<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুন ২৫২টি কেন্দ্রে প্রথম হয়েছেন। পক্ষান্তরে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজমত উল্লা খান প্রথম হয়েছেন ২২৮টি কেন্দ্রে। এ ছাড়া ৩২টি কেন্দ্রে প্রদত্ত ভোটের হার ছিল ৭০ থেকে ৮৩.৬৯ শতাংশ পর্যন্ত। সর্বোচ্চ ৮৩.৬৯ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন কোনাবাড়ীর জয়েরটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। অন্যদিকে সর্বনিম্ন ১২.০৯ থেকে ২১ শতাংশের কম ভোট পড়ে পাঁচটি কেন্দ্রে। সর্বনিম্ন ১২.০৯ শতাংশ ভোটার ভোট দেন বাসনের ভোগড়া সরকারি </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র-২-এ। নির্বাচনে মেয়র পদের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল বিশ্লেষণে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। ভোট দেন পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৫০ জন ভোটার। এর মধ্যে বাতিল ভোটের সংখ্যা এক হাজার ৭৯৪। ভোট দেননি ছয় লাখ চার হাজার ৪১৩ ভোটার। ভোট প্রদানের হার ৪৮.৭৬ শতাংশ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতে কোনো নির্বাচনেই শতভাগ ভোটারের ভোট দেওয়া সম্ভব না। ভোটারদের অনেকে অসুস্থ থাকতে পারেন, নির্বাচনী এলাকা বা দেশের বাইরেও অনেকে থাকতে পারেন। এ ছাড়া ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর কোনো ভোটারের মৃত্যুও হতে পারে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই নির্বাচনে রাজপথের প্রধান বিরোধী দলসহ কয়েকটি দল অংশ নেয়নি। সব দলের অংশগ্রহণে গাজীপুর সিটির ২০১৩ সালের নির্বাচনে ভোট দেওয়ার হার ছিল ৬৩ শতাংশ। ২০১৮ সালে একই ধরনের নির্বাচনে এই হার ৫৭ শতাংশে নেমে আসে। গত ২৫ মে ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ভোট পড়ার হার ৫০ শতাংশের কম হবে না। কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফলে নির্বাচন কমিশনের প্রত্যাশার তুলনায় প্রদত্ত ভোটের হার কমে আসে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভোট প্রাপ্তির তুলনামূলক চিত্র : ফল বিশ্লেষণে জানা যায়, কাশিমপুর থানা এলাকার ছয়টি ওয়ার্ডের ৪৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে আজমত উল্লা খান ৩২টিতে এবং জায়েদা খাতুন ১৫টিতে প্রথম হয়েছেন। কোনাবাড়ী থানার ছয়টি ওয়ার্ডের ৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টিতে আজমত উল্লা এবং দুটিতে জায়েদা খাতুন প্রথম হয়েছেন। নগরীর প্রাণকেন্দ্র বাসন থানার ৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে জায়েদা খাতুন ৪১টিতে প্রথম হয়েছেন। বাকি একটি কেন্দ্রে প্রথম হয়েছেন আজমত উল্লা। মূল শহর বা প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দুখ্যাত সদর থানায় ভোটকেন্দ্র ৯৬টি। তার মধ্যে ৭৪টিতে জয় পেয়েছেন জায়েদা খাতুন আর ২২টিতে জিতেছেন আজমত উল্লা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আজমত উল্লার ফল বিপর্যয় ঘটেছে গাছা থানা এলাকায়। ওই থানার ৫৭টি ওয়ার্ডের ফলাফলে মাত্র দুটি কেন্দ্রে অল্প ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন তিনি। পক্ষান্তরে জায়েদা খাতুন বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন ৫৫টি ভোটকেন্দ্রে। পুবাইল থানার ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টিতে জায়েদা খাতুন এবং ১১টি আজমত উল্লা জয়ী হয়েছেন। তবে আজমত উল্লা ভালো ফল করেছেন নিজ এলাকা টঙ্গী থানায়। টঙ্গীর ১৫টি ওয়ার্ডের ১৬৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে তিনি জয় পেয়েছেন ১১০টিতে। পক্ষান্তরে জায়েদা খাতুন জয় পেয়েছেন ৫৩টিতে। আজমত উল্লা ১১০টিতে জয় পেলেও ভোটের ব্যবধান বেশি নয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আজমত উল্লা খান নিজের টঙ্গীর আরিচপুরের দারুস সালাম মাদরাসা ভোটকেন্দ্রে পেয়েছেন ৯৪১ ভোট। এই কেন্দ্রে জায়েদা পেয়েছেন ২৪৮ ভোট। কেন্দ্রটির ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৫১৬। ভোট পড়েছে এক হাজার ৪৩০টি বা ৫৭.১৫ শতাংশ। জায়েদা খাতুনের নিজ কেন্দ্র কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই হাজার ৩৫৬ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন এক হাজার ৬৮৯ জন বা ৬৬.৯৯ শতাংশ। এর মধ্যে জায়েদা পেয়েছেন এক হাজার ৩৯৯ ভোট। আজমত উল্লা পেয়েছেন ১৮৩ ভোট।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে জায়েদা খাতুন সবচেয়ে বেশি এক হাজার ৮১৬ ভোট পেয়েছেন গাছা থানার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইছর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্রে আজমত পেয়েছেন ৪৬৪ ভোট। ভোট প্রদানের হার ৭৯.৩৮ শতাংশ। আজমত উল্লা সবচেয়ে বেশি এক হাজার ৫৪০ ভোট পেয়েছেন কাশিমপুরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হযরত লোহা আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে। ওই কেন্দ্রে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ৫১২ ভোট। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যেসব কেন্দ্রে বেশি ভোট : যে ৩২টি কেন্দ্রে প্রদত্ত ভোটের হার ছিল ৭০ থেকে ৮৩.৬৯ শতাংশ পর্যন্ত তার মধ্যে কোনাবাড়ীর জয়েরটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ছাড়াও রয়েছে গাছার মৈরান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র (৮০.৭৭%), পুবাইলের হায়দারাবাদ রমনী কুমার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র-১ (৭৭.৮৮%), কোনাবাড়ীর বাঘিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র-১ (৭৮.৫১%), গাছার বসুরা মক্তব মাদরাসা কেন্দ্র (৭৭.৮২%), কোনাবাড়ীর বাঘিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র-২ (৭২.৮৯%), গাছার জাঝর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র-১ (৭২.৭০%)সহ আরো ১৭টি কেন্দ্র। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যেসব কেন্দ্রে কম ভোট : যে পাঁচটি কেন্দ্রে ১২.০৯ থেকে ২১ শতাংশের কম ভোট পড়েছে সেগুলো হচ্ছে গাজীপুরের বাসন এলাকায় ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। এগুলো হচ্ছে ভোগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র-২ (১২.০৯%), শহীদ বৃত্তি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র-২ (১৫.২৩%), ভোগড়া মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯.৮৯%), ভোগড়া বাজারসংলগ্ন ভোগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ভবন কেন্দ্র (২০.৫৬%) এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীপুরায় হাজি আলাউদ্দিন মাতব্বর মাদরাসা কেন্দ্র (২০.৮৮%)।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লাঙলের চেয়ে বেশি ভোট হাতপাখায় : এই নির্বাচনে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখার প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান খান। তিনি পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩৫২ ভোট। আর জাতীয় পার্টির এম এম নিজামউদ্দিন পেয়েছেন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট।</span></span></span></span></p>