১৪ ঘণ্টা ‘নিখোঁজ’ থাকার পর মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী মশিউর রহমান সবুজের ফিরে আসা এবং ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি ঘিরে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এই প্রেক্ষাপটে গতকাল রবিবার রাতে মোবাইল ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন কালের কণ্ঠ’র মাদারীপুর প্রতিনিধি আয়শা সিদ্দিকা আকাশী। এই কথোপকথনের হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো—
কালের কণ্ঠ : আপনাকে কি জোর করে গাড়িতে তোলা হয়েছিল?
মশিউর রহমান সবুজ : ‘কালকিনির ওসি (মো. নাছিরউদ্দিন) আমাকে বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে এসপি (মোহাম্মদ মাহবুব হাসান) আপনার সঙ্গে কথা বলবেন। তাই ওসি আমাকে গাড়িতে উঠিয়ে এসপি অফিসে নিয়ে আসেন। সেখানে এসপি আমার সঙ্গে কথা বলেন। পরে কিছু না বলে আমাকে গাড়িতে উঠিয়ে ঢাকার ধানমণ্ডি আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নিয়ে যান।’
কালের কণ্ঠ : এসপি আপনাকে গাড়ি ওঠালেন; আপনি কোনো প্রতিবাদ করেননি?
সবুজ : ‘আসলে আমি বুঝতেই পারিনি আমাকে কোথায় নিয়ে যাবে। তবে সামনে নির্বাচন। তাই আমি এই ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না।’
কালের কণ্ঠ : ধানমণ্ডি অফিসে কেন্দ্রীয় নেতারা আপনাকে কী বলেছেন?
সবুজ : ‘তিনি বলেছেন নির্বাচন থেকে সরে যেতে। আর দলের হয়ে কাজ করতে।’
কালের কণ্ঠ : নির্বাচন থেকে সরে যাবেন?
সবুজ : ‘না। জনগণ আমাকে চায়। তাই আমি স্বতন্ত্র থেকেই নির্বাচনে অংশ নেব।’
কালের কণ্ঠ : আপনাকে যদি বহিষ্কার করা হয়?
সবুজ : ‘আমি তো কমিটিতে নেই। তাই বহিষ্কারের কোনো ব্যাপার নেই।’
কালের কণ্ঠ : আগে কোন কমিটিতে ছিলেন?
সবুজ : ‘আমি কালকিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। বর্তমানে কোনো কমিটিতে নেই।’
কালের কণ্ঠ : কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যখন নিয়ে যাওয়া হলো তখন সেখানে আর কেউ ছিলেন?
সবুজ : ‘তখন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য মাদারীপুরের আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও শরীয়তপুরের শামীম আহম্মেদ ছিলেন।’
কালের কণ্ঠ : পুলিশ বা দলীয়ভাবে আপনার ওপর মানসিক বা শারীরিক কোনো চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল?
সবুজ : ‘না। কেউ করেনি। তবে এভাবে চুপচাপ না নিলেও পারতেন। আমাকে সরাসরি জানালে আমি নিজে গিয়েই দেখা করতাম।’
মন্তব্য