নির্বাচনী সংঘাতে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার ও প্রাণহানি কমাতে অবশেষে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নেমেছে পুলিশ। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতা এড়াতে গত শুক্র ও শনিবার বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযানে পুলিশ একটি বন্দুক, একটি দেশি পাইপগান উদ্ধার এবং দুজনকে আটক করেছে। এ ছাড়া কক্সবাজারেও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে সাঁড়াশি অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নির্বাচনী সহিংসতা
অবশেষে অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার ও জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

নির্বাচনী সংঘাত ও একের পর এক প্রাণহানির ঘটনায় কালের কণ্ঠে গত শনিবার ‘আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে’ শিরোনামে প্রধান সংবাদ এবং ‘একটি অস্ত্রও উদ্ধার হয়নি কক্সবাজারে’ শিরোনামে আরেকটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদের পর কক্সবাজারের প্রতিটি থানায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জরুরি নির্দেশনা পাঠিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার।
কালের কণ্ঠের হিসাব অনুযায়ী, চলমান ইউপি নির্বাচনে গতকাল পর্যন্ত নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে ৪৩ জন।
জগন্নাথপুরে অভিযান সম্পর্কে থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সহিংসতা রোধে অস্ত্র অভিযান শুরু হয়েছে।
থানা পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার রাতে উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের আটঘর গ্রামে অভিযান চালিয়ে আরশ আলী (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশের একটি দল। ওই সময় তাঁর দেওয়া তথ্যে একটি একনলা বন্দুক উদ্বার করা হয়। গতকাল আদালতের মাধ্যমে আরশ আলীকে সুনামগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের বেতাউকা গ্রাম থেকে বকুল মিয়া (৩০) নামের এক যুবককে দেশে তৈরি পাইপগানসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে কক্সবাজারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সভায় উপস্থিত সবাই জেলাজুড়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার অভিযান শুরুর বিষযে গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ‘সমগ্র জেলাব্যাপী বেআইনি অস্ত্রের ঝনঝনানিতে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দুই ধাপের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে কক্সবাজারে খুন হয়েছে পাঁচজন মানুষ।’ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান যতই বিলম্ব হবে ততই খুনখারাবি বাড়তে পারে।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, জেলা জাসদ সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুলসহ প্রায় সবাই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য দেন। তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বরের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যাতে কোনো ধরনের সহিংস ঘটনা না ঘটে সে জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা।
সভায় উপস্থিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম তখন বলেন, ‘আমরা অস্ত্র উদ্ধারের প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রতিটি থানায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পুলিশের কাজই হচ্ছে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করাসহ সমাজবিরোধীদের আটক করে আইনে সোপর্দ করা। কিন্তু নির্বাচনীসহ অন্যান্য কাজে পুলিশকে এত বেশি সময় দিতে হয়েছে যে তাতে নিয়মমাফিক অভিযানও কিছুটা ব্যাহত হয়েছে।’
ভোটের তিন মাসে কক্সবাজারে পাঁচজন খুন এবং ২০টি অস্ত্র ব্যবহার হওয়ার পরও কোনো অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এজাহারে বাদী অনেক সময় একটু-আধটু বাড়িয়ে তথ্য উল্লেখ করেন। হয়তো বা তদন্তকালে দেখা যাবে, হত্যা মামলাগুলোতে এত বিপুলসংখ্যক অস্ত্র ব্যবহার হয়নি।’
তবে তিনি জানান, কালের কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশের পর গত শনিবারই জেলার সব (আটটি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে জরুরিভাবে লিখিত নির্দেশনা দিয়েছেন বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে।
সম্পর্কিত খবর

আজ রাজপথে নামছে বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ‘অপপ্রচার ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণভাবে আজ থেকে রাজপথে থাকবে বিএনপি। বিএনপি মনে করছে, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে জামায়াতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজপথ দখল করার চেষ্টা করছে বলে মনে করছে বিএনপি। এ জন্য রাজপথে বিএনপিও শক্তি ও জনসমর্থন দেখাবে।
এখন পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দিচ্ছে না দলটি।
মাঠে নামছে ছাত্রদল : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, গোপন তৎপরতায় দীর্ঘদিন ধরে অভ্যস্ত গুপ্ত সংগঠন কর্তৃক মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আজ রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে। গুপ্ত সংগঠন বলতে ইসলামী ছাত্রশিবির ও তাদের সহযোগী সংগঠনকে বোঝানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
ছাত্রদলের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শাহবাগ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সারা দেশের সব জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
কর্মসূচির বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘গুপ্ত সংগঠন হিসেবে সেসব সংগঠনকেই বোঝানো হয়েছে, যারা প্রকাশ্যে নিজেদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বদলে গোপনে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। গত ৫ আগস্টের পর একটি মুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও তাদের এহেন গুপ্ত কার্যক্রম এ দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে অসহনশীল করে তুলছে এবং রাজনৈতিক বিষয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে তুলছে। এ রকম কুচক্রী কার্যক্রমের বিরুদ্ধেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যেন দেশবাসীকে এসব বিভ্রান্তিকর বিষয়ে সচেতন করে তোলা যায়।’
গুপ্ত সংগঠন বলতে কাদের বোঝানো হচ্ছে জানতে চাইলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘ছত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর যারা ক্যাম্পাসগুলোতে মব সৃষ্টি করে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ নামে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করছে, তারাই গুপ্ত সংগঠন। ছাত্রশিবির এবং গুপ্তভাবে সংগঠন পরিচালনা করতে ছাত্রশিবিরকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে, আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় তারা।’

সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির মেয়াদ আরো দুই মাস বাড়ল
বিশেষ প্রতিনিধি

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরো দুই মাস (৬০ দিন) বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল রবিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে গত ১৩ মে থেকে তাঁদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতার মেয়াদ দুই মাস বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ গতকাল শেষ হয় ।
মেয়াদ বাড়ানোর আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের (কোস্ট গার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তারাসহ) ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’-এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। এর মেয়াদ হবে ১৪ মার্চ থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত। সারা দেশে তাঁরা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারি কার্যবিধি-১৮৯৮’-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন।
প্রথমে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের (সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তা) এই ক্ষমতা দেওয়া হয়। অর্থাৎ শুধু সেনাবাহিনী নয়, বিমান ও নৌবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদেরও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। তখন ৬০ দিনের জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।

শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ বিএনপির
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক পুলিশপ্রধান (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে গুমের অভিযোগ দিয়েছে বিএনপি।
গতকাল রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে এই অভিযোগ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য এবং তথ্য সেলের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন খান।
অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গুমের ঘটনায় ১১ জন ভুক্তভোগীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে লিখিত অভিযোগে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় এসব ভুক্তভোগীকে অপহরণের পর আয়নাঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। গত বছর ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পলায়নের পর মোহাম্মদ আলীকে হাত ও চোখ বেঁধে পূর্বাচলের শেষ প্রান্তে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফেলে আসা হয়। পাঁচ বছর তিন মাস ১৩ দিন পর তিনি মুক্তি পান।
তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১১ জন ভুক্তভোগীর নাম উল্লেখ করে আবেদনটি করা হয় বলে জানান সালাহউদ্দিন খান।
সালাহউদ্দিন খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা শেখ হাসিনাসহ ১৬ জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩০ থেকে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে ন্যায়বিচারের আশায় আবেদন করেছেন। ভুক্তভোগীরা বলেছেন, শুধু বিএনপি করার অপরাধে বিগত সরকারের নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাঁদের।

সোহাগের পরিবারের পাশে তারেক রহমান
বরগুনা প্রতিনিধি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে পুরান ঢাকায় নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মনি। গতকাল রবিবার বিকেলে তিনি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের সোহাগের গ্রামের বাড়িতে যান। তিনি স্থানীয় কাকচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তিনি নিহত সোহাগের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।