দিচ্ছে।

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাত ও নাশকতার ক্ষেত্রে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কোনো ব্যর্থতা ছিল কি নাজানতে চাইলে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার যা বলেছিল, তাই কিন্তু হলো। সরকার বলেছিল একটু ধৈর্য ধরুন, আদালতে আছে বিচারাধীন বিষয়, এটা সমাধান হয়ে যাবে। আপনারা আশাহত হবেন না। প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেছেন। তা তো হলো। একটু ধৈর্য ধরলে, তাদের যে অধৈর্য বা তাদের যে রাস্তায় ক্রেজিনেসের সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসীরা ঢুকে যে কাজটি করল, এটা আসলে আমরা কেউ আশা করিনি।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ভেতরে জামায়াত-শিবির ঢুকেছে। ঢুকে তারা আক্রমণ শুরু করেছে। সরকার এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল আক্রান্ত। বিটিভি আক্রান্ত ছিল, সেতু ভবন আক্রান্ত ছিল, ডাটা সেন্টার আক্রান্ত ছিল, টোল প্লাজা আক্রান্ত ছিল। যখন আমি বিটিভি থেকে ফোন পাচ্ছি, তাঁরা কাঁদছেন, তাঁদের জীবন বিপন্ন। স্যার বাঁচান। পুলিশ পাঠাতে হয়েছে। সেই পুলিশকে আক্রমণ করেছে। আক্রান্ত যখন আপনি হবেন, তখন আত্মরক্ষার্থে ফাইটব্যাক করতে হবে। যখন আমরা ফাইটব্যাক করেছি, তখন আক্রমণকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ তৈরি হয়েছে। সে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কাজেই আমরা বলতে চাই, যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তার জন্য আক্রমণকারীরা দায়ী। বিচার করে প্রত্যেককে সে যে-ই হোক, সাজার আওতায় আনা হবে। এটি আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আজ রাজপথে নামছে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আজ রাজপথে নামছে বিএনপি

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যাকাণ্ডের অপপ্রচার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণভাবে আজ থেকে রাজপথে থাকবে বিএনপি। বিএনপি মনে করছে, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে জামায়াতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজপথ দখল করার চেষ্টা করছে বলে মনে করছে বিএনপি। এ জন্য রাজপথে বিএনপিও শক্তি ও জনসমর্থন দেখাবে।

এখন পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দিচ্ছে না দলটি।

এমনকি এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে জন্য দলে শুদ্ধি অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতা। দলের নেতারা বলছেন, হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত দুজনকে চিহ্নিত করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। কিন্তু বিরোধী পক্ষ একতরফাভাবে বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করছে।
এর জবাব দিতে রাজপথে শক্তি দেখাবে দলটি। এরই অংশ হিসেবে আজ সোমবার ছাত্রদল ও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং অন্য অঙ্গসংগঠন পৃথক শোডাউন করবে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী কালের কণ্ঠকে বলেন, বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে। জনগণ বিএনপির সঙ্গে আছে।
জনগণকে নিয়ে দেশবিরোধীদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা হবে।

মাঠে নামছে ছাত্রদল : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, গোপন তৎপরতায় দীর্ঘদিন ধরে অভ্যস্ত গুপ্ত সংগঠন কর্তৃক মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আজ রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে। গুপ্ত সংগঠন বলতে ইসলামী ছাত্রশিবির ও তাদের সহযোগী সংগঠনকে বোঝানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।

ছাত্রদলের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শাহবাগ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সারা দেশের সব জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

কর্মসূচির বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, গুপ্ত সংগঠন হিসেবে সেসব সংগঠনকেই বোঝানো হয়েছে, যারা প্রকাশ্যে নিজেদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বদলে গোপনে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। গত ৫ আগস্টের পর একটি মুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও তাদের এহেন গুপ্ত কার্যক্রম এ দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে অসহনশীল করে তুলছে এবং রাজনৈতিক বিষয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে তুলছে। এ রকম কুচক্রী কার্যক্রমের বিরুদ্ধেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যেন দেশবাসীকে এসব বিভ্রান্তিকর বিষয়ে সচেতন করে তোলা যায়।

গুপ্ত সংগঠন বলতে কাদের বোঝানো হচ্ছে জানতে চাইলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ছত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর যারা ক্যাম্পাসগুলোতে মব সৃষ্টি করে সাধারণ শিক্ষার্থী নামে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করছে, তারাই গুপ্ত সংগঠন। ছাত্রশিবির এবং গুপ্তভাবে সংগঠন পরিচালনা করতে ছাত্রশিবিরকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে, আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় তারা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির মেয়াদ আরো দুই মাস বাড়ল

বিশেষ প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি
শেয়ার
সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির মেয়াদ আরো দুই মাস বাড়ল

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরো দুই মাস (৬০ দিন) বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল রবিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে গত ১৩ মে থেকে তাঁদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতার মেয়াদ দুই মাস বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ গতকাল শেষ হয় ।

মেয়াদ বাড়ানোর আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের (কোস্ট গার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তারাসহ) ‌‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮-এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। এর মেয়াদ হবে ১৪ মার্চ থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত। সারা দেশে তাঁরা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ফৌজদারি কার্যবিধি-১৮৯৮-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন।

প্রথমে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের (সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তা) এই ক্ষমতা দেওয়া হয়। অর্থাৎ শুধু সেনাবাহিনী নয়, বিমান ও নৌবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদেরও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। তখন ৬০ দিনের জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।

সেই মেয়াদ নভেম্বরের মাঝামাঝি শেষ হয়েছিল। পরে সেই ক্ষমতার মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়ানো হয়।

মন্তব্য

শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ বিএনপির

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক পুলিশপ্রধান (আইজিপি)  বেনজীর আহমেদসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে গুমের অভিযোগ দিয়েছে বিএনপি।

গতকাল রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে এই অভিযোগ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য এবং তথ্য সেলের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন খান।

অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গুমের ঘটনায় ১১ জন ভুক্তভোগীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে লিখিত অভিযোগে।

তাঁরা হলেনঝালকাঠির নলছিটির মোহাম্মদ আলী খান, সাবেক যুবদল নেতা মো. জিল্লুর রহমান, আকিদুল আলী, খোরশেদ আলম, অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী, মো. বাবুল, এনামুল, এরশাদ আলী, মো. গিয়াস উদ্দিন খান, মো. কবির উদ্দিন খান ও নজরুল ইসলাম।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় এসব ভুক্তভোগীকে অপহরণের পর আয়নাঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। গত বছর ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পলায়নের পর মোহাম্মদ আলীকে হাত ও চোখ বেঁধে পূর্বাচলের শেষ প্রান্তে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফেলে আসা হয়। পাঁচ বছর তিন মাস ১৩ দিন পর তিনি মুক্তি পান।

এ ঘটনায় মোহাম্মদ আলী খান বিএনপি মহাসচিবের মাধ্যমে ন্যায়বিচার চেয়ে আবেদন করেন।

তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১১ জন ভুক্তভোগীর নাম উল্লেখ করে আবেদনটি করা হয় বলে জানান সালাহউদ্দিন খান।

সালাহউদ্দিন খান সাংবাদিকদের বলেন, ভুক্তভোগীরা শেখ হাসিনাসহ ১৬ জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩০ থেকে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে ন্যায়বিচারের আশায় আবেদন করেছেন। ভুক্তভোগীরা বলেছেন, শুধু বিএনপি করার অপরাধে বিগত সরকারের নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাঁদের।

মন্তব্য

সোহাগের পরিবারের পাশে তারেক রহমান

বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনা প্রতিনিধি
শেয়ার
সোহাগের পরিবারের পাশে তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে পুরান ঢাকায় নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মনি। গতকাল রবিবার বিকেলে তিনি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের সোহাগের গ্রামের বাড়িতে যান। তিনি স্থানীয় কাকচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তিনি নিহত সোহাগের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

সোহাগের পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকারও আশ্বাস দেন। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে বিএনপির পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। স্বামীর হত্যার বিচার চেয়ে তখন সোহাগের স্ত্রী লাকি আক্তার বলেন, আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই।
সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মনি বলেন, এই এলাকার সন্তান ঢাকার মিটফোর্ডের ব্যবসায়ী সোহাগকে তাঁর ব্যাবসায়িক পার্টনার ও তাদের ভাড়াটেরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। বিএনপি ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়েছে। সম্পৃক্তদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিএনপি কোনো অপকর্মকে প্রশ্রয় দেয় না। পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক চৌধুরী মো. ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ফজলুল হক মাস্টার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম সফিকুজ্জামান মাহফুজ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাবেদুল ইসলাম জুয়েল, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম নাভিল প্রমুখ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ