ঢাকা, সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫
৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৮ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫
৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৮ মহররম ১৪৪৭
টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ব্যবস্থাপনায় রাখা হবে চিকিৎসকদল

তৌফিক মারুফ
তৌফিক মারুফ
শেয়ার
ব্যবস্থাপনায় রাখা হবে চিকিৎসকদল

যেকোনো সময় দেশে এসে পৌঁছতে পারে করোনাভাইরাসের টিকা। দেশে প্রথমে আসছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। তবে বর্তমানে দেশজুড়ে তুমুল আলোচনার বিষয় টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে। সরকারও বিষয়টির ওপর নজর রাখছে।

টিকা দেওয়ার আগে মানুষের মধ্যে যাতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে অহেতুক উদ্বেগ না ছড়ায় সেদিকে তীক্ষ নজর রাখছে সরকার। মানুষ যাতে স্বাভাবিকভাবে টিকা নিতে উৎসাহী হয়, সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চলতি সপ্তাহেই শুরু করা হবে বিভিন্ন ধরনের প্রচার-প্রচারণা। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ব্যবস্থাপনায় টিকাদানকেন্দ্র এবং হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা টিম ও প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রস্তুত রাখা হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে টিকা দিতে যে অ্যাপস ব্যবহার করা হবে তাতে রাখা হয়নি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দ্রুত শনাক্তকরণ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অবহিতকরণ অপশনটি।

বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা তাগিদ দিয়েছেন দ্রুত অ্যাপসটি পূর্ণাঙ্গ করার আগে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের জন্য প্রণীত টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিরূপণ ও ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত গাইডলাইন অনুসারে টিকার অ্যাপসে একটি অপশন তৈরি করার, যাতে টিকা গ্রহণকারীরা নিজেরাই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া উপলব্ধি করলে তাৎক্ষণিক ওই অ্যাপসের অপশন ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীকে অবহিত করতে পারে। তাহলে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া উপশম নিশ্চিত করা সহজ হবে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি নিয়ে গতকাল সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক কথা বলেছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে।

সেখানে তিনি বলেন, ‘যেকোনো ওষুধ বা টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতেই পাবে, কিন্তু সেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাময় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে চিকিৎসা হবে কি হবে না—এমন প্রশ্ন তোলা ঠিক না। সরকার বিষয়টি দেখবে। আর অক্সফোর্ডের টিকায় এখন পর্যন্ত বড় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তথ্য নেই।’

মন্ত্রীর কথার সূত্র ধরে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ব্যবস্থাপনার তথ্য খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, এরই মধ্যে এ ব্যাপারে একটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে।

সে গাইডলাইন ধরেই এগোচ্ছে সব কাজ। ওই গাইডলাইনে যে পদ্ধতিতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শনাক্ত ও প্রতিকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে তা অনেকের কাছে জটিল মনে হতে পারে। বিশেষ করে পরিকল্পনার মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য স্তরে স্তরে হটলাইন নম্বর ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, কিন্তু অ্যাপসে কোনো অপশন রাখা হয়নি।

এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন, করোনা টেস্টের সময় এ ধরনের হটলাইন নম্বরে সুযোগ না পাওয়াসহ বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হয়েছিল। বারবার কল করে সাড়া না পাওয়ার অহরহ অভিযোগ ছিল। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অবহিত করতে হটলাইন ব্যবস্থার পাশাপাশি অ্যাপসের মধ্যে বাড়তি একটি অপশন রাখা জরুরি।

টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ব্যবস্থাপনার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. শামসুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে তা হলো—টিকা দেওয়ার পর কারো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা কোনো ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে যে কর্মী টিকা দিয়েছেন, তাঁকে বা নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে অবহিত করতে হবে। এ ছাড়া টিকাদানকেন্দ্র এবং সব হাসপাতালে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চিকিৎসায় প্রশিক্ষিত টিম কাজ করবে। প্রতিটি টিকাদানকেন্দ্র এবং হাসপাতালে থাকবে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ। টিমের সদস্যরা প্রথমে শনাক্ত করার চেষ্টা করবেন টিকা গ্রহণকারীর ওই উপসর্গ টিকা গ্রহণের কারণে নাকি অন্য কোনো কারণে। সে অনুসারে তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘অ্যাপসের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার অপশন রাখা হয়নি। এটি নিয়ে যারা কাজ করছে তাদের সঙ্গে আমি কথা বলব। এটি রাখতে পারলে খুব ভালো হয়।’

বাংলাদেশ ফার্মাকোলজিক্যাল সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় যে অ্যাপস ব্যবহার করা হবে তাতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অবহিত করতে একটি ঘর রাখলে ভালো হয়। এটা করা কঠিন কিছু না। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় টিকা দেওয়া। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা চিন্তা করে টিকা বিমুখ হওয়ার প্রয়োজন নেই। আমাদের সবার এখন একটা কাজ করা উচিত, সবার টিকা দেওয়া নিশ্চিত করা।’ এ বিষয়ে আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘অ্যাপসে যদি বেশি ডাটার অপশন রাখা হয় তবে সেটার গতি কমে গিয়ে অকার্যকর হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এ অবস্থায় টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তারা আমাদের হটলাইনে জানাবে, আমরা আইইডিসিআর থেকেই ফলোআপ করব।’

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অক্সফোর্ডের গবেষণা বিভাগের তথ্যানুসারে এই টিকা নেওয়ার পর খুব জটিল কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। উপসর্গ হিসেবে টিকা দেওয়ার স্থান কিছুটা ফুলে যাওয়া, মৃদু শরীর ব্যথা, হালকা জ্বর, জ্বর জ্বর ভাব, হালকা র‌্যাশ, চুলকানি, ক্লান্তি, মাথা ব্যথা, বমি ভাব দেখা দিতে পারে। যা পরে এমনিতেই সেরে যায়। এর বাইরে খুব কমসংখ্যকের মধ্যে কিছুটা অস্বাভাবিক উপসর্গ যেমন ক্ষুধামন্দা, মাথা ঘোরানো, পেট ব্যথা, ঘাম দেওয়া, লসিকাগ্রন্থি ফুলে ওঠা ইত্যাদি হতে পারে। টিকা নেওয়ার পর এসব উপসর্গ দেখা দিলে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, টিকাদানকারী কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

একই পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে, টিকা নেওয়ার পর কোনো ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে নিজেই হাসপাতালে চলে যাওয়া। কারণ মাঠপর্যায়ের সব চিকিৎসক করোনাভাইরাসের টিকার মতো নতুন একটি টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ব্যবস্থাপনায় সঠিক মাত্রায় দক্ষ নাও হতে পারেন।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আজ রাজপথে নামছে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আজ রাজপথে নামছে বিএনপি

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যাকাণ্ডের অপপ্রচার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণভাবে আজ থেকে রাজপথে থাকবে বিএনপি। বিএনপি মনে করছে, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে জামায়াতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজপথ দখল করার চেষ্টা করছে বলে মনে করছে বিএনপি। এ জন্য রাজপথে বিএনপিও শক্তি ও জনসমর্থন দেখাবে।

এখন পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দিচ্ছে না দলটি।

এমনকি এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে জন্য দলে শুদ্ধি অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতা। দলের নেতারা বলছেন, হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত দুজনকে চিহ্নিত করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। কিন্তু বিরোধী পক্ষ একতরফাভাবে বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করছে।
এর জবাব দিতে রাজপথে শক্তি দেখাবে দলটি। এরই অংশ হিসেবে আজ সোমবার ছাত্রদল ও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং অন্য অঙ্গসংগঠন পৃথক শোডাউন করবে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী কালের কণ্ঠকে বলেন, বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে। জনগণ বিএনপির সঙ্গে আছে।
জনগণকে নিয়ে দেশবিরোধীদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা হবে।

মাঠে নামছে ছাত্রদল : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, গোপন তৎপরতায় দীর্ঘদিন ধরে অভ্যস্ত গুপ্ত সংগঠন কর্তৃক মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আজ রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে। গুপ্ত সংগঠন বলতে ইসলামী ছাত্রশিবির ও তাদের সহযোগী সংগঠনকে বোঝানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।

ছাত্রদলের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শাহবাগ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সারা দেশের সব জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

কর্মসূচির বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, গুপ্ত সংগঠন হিসেবে সেসব সংগঠনকেই বোঝানো হয়েছে, যারা প্রকাশ্যে নিজেদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বদলে গোপনে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। গত ৫ আগস্টের পর একটি মুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও তাদের এহেন গুপ্ত কার্যক্রম এ দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে অসহনশীল করে তুলছে এবং রাজনৈতিক বিষয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে তুলছে। এ রকম কুচক্রী কার্যক্রমের বিরুদ্ধেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যেন দেশবাসীকে এসব বিভ্রান্তিকর বিষয়ে সচেতন করে তোলা যায়।

গুপ্ত সংগঠন বলতে কাদের বোঝানো হচ্ছে জানতে চাইলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ছত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর যারা ক্যাম্পাসগুলোতে মব সৃষ্টি করে সাধারণ শিক্ষার্থী নামে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করছে, তারাই গুপ্ত সংগঠন। ছাত্রশিবির এবং গুপ্তভাবে সংগঠন পরিচালনা করতে ছাত্রশিবিরকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে, আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় তারা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির মেয়াদ আরো দুই মাস বাড়ল

বিশেষ প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি
শেয়ার
সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির মেয়াদ আরো দুই মাস বাড়ল

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরো দুই মাস (৬০ দিন) বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল রবিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে গত ১৩ মে থেকে তাঁদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতার মেয়াদ দুই মাস বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ গতকাল শেষ হয় ।

মেয়াদ বাড়ানোর আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের (কোস্ট গার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তারাসহ) ‌‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮-এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। এর মেয়াদ হবে ১৪ মার্চ থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত। সারা দেশে তাঁরা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ফৌজদারি কার্যবিধি-১৮৯৮-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন।

প্রথমে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের (সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তা) এই ক্ষমতা দেওয়া হয়। অর্থাৎ শুধু সেনাবাহিনী নয়, বিমান ও নৌবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদেরও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। তখন ৬০ দিনের জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।

সেই মেয়াদ নভেম্বরের মাঝামাঝি শেষ হয়েছিল। পরে সেই ক্ষমতার মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়ানো হয়।

মন্তব্য

শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ বিএনপির

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক পুলিশপ্রধান (আইজিপি)  বেনজীর আহমেদসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে গুমের অভিযোগ দিয়েছে বিএনপি।

গতকাল রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে এই অভিযোগ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য এবং তথ্য সেলের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন খান।

অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গুমের ঘটনায় ১১ জন ভুক্তভোগীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে লিখিত অভিযোগে।

তাঁরা হলেনঝালকাঠির নলছিটির মোহাম্মদ আলী খান, সাবেক যুবদল নেতা মো. জিল্লুর রহমান, আকিদুল আলী, খোরশেদ আলম, অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী, মো. বাবুল, এনামুল, এরশাদ আলী, মো. গিয়াস উদ্দিন খান, মো. কবির উদ্দিন খান ও নজরুল ইসলাম।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় এসব ভুক্তভোগীকে অপহরণের পর আয়নাঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। গত বছর ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পলায়নের পর মোহাম্মদ আলীকে হাত ও চোখ বেঁধে পূর্বাচলের শেষ প্রান্তে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফেলে আসা হয়। পাঁচ বছর তিন মাস ১৩ দিন পর তিনি মুক্তি পান।

এ ঘটনায় মোহাম্মদ আলী খান বিএনপি মহাসচিবের মাধ্যমে ন্যায়বিচার চেয়ে আবেদন করেন।

তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১১ জন ভুক্তভোগীর নাম উল্লেখ করে আবেদনটি করা হয় বলে জানান সালাহউদ্দিন খান।

সালাহউদ্দিন খান সাংবাদিকদের বলেন, ভুক্তভোগীরা শেখ হাসিনাসহ ১৬ জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩০ থেকে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে ন্যায়বিচারের আশায় আবেদন করেছেন। ভুক্তভোগীরা বলেছেন, শুধু বিএনপি করার অপরাধে বিগত সরকারের নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাঁদের।

মন্তব্য

সোহাগের পরিবারের পাশে তারেক রহমান

বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনা প্রতিনিধি
শেয়ার
সোহাগের পরিবারের পাশে তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে পুরান ঢাকায় নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মনি। গতকাল রবিবার বিকেলে তিনি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের সোহাগের গ্রামের বাড়িতে যান। তিনি স্থানীয় কাকচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তিনি নিহত সোহাগের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

সোহাগের পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকারও আশ্বাস দেন। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে বিএনপির পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। স্বামীর হত্যার বিচার চেয়ে তখন সোহাগের স্ত্রী লাকি আক্তার বলেন, আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই।
সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মনি বলেন, এই এলাকার সন্তান ঢাকার মিটফোর্ডের ব্যবসায়ী সোহাগকে তাঁর ব্যাবসায়িক পার্টনার ও তাদের ভাড়াটেরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। বিএনপি ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়েছে। সম্পৃক্তদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিএনপি কোনো অপকর্মকে প্রশ্রয় দেয় না। পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক চৌধুরী মো. ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ফজলুল হক মাস্টার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম সফিকুজ্জামান মাহফুজ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাবেদুল ইসলাম জুয়েল, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম নাভিল প্রমুখ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ