<p>বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে উল্লেখ করে এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। সাম্প্রতিক ধর্ষণের ঘটনাগুলোর পটভূমিতে বাংলাদেশে জাতিসংঘ কার্যালয় গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে ওই উদ্বেগ জানায়।</p> <p>ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রসঙ্গে জাতিসংঘ বলেছে, এগুলো গুরুতর  অপরাধ এবং মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন। নোয়াখালীতে ঘটে যাওয়া নারী-সহিংসতার ঘটনাটি, যা সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত (ভাইরাল) হয়, তা সামাজিক, আচরণগত এবং কাঠামোগতভাবে  বিদ্যমান নারী-বিদ্বেষকে ফুটিয়ে তুলেছে। </p> <p>জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জাতিসংঘ, ন্যায়বিচারের দাবিতে সাধারণ জনগণ এবং সুধীসমাজের পাশে দাঁড়াচ্ছে। তবে আমরা মনে করি, নোয়াখালীর ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করে যে এটি কোনো নিছক বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং একটি পদ্ধতিগত সংস্কারের সুনির্দিষ্ট আহ্বান। নারী অধিকার সুরক্ষা ও শক্তিশালীকরণে, পদ্ধতিগত সংস্কারের পক্ষে আমরা আমাদের শক্ত অবস্থান তুলে ধরছি। জেন্ডার সংবেদনশীল বিচারব্যবস্থার প্রণয়ন ও উন্নয়ন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা পরিচালনার পদ্ধতিতে ব্যাপক পুনর্মূল্যায়নের  ক্ষেত্রে সরকারকে সহায়তা  করার জন্য জাতিসংঘ সর্বদা প্রস্তুত।’</p> <p>জাতিসংঘ বলেছে, ‘জাতিসংঘ (আমরা) ভুক্তভোগী ও সাক্ষীদের সমর্থন ও সুরক্ষা প্রদান এবং বিচারের ক্ষেত্রে দ্রুততা আনয়নে ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার জরুরি সংস্কারের পক্ষে। এ ছাড়া নারী ও মেয়ের সুরক্ষার জন্য অসংখ্য আইন ও কর্ম পরিকল্পনা কিভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে সে সম্পর্কে জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সুনিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।’</p> <p>জাতিসংঘ তার বিবৃতিতে আরো বলেছে, ‘জাতিসংঘ তাদের সব অংশীদারের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জেন্ডার বৈষম্য ও পুরুষতান্ত্রিক সামাজিক নীতিগুলোকে চিহ্নিত করে নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে কাজ করছে। আমরা এমন একটি সমাজ গঠনে কাজ করছি, যেখানে নারী ও মেয়েরা নিরাপদ বোধ করবে এবং তারা ক্রমে উন্নয়নের দিকে যাবে। এ ব্যাপারে বৈশ্বিক পরিসংখ্যানও উদ্বেগজনক। কারণ আমরা দেখতে পাই যে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা সব অপরাধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত; কিন্তু সবচেয়ে কম সাজাপ্রাপ্ত। এর বিরুদ্ধে অবশ্যই রুখে দাঁড়াতে হবে।’</p> <p> </p>