সরকারঘোষিত ২৯টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো থেকেই দেশের অনেক নাগরিকের তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। নাম উল্লেখ না করলেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর তালিকার ২৭ নম্বর প্রতিষ্ঠান থেকে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানান তিনি। সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২৭ নম্বর প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ‘রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন’। আর নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে এ বিষয়ে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ও ভূমি সেবার ওয়েবসাইটকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ও ভূমির ওয়েবসাইটের দিকে আঙুল
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগের কর্মকর্তারাও নাম উল্লেখ না করে জানিয়েছেন, সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ম ভঙ্গ করে এনআইডির তথ্য সংরক্ষণ করে রাখার কারণেই দেশের অনেক নাগরিকের তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। তবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত নন।
গতকাল রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি ভবনে আয়োজিত সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড প্রগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ২৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রজ্ঞাপনের তালিকা থেকে ২৭ নম্বর প্রতিষ্ঠানটি এ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে।
এদিকে সরকারি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ মানুষের তথ্য ফাঁসের ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানায় মার্কিন প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ। তাদের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এসব তথ্যের মধ্যে রয়েছে নাগরিকদের নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর। গত ২৭ জুন এটি দেখতে পান বিটক্রাক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই তথ্যগুলো ফাঁস হওয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য নানা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাঁরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।
এ বিষয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এই খবর প্রকাশ করায় আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। আমরা ২৯টি ক্রিটিক্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ঘোষণা করেছিলাম, ধাপে ধাপে এই সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে যখন হ্যাক হয় তখন বিশাল অঙ্কের টাকা চুরি হয়ে যায়। তারপর আমরা মারাত্মকভাবে অনুভব করি, সাইবার সিকিউরিটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে কিন্তু আমাদের রেসপন্স টিম বা গাইডলাইন ছিল না, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল না। সেই ঘটনা ঘটার ফলে উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় সার্ট গঠন করি।’
পলক বলেন, ‘এটা বিশেষভাবে কেউ চুরি করেছে বা সাইবার হ্যাকাররা হ্যাক করেছে—এ রকম কিছু আমরা তদন্তে পাইনি। আমরা যেটা পেয়েছি, সেটা হলো সরকারের ওই ওয়েবসাইটটিতে কিছু টেকনিক্যাল দুর্বলতা ছিল। ফলে তথ্যগুলো খুব সহজেই দেখা যাচ্ছিল, পড়া যাচ্ছিল। বলতে গেলে উন্মুক্তই ছিল, যা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেই মন্ত্রণালয় বা সংস্থার নাম বলে বিব্রত করতে চাই না। নিরাপত্তা বিষয়ে সব তথ্য পাবলিকলি বলা উচিত নয়।
দায়িত্ব পালনের গাফিলতিতে এমনটা হয়েছে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা দায়িত্বে অবহেলা করেছে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেবে।’
উল্লেখ্য, তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণা করে সরকার। তথ্য পরিকাঠামো হলো কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্ক, যেখানে তথ্য সংরক্ষণ করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে বেআইনিভাবে প্রবেশ ও ক্ষতিসাধন বা ক্ষতির চেষ্টা করলে ১৪ বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডই দেওয়া যাবে।
এই বিষয়ে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) মো. রাশেদুল হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের এখান থেকে কোনো তথ্য ফাঁসের বিষয় ঘটেনি বলে জানিয়েছেন আমাদের দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা। আমরা প্রকৌশলীদের নিয়ে বসেছিলাম, তাঁরা আমাকে এমনটাই জানিয়েছেন। তাঁদের দেওয়া তথ্য ঠিক আছে কি না বা আসলে কোনো তথ্য ফাঁস হয়েছে কি না, বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে। এভাবে এখনই হুট করে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাবে না।’
দুটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট চিহ্নিত : নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, এ বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সরকারি দুটি ওয়েবসাইট চিহ্নিত করা হয়েছে। এ দুটি ওয়েবসাইট হচ্ছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এবং ভূমি সেবার। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। র্যাবের একটি তদন্তদলও কাজ করছে।
অশোক কুমার দেবনাথ আরো বলেন, তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে, বিষয়টি কিন্তু তা নয়। ওই ওয়েবসাইট দুটিতে নাগরিকদের তথ্য উন্মুক্ত পাওয়া গেছে।
কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে —স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, তথ্য ফাঁসে কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে সাইবার ইউনিটগুলো কাজ শুরু করেছে। পুরো বিষয়টি জেনে নিয়ে তদন্ত করে এটার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে নিরাপত্তা বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কী ঘটেছে, কতখানি কী ফাঁস হয়েছে, সেটা আমাদের দেখতে হবে। যদি দেখি কেউ এর সঙ্গে যুক্ত আছে, কেউ এতে সহযোগিতা করেছে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা আমরা নেব। পুরো বিষয়টি আমরা জেনে নিয়ে তদন্ত করে এটার ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
দায়ী প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে এনআইডি সার্ভারের সংযোগ বন্ধ করা হয়নি : গতকাল বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগের কর্মকর্তারা নাম উল্লেখ না করে জানান, সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ম ভঙ্গ করে এনআইডির তথ্য সংরক্ষণ করে রাখার কারণেই দেশের অনেক নাগরিকের তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার থেকেই তাঁরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। তবে নাগরিক সেবা যাতে বিঘ্নিত না হয় তার জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এনআইডি সার্ভারের সংযোগ বন্ধ করা হয়নি। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে কার্যকর উপায় খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় কি না জানতে চাইলে এনআইডি কর্মকর্তারা প্রশ্নটি এড়িয়ে যান।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘নাগরিকদের যে তথ্য ফাঁস হয়েছে, তা নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে হয়নি। আমাদের সার্ভারের তথ্যের ওপর কোনো রকমের থ্রেট আসেনি। আমরা ১৭১টি প্রতিষ্ঠানকে এনআইডির তথ্যসেবা প্রদান করে থাকি। চুক্তি মোতাবেক তারা কাজ করতে পারে। তার পরও এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কারো কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি পেলে বা অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটলে, তাদের আইনের আওতায় নেওয়া হবে।’
কিভাবে তথ্য ফাঁস হতে পারে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সাদ ওয়ায়েজ তানভীর বলেন, ‘একটা সাইট যখন চালু করা হয়, তখন যে লিংক দেখা যায়, তার বাইরেও কিছু লিংক থাকে, যা সাধারণ ব্যবহারকারীরা দেখতে পারেন না। কিন্তু স্ক্যান করে লিংকগুলো চিহ্নিত করা যায়। ওই লিংকগুলো চিহ্নিত করার মাধ্যমে ওইখানে তারা (হ্যাকাররা) একটা স্ক্রিপ্ট চালায়, নাগরিক তথ্যগুলো তারা ওখান থেকে এক্সেস করতে পেরেছে। আমরা ধারণা করছি যে পার্টনার সার্ভিসের সাইট থেকে এক্সেস নেওয়া হয়েছে। তাদের ওখানে এই ডাটা সংরক্ষিত ছিল। এটা চুক্তির বরখেলাপ।’
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে সিস্টেম ম্যানেজার মো. আশরাফ হোসেন জানান, চুক্তিবদ্ধ ১৭১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ও রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন কালের কণ্ঠকে বলেন, চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রান্ত থেকে নিরাপত্তা ঝুঁকির ঘটনা ঘটলে সে ক্ষেত্রে এনআইডি কর্তৃপক্ষের তেমন কিছুই করার নেই। চুক্তি করার সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হয়। কিন্তু পরে ওই প্রতিষ্ঠান তাদের সফটওয়্যার ডেভেলপ করলে তা এনআইডি কর্তৃপক্ষের নজরদারির বাইরেই থেকে যায়। এ ক্ষেত্রে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানটির। চুক্তির শর্ত ভঙ্গ হলে সম্ভাব্য ক্ষতির দায়দায়িত্ব ওই প্রতিষ্ঠানকেই নিতে হবে।
সম্পর্কিত খবর

ঘরে ঘরে জ্বর, আতঙ্ক ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া নিয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর পশ্চিম আগারগাঁওয়ের বাসিন্দা ফারুক আহমেদ টানা তিন দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। ফার্মেসির ওষুধে জ্বর না কমায় তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। ফারুক জানান, প্রথমে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন, পরে তাঁর স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তানও জ্বরে ভুগতে শুরু করে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের বহির্বিভাগে কথা হয় ফারুক আহমেদের সঙ্গে।
চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন ও বাতাসে আর্দ্রতার ওঠানামার কারণে ভাইরাসজনিত জ্বর বাড়ছে। শিশুসহ সব বয়সী মানুষ এতে আক্রান্ত হচ্ছে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল এবং চিকিৎসকের চেম্বারে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।
সোমবার ও মঙ্গলবার রাজধানীর ডিএনসিসি হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে দেখা গেছে, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক বেশি শিশু এখন জ্বর নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসছে।
এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘একসঙ্গে বিভিন্ন ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। সাধারণ ভাইরাল জ্বরের পাশাপাশি ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও রোটা ভাইরাসও বাড়ছে।
রাজধানীর শিশু হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি বলে জানান হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এ বি এম মাহফুজ হাসান আল মামুন। তিনি বলেন, ‘এখন ভাইরাল জ্বরের মৌসুম চলছে। পাশাপাশি চলছে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মৌসুমও। বেশির ভাগ রোগী তীব্র জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা, চোখ লাল হওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, শরীরে র্যাশ—এসব উপসর্গ নিয়ে আসছে। অনেকের ডেঙ্গুর উপসর্গ থাকলেও পরীক্ষায় ধরা পড়ছে না।’
জ্বর কেন হয়?
চিকিৎসকরা বলছেন, জ্বর নিজে কোনো রোগ নয়, এটি একটি উপসর্গ বা সতর্কবার্তা। সাধারণ ঠাণ্ডা বা সর্দিকাশির পাশাপাশি ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণে জ্বর হতে পারে। করোনাভাইরাস, ডেঙ্গু, টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া—এসব রোগের প্রাথমিক লক্ষণ জ্বর। টিকা নেওয়া, টিউমার, ফোড়া, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, প্রস্রাবের সংক্রমণ, পিরিয়ড বা মানসিক চাপ থেকেও জ্বর হতে পারে।
ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘বাইরের প্রচণ্ড গরম থেকে ফিরে অনেকেই এসির নিচে চলে যায় বা ঠাণ্ডা পানি পান করে। এই গরম-ঠাণ্ডার তারতম্য থেকেই জ্বর-সর্দি হতে পারে। প্রতিটি পরিবারেই এখন মৌসুমি জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। এ ছাড়া বন্যাকবলিত এলাকায় টাইফয়েড ও পানিবাহিত রোগও বেড়েছে।’
ডা. লেলিন আরো বলেন, ‘এসব জ্বর সাধারণত প্যারাসিটামল খেলেই সেরে যায়। অ্যান্টিবায়োটিকের দরকার পড়ে না। তবে জ্বর যদি সপ্তাহখানেকের বেশি স্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।’
সাধারণ জ্বর কিভাবে বুঝব?
বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. ফজলে রাব্বি চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আগে কভিড-১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে জ্বরের সঙ্গে কাশি, গন্ধ না পাওয়া, শ্বাসকষ্ট দেখা যেত। এখন অনেক কভিড রোগীও গায়ে ব্যথা ও মাথাব্যথার উপসর্গ নিয়ে আসছে। তাই পরীক্ষা ছাড়া রোগ নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’
ডা. ফজলে রাব্বি আরো বলেন, ‘ডেঙ্গুতে সাধারণত মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, পেট ব্যথা ও পাতলা পায়খানা হয়। অন্যদিকে চিকুনগুনিয়ায় গায়ে বেশি ব্যথা, বিশেষ করে জয়েন্টে ব্যথা ও দ্রুত র্যাশ দেখা দেয়। সাধারণ ভাইরাল জ্বরে হালকা গায়ে ব্যথা ও সর্দিকাশি হয় এবং তা চার দিনের মধ্যে সেরে যায়। চার দিনের বেশি জ্বর থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।’

জুলাই ফাউন্ডেশনের অফিসে ভাঙচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর শাহবাগে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের কয়েকজন গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বারডেম হাসপাতালের পাশের ওই কার্যালয়ের কক্ষে ভাঙচুর চালান।
সূত্র জানায়, হামলার শুরুতে তাঁরা প্রথমে ওই কার্যালয়ে তালা লাগান। পরে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কর্মচারীদের সঙ্গে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে সেখানে ভাঙচুর করা হয়।
তবে রাতে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামাল আকবর জানান, টাকা না পেয়ে আহতরা ক্ষুব্ধ হয়ে অফিসে তালা লাগিয়ে দেন।
ফাউন্ডেশনের একজন কর্মচারী খারাপ আচরণ করলে সেখানে ভাঙচুর করা হয় বলে আহতদের কয়েকজন জানিয়েছেন।
ভাঙচুরের পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, অনেক চেয়ার এলোমেলো পড়ে আছে। পানির ফিল্টার ও তিনটি দরজার গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়েছে। মেঝেতে কাচের টুকরা ছড়িয়েছিটিয়ে আছে।
গত বছর আন্দোলনে গিয়ে আহত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন জানিয়ে মামুন হোসেন নামের একজন বলেন, ‘আমার মাথার ভেতরে গুলি, ১১ মাস যাবৎ চিকিৎসাধীন। আমাদের জীবনের নিশ্চয়তা কী? তো কিসের জুলাই ফাউন্ডেশন?’
সাভার সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আহত নাজমুল হোসেন বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাপের টাকার জন্য সাত মাস ধরে ঘুরছি। টাকা দেওয়া হচ্ছে না। জুলাই ফাউন্ডেশনের সিইও বারবার ডেট দিয়ে আমাদের টাকা দিচ্ছেন না।’
জানতে চাইলে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামাল আকবর বলেন, ‘জুলাই আহতদের অনেকে এখনো মানসিক ট্রমার মধ্যে আছেন।
এই ফাউন্ডেশনে সাত কোটি টাকা আছে জানিয়ে কামাল আকবর বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে আহত ও শহীদ পরিবারগুলোকে অনুদান দেওয়ার চেষ্টা করছি।’ তা ছাড়া আহতদের তালিকা থেকে ৩৯ জন ভুয়া আহতকে বাদ দিতে এবং শহীদদের তালিকা থেকে চারজনের নাম বাদ দিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার
নির্বাচনের তারিখ আমি নিজেই জানি না
নিজস্ব প্রতিবেদক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে তা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন এখনো জানেন না। গতকাল মঙ্গলবার সকালে কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। পরে বিকেলে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ডেমোক্রেসি (আরএফডি) আয়োজিত ফল উৎসব ও সাংবাদিক অ্যাকসেস কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানেও তিনি একই কথা বলেন।
এ ছাড়া সিইসি সাংবাদিকদের জানান, আগামী নির্বাচনে ভোটের প্রচারে এআইয়ের অপব্যবহার রোধ করতে চায় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন ভবনে কানাডার হাইকমিশনারের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টার সাক্ষাৎ শেষে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিসইউজ অব এআই আমাদের জন্যও হুমকি। এ বিষয়ে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে কানাডা।
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমাদের বিভিন্ন সেক্টরে যে প্রস্তুতি নিয়েছি, আগামী নির্বাচনে আমরা ঠিকমতো ডেলিভার করতে পারব কি না সে বিষয়গুলো জানতে চেয়েছেন তাঁরা। আমাদের প্রস্তুতির বিষয়টা বিস্তারিত জানিয়েছি। বিশেষ করে দেশজুড়ে ভোটার সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করতে যাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছি। ভোটার সচেতনতা ক্যাম্পেইনের পাশাপাশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণ, এজেন্টদের প্রশিক্ষণসহ সার্বিক কাজে কানাডা পাশে থাকবে বলে জানিয়েছে।
সিইসি বলেন, ‘কানাডা আমাদের সহায়তার জন্য প্রস্তুত এবং আমাদের আলোচনা অব্যাহত থাকবে। তারা চায় যে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ইলেকশন যেন হয়। আমাদের ভোটার নিবন্ধনে নারীদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে, পার্বত্য এলাকায় ভোটার সচেতনতামূলক কাজের বিষয়ে জানতে চেয়েছে। আমাদের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছি।’
নির্বাচন কবে বা ভোটের সম্ভাব্য সময়সীমা বিষয়ে কানাডার হাইকমিশনার জানতে চেয়েছেন কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, “উনি জানতে চেয়েছেন ভোটের স্পেসিফিক ডেট হয়েছে কি না। আমি বলেছি ‘নো’। সময়সীমা নিয়ে কোনো আলাপ হয়নি। সময়সীমা সম্পর্কে আপনারা যা জানেন, আমিও তাই জানি। যেদিন ভোট হবে, তার দুই মাস আগে আমি জানিয়ে দেব।”
নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আসার বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অবজারভার হিসেবে কাজ করার জন্য জিজ্ঞেস করেছি। নীতিমালাও প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছি। ইইউকে বলা হয়েছে, আগেই যেন জানিয়ে রাখা হয়। তাদের ২৮টি দেশের অবজারভারকে সমন্বয় করে পাঠাতে হবে, এ জন্য আগেভাগে স্বাগত জানিয়েছি।’
পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অনুমোদন দেওয়া হবে না বলেও জানান সিইসি। তিনি বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচনকে যাঁরা সার্টিফিকেট দিয়েছেন তাঁদের (অনুমোদন) দেব কেন? যেসব পর্যবেক্ষক গত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন খুব সুন্দর হয়েছে বলে সার্টিফিকেট দিয়েছেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে বলেছেন, তাঁদের কি আমাদের নেওয়া উচিত? আমরা দেখে-শুনেই নেব। যাঁরা অভিজ্ঞ, ডিপেন্ডেবল, রিলায়েবল এবং বিভিন্ন দেশে নির্বাচন অবজার্ভ করেছেন, তাঁদের নেব। তিনটি নির্বাচনকে যাঁরা সার্টিফিকেট দিয়েছেন, তাঁদের কোনোমতেই নেওয়া হবে না।’
বিকেলে আরএফইডির অনুষ্ঠানে সিইসি বলেন, ‘আমরা বারবার প্রমাণ করেছি; ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ সালে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পেরেছিলাম। এবারও পারব ইনশাআল্লাহ। আমাদের প্রশাসন, পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে বলব, মানুষের শ্রদ্ধা পুনরুদ্ধারের এটিই সময়। ভাবমূর্তি রক্ষা ও পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ এখন এসেছে।’
সিইসি বলেন, ‘ভোটের নির্দিষ্ট তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে কমপক্ষে দুই মাস আগেই সব কিছু জানিয়ে দেওয়া হবে, কোন দিন ভোট, কোন দিন মনোনয়ন—এসবসহ।
গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে সিইসি বলেন, ‘আমরা আজকে যা কিছু করছি, তা আপনাদের মাধ্যমেই দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। কানাডার হাইকমিশনারের সঙ্গে আজকে আলাপের সময় দেখি উনি (কানাডার হাইকমিশনার) সব জানেন—ভোটার রেজিস্ট্রেশন, ইউএনডিপির সহযোগিতা, ক্যামেরা, ল্যাপটপ সব কিছু। তার মানে আমাদের সংবাদগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে। এ জন্য আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সংবাদ পরিবেশনের সময় একটু সচেতন থাকবেন। দেখেছি অনেক সময় ভেতরে পজিটিভ রিপোর্ট থাকলেও হেডলাইন বা স্ক্রলে নেগেটিভ বার্তা থাকে। এতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়, মন খারাপ হয়। দয়া করে শিরোনাম, ক্যাপশন এমন দিন, যাতে মানুষ পজিটিভ বার্তা বুঝতে পারে।’
তিনি বলেন, “সাংবাদিকদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন কমিশন সাংবাদিকদের সরাসরি অংশগ্রহণে বিভিন্ন ‘ওয়্যারনেস রেইজিং ক্যাম্পেইন’ চালু করবে। আমরা সাংবাদিকদের পার্টনার করে কাজ করতে চাই। সচেতনতামূলক প্রচারে আপনাদের যুক্ত করব। ২০১৮ সালের মতো অভিযোগ আর যেন না ওঠে। প্রশাসন, পুলিশ, প্রিজাইডিং অফিসার, সব কর্মকর্তাকে বলব, এটা ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের সময়।” আরএফইডির সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দীনের (জেবেল) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

মিডিয়াকে হুমকি
ক্র্যাব, অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের উদ্বেগ
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই আন্দোলনের এক নেতা কর্তৃক মিডিয়াকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) ও অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স।
অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের সভাপতি হাসান শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সোহেল গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোর এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। গণমাধ্যমের কোনো প্রতিবেদনে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তার প্রতিকার পাওয়ার জন্য দেশে প্রেস কাউন্সিল ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগ রয়েছে। হুমকি বা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিসর সংকুচিত করা যাবে না।
অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মুক্ত মত প্রকাশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর হুমকি কিংবা ভয় দেখানোর চেষ্টা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সংবিধান প্রদত্ত অধিকার লঙ্ঘনের শামিল, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
এর আগে গত সোমবার ক্র্যাব কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল এবং সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মিডিয়াকে হুমকি দেওয়ার ঘটনা জুলাইয়ের চেতনার সঙ্গে মানানসই নয়। যেসব কারণে জুলাইয়ের রক্তক্ষয়ী ছাত্র গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, তার অন্যতম ছিল মত প্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ।
বিবৃতিতে ক্র্যাব নেতারা বলেন, ‘মিডিয়ার ভূমিকায় কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তার প্রতিকারের জন্য প্রেস কাউন্সিল রয়েছে। প্রচলিত আইনের বিধি অনুযায়ী আদালতেও যাওয়া যায়। কিন্তু এই হুমকি দেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশের প্রতিবন্ধক বলে আমরা মনে করি।