করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই অনেকটা জোরালো হয়ে উঠেছে ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রকোপ। সেই সঙ্গে দেখা দিচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও ঠাণ্ডাজনিত রোগ। ডেঙ্গুর মূল মৌসুমে এর তেমন প্রকোপ দেখা না গেলেও প্রায় শেষ সময়ে এসে বেড়ে গেছে। আবার প্রতিবারই শীত মৌসুমে জেঁকে বসে ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগ।
বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ
শীতে নিউমোনিয়া রোগীদের ঝুঁকি বাড়াবে করোনা
তৌফিক মারুফ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. বে-নজীর আহম্মেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, কভিড ছাড়াও অন্য করোনাভাইরাসগুলো সাধারণত শীতকালে একটু বেশি দেখা যায়।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন কালের কণ্ঠকে বলেন, শিশুদের মধ্যে করোনা এখনো খুব একটা ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও আমাদের দেশে কিন্তু শীতকালে শিশু ও বয়স্করা বেশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। নিউমোনিয়ায় আক্রান্তদের জন্য করোনা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অর্থাৎ যদি কেউ আগে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পরে করোনায় আক্রান্ত হয় তাদের ক্ষেত্রে জটিলতা বেশি থাকবে।
যদিও দেশে দেশে এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আগের তুলনায় অনেকটা কমতির দিকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) বৈশ্বিক পরিস্থিতি তালিকায় তেমন চিত্রই দেওয়া হয়েছে। ডাব্লিউএইচওর সর্বশেষ তালিকা অনুসারে মোট শনাক্ত সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ছিল ১৮তম, দৈনিক শনাক্ত সূচকে ৪২তম, মোট মৃত্যুর সূচকে ৩১তম ও দৈনিক মৃত্যু সূচকে ৩৩তম। এক মাস আগের তুলনায় এই চার সূচকেই উন্নতি ঘটেছে বাংলাদেশে। তবে গত এক মাসে ইউরোপের কয়েকটি দেশে দৈনিক সংক্রমণ বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রভাব এই তালিকায় পড়েছে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। তবে স্থানীয় হিসাবে গত এক মাসে অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। ধীরে ধীরে কিছু কমছে, আবার বাড়ছে। শনাক্ত ও মৃত্যু এখনো একটানা নিচের দিকে নামছে না; একদিন কম তো আরেক দিন বেশি। যে পরিস্থিতি বিশেষজ্ঞদের ভাবিয়ে তুলছে।
যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালের খালি সিটের প্রতি। বিশেষ করে সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবারের হিসাব অনুসারে দেশে মোট শনাক্তকৃত চার লাখ এক হাজার ৫৮৬ জন শনাক্তকৃত রোগীর মধ্যে তিন লাখ ১৮ হাজার ১২৩ জন সুস্থ হয়ে যাওয়া এবং পাঁচ হাজার ৮৩৮ জন মারা যাওয়ার পর অ্যাক্টিভ পজিটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৭ হাজার ৬২৫ জন। এর মধ্যে মাত্র সাড়ে ৩ শতাংশ বা দুই হাজার ৬৩৮ জন হাসপাতালে রয়েছে। বাকি পজিটিভ সবাই বাড়িতে আছে। অন্যদিকে হাসপাতালে কভিড রোগীদের জন্য নির্ধারিত মোট ১২ হাজার ২৯৪টি বেডের ৭৯ শতাংশই শূন্য রয়েছে। যার আড়ালে স্বস্তিদায়ক চিত্র পাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
এদিকে এবার করোনা মহামারি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিলেও গত বছর দেশের মানুষ ও স্বাস্থ্য বিভাগের ঘুম হারাম করে দিয়েছিল ডেঙ্গু। এবার মূল ডেঙ্গু মৌসুমে করোনার দাপটের আড়ালে ডেঙ্গু অনেকটা চাপা পড়লেও এখন আবার ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। গত এক মাসে তিনজনের মৃত্যুর তথ্যও রয়েছে। যাদের মধ্যে একজন চিকিৎসক।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে ২৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ছিল হাসপাতালে এবং ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছিল ৯ জন। গত মাসে হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দৈনিক ভর্তি ছিল তিন-চারজনের মধ্যে আর মোট ভর্তির হিসাবে ছিল সাত-আটজনের মধ্যে। চিকিৎসকরাও ডেঙ্গু রোগী বাড়ার কথা বলছেন।
অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন বলেন, ফ্লু, নিউমোনিয়া, ডেঙ্গু সবই বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস থেকে হতে পারে। ফলে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
যদিও অধ্যাপক ডা. বে-নজীর আহম্মেদ কিছুটা ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, সাধারণত একই সঙ্গে কারো একাধিক ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম। অর্থাৎ কেউ কভিডে আক্রান্ত হলে তার ডেঙ্গু কিংবা অন্য গোত্রের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
শ্যামলী বক্ষব্যাধি হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবু রায়হান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শীতে যেভাবে আমাদের দেশে শ্বাসতন্ত্রের রোগ বেড়ে যায়, সেটাই এবার করোনার সঙ্গে যুক্ত করে বেশি ঝুঁকি বয়ে আনছে। আমরা সেদিকে নজর রেখে প্রস্তুতি নিয়েছি। কারণ শুধু করোনায় আক্রান্তরা সবাই শ্বাসকষ্টে না ভুগলেও যাদের শ্বাসকষ্ট আছে, আগে থেকেই তারা যদি করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে সেটা কিন্তু তাদের জন্য খুবই বিপদ বয়ে আনতে পারে।’
সম্পর্কিত খবর

আজ রাজপথে নামছে বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ‘অপপ্রচার ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণভাবে আজ থেকে রাজপথে থাকবে বিএনপি। বিএনপি মনে করছে, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে জামায়াতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজপথ দখল করার চেষ্টা করছে বলে মনে করছে বিএনপি। এ জন্য রাজপথে বিএনপিও শক্তি ও জনসমর্থন দেখাবে।
এখন পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দিচ্ছে না দলটি।
মাঠে নামছে ছাত্রদল : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, গোপন তৎপরতায় দীর্ঘদিন ধরে অভ্যস্ত গুপ্ত সংগঠন কর্তৃক মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আজ রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে। গুপ্ত সংগঠন বলতে ইসলামী ছাত্রশিবির ও তাদের সহযোগী সংগঠনকে বোঝানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
ছাত্রদলের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শাহবাগ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সারা দেশের সব জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
কর্মসূচির বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘গুপ্ত সংগঠন হিসেবে সেসব সংগঠনকেই বোঝানো হয়েছে, যারা প্রকাশ্যে নিজেদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বদলে গোপনে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। গত ৫ আগস্টের পর একটি মুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও তাদের এহেন গুপ্ত কার্যক্রম এ দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে অসহনশীল করে তুলছে এবং রাজনৈতিক বিষয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে তুলছে। এ রকম কুচক্রী কার্যক্রমের বিরুদ্ধেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যেন দেশবাসীকে এসব বিভ্রান্তিকর বিষয়ে সচেতন করে তোলা যায়।’
গুপ্ত সংগঠন বলতে কাদের বোঝানো হচ্ছে জানতে চাইলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘ছত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর যারা ক্যাম্পাসগুলোতে মব সৃষ্টি করে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ নামে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করছে, তারাই গুপ্ত সংগঠন। ছাত্রশিবির এবং গুপ্তভাবে সংগঠন পরিচালনা করতে ছাত্রশিবিরকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে, আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় তারা।’

সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির মেয়াদ আরো দুই মাস বাড়ল
বিশেষ প্রতিনিধি

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরো দুই মাস (৬০ দিন) বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল রবিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে গত ১৩ মে থেকে তাঁদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতার মেয়াদ দুই মাস বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ গতকাল শেষ হয় ।
মেয়াদ বাড়ানোর আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের (কোস্ট গার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তারাসহ) ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’-এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। এর মেয়াদ হবে ১৪ মার্চ থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত। সারা দেশে তাঁরা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারি কার্যবিধি-১৮৯৮’-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন।
প্রথমে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের (সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তা) এই ক্ষমতা দেওয়া হয়। অর্থাৎ শুধু সেনাবাহিনী নয়, বিমান ও নৌবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদেরও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। তখন ৬০ দিনের জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।

শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ বিএনপির
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক পুলিশপ্রধান (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে গুমের অভিযোগ দিয়েছে বিএনপি।
গতকাল রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে এই অভিযোগ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য এবং তথ্য সেলের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন খান।
অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গুমের ঘটনায় ১১ জন ভুক্তভোগীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে লিখিত অভিযোগে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় এসব ভুক্তভোগীকে অপহরণের পর আয়নাঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। গত বছর ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পলায়নের পর মোহাম্মদ আলীকে হাত ও চোখ বেঁধে পূর্বাচলের শেষ প্রান্তে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফেলে আসা হয়। পাঁচ বছর তিন মাস ১৩ দিন পর তিনি মুক্তি পান।
তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১১ জন ভুক্তভোগীর নাম উল্লেখ করে আবেদনটি করা হয় বলে জানান সালাহউদ্দিন খান।
সালাহউদ্দিন খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা শেখ হাসিনাসহ ১৬ জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩০ থেকে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে ন্যায়বিচারের আশায় আবেদন করেছেন। ভুক্তভোগীরা বলেছেন, শুধু বিএনপি করার অপরাধে বিগত সরকারের নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাঁদের।

সোহাগের পরিবারের পাশে তারেক রহমান
বরগুনা প্রতিনিধি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে পুরান ঢাকায় নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মনি। গতকাল রবিবার বিকেলে তিনি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের সোহাগের গ্রামের বাড়িতে যান। তিনি স্থানীয় কাকচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তিনি নিহত সোহাগের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।